ভয়েস অব পটিয়াঃ পটিয়া উপজেলার বইয়ের দোকান গুলোতে প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণীর নিষিদ্ধ গাইড ও নোট বই।
ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক: পটিয়া উপজেলার বইয়ের দোকান গুলোতে প্রকাশ্যেই বিক্রি
হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণীর নিষিদ্ধ গাইড ও নোট বই। স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায়
নিষিদ্ধ গাইড ও নোট বই বিক্রি হলেও রহস্যজনক কারণে এসব প্রকাশনা সংস্থার
বিরুদ্ধে কোনোরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।
জানা গেছে, পটিয়া পৌরসভাসহ
উপজেলার বিভিন্ন বাণিজ্যিক দোকানগুলোতে প্রকাশ্য গাইড ও নোট বইয়ের জমজমাট
ব্যবসা চলছে। এক শ্রেণীর শিক্ষক নেতারা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে
ম্যানেজ করে বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে
নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিচ্ছে এসব নিষিদ্ধি গাইড ও নোট বই।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা যায়, সরকার
১৯৮০ সালে আইন করে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকের নোট বই
মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশনা, আমদানি, বিতরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ করে। এছাড়া উচ্চ
আদালতের এক রায়ে গাইড ও নোট বই মুদ্রণ ও বাজারজাত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পটিয়া পৌর সদরের পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মার্কেট, আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়
মাকের্ট, থানার মোড়ে, শহীদ ছবুর রোড, পশ্চিম পটিয়া এ.জে চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন কলেজ
বাজার, শান্তিরহাট ইত্যাদি এলাকার বইয়ের দোকানগুলোতে প্রকাশ্যে গাইড-নোট বই বিক্রি করা
হচ্ছে। প্রথম শ্রেণী থেকে
অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার নিষিদ্ধ গাইড ও নোট বই
বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। নিউটন, লেকচার, জুপিটার,
পপি, পাঞ্জেরী, অনুপম, জননী, দিগন্ত, দিকর্দশন, আশারআলো, পুঁথিনিলয় সহ বিভিন্ন প্রকাশনীর নিষিদ্ধি গাইডবই বিক্রি চলছে দেদারসে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের
শিক্ষকরা এসব গাইড ও নোট বই কিনতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করছে বলে অভিভাবকরা জানান।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৮৫টি প্রাথমিক, ৪৭টি মাধ্যামিক বিদ্যালয়ে ১ম
শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণীতে লেকচার সহ কয়েকটি গাইড বই চালাতে উপজেলার শিক্ষক
সমিতির নেতাদের গোপনে মোটা অংকের টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে উক্ত প্রকাশনীর নিষিদ্ধি গাইড ও নোট বই তুলে দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে প্রশাসন
ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় অভিভাবক মহল ক্ষুদ্ধ
প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। প্রকাশনীগুলো কৌশল হিসেবে এসব গাইড ও নোট বইয়ের কভার পেজে ‘গাইড ও নোট’ শব্দটি তুলে দিয়ে ‘সৃজনশীল’ শব্দটি ব্যবহার করছে। যার ফলে প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বাজারে গাইড ও নোট বইয়ের অস্তিত্ব খুঁজে পাচ্ছেন না।
এদিকে এনসিটিবি কর্তৃক
নির্ধারিত সহায়ক বই না পড়িয়ে উপজেলার সকল মাধ্যমিক ও নিম্মমাধ্যমিক
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের পছন্দ মতো ইরেজী গ্রামার-বাংলা ব্যাকরণ বই পড়াচ্ছেন।
এ
ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোতাহের বিল্লাহর সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ও মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ যারা অমান্য করবে তাদের
বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানাতে পারেন আপনার মন্তব্য :
0 comments so far,add yours
~ মন্তব্য নীতিমালা ~
😀 আমাদের প্ল্যাটফর্মে মন্তব্য, আলোচনা, সমালোচনা বজায় রাখার জন্য আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করেছি। আমরা আশা করি যে, কোন মন্তব্য পোস্ট করার সময় আপনারা তার অনুসরণ করবেন।
• ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃপক্ষ ভিজিটর কর্তৃক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে এমন মন্তব্যগুলো মুছে ফেলার অধিকার সংরক্ষণ করে।
• জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ, চেহারা বা অক্ষমতার ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি, কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি আপত্তিকর বা আক্রমণ করে এমন ভাষায় মন্তব্য করা যাবে না।
• আলোচনার বিষয়ের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না। কিছু বিষয় ব্যতিক্রমী হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে, তবে আলোচনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে এমন কোনো বিষয় ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃক অনুমোদন করা হবে না।
• কোনো পক্ষকে আইনি ঝামেলায় ফেলতে পারে এমন মন্তব্য করা যাবে না।
• বাণিজ্যিক প্রকৃতির কিংবা বিজ্ঞাপনীয় উপাদান/লিঙ্ক রয়েছে এমন মন্তব্য করা যাবে না।
• যেসব মন্তব্য স্প্যামিং বলে মনে হচ্ছে এবং একাধিক পোস্ট জুড়ে অভিন্ন মন্তব্য করলে সেগুলো মুছে ফেলা হবে।
• ঘৃণাত্মক, সহিংসতার প্ররোচনা দেয় অথবা ধর্মকে আক্রমণ করে এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না।