ভয়েস অব পটিয়াঃ পটিয়া সদর থেকে দোহাজারী পর্যন্ত এলাকায় মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ এক মাসের পবিত্র রমজান মাসের সিয়াম সাধনার পর শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ি গিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। শত বাধা-বিপত্তি ও দুর্ভোগ মাড়িয়ে ঘরমুখো মানুষের স্রোত নামবে ক’দিন পরই।
পরিবহন স্বল্পতা, এক সাথে অধিক যাত্রীর চাপকে পুঁজি করে বাড়তি ভাড়া আদায়ের মহোৎসবে নামে এক শ্রেণির পরিবহন ব্যবসায়ীরা। ভিড়ের মধ্যে যাত্রীদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ। এবারই ঈদ যাত্রা বর্ষা মৌসুমে হওয়ায় পরিবহন সংকটের পাশাপাশি খানাখন্দক, ভাঙ্গা সড়কে যাত্রীদের দুর্ভোগের শিকার হতে পারে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া থেকে দোহাজারী এলাকায় সড়কের যে দুরবস্থা তাতে প্রায়ই যানজট লেগেই থাকে।
ঈদের আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ভেঙে যাওয়া মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে জরুরী ভিত্তিতে কাজ করার কথা বললেও তা চোখে পড়ার মত নয়। যেনতেনভাবে ইট, কংক্রিট দিয়ে সড়ক সংস্কার করায় গাড়ির গতিবেগের যথাযথ ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে চালকদের অভিযোগ। তবে পুরো সড়ক সংস্কার হবে ঈদ পরবর্তী শুষ্ক মৌসুমে। জুনের শেষদিকে দুই সপ্তাহ ধরে টানা বর্ষণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া থেকে দোহাজারী পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন এলাকায় খানাখন্দকে ভরে গেছে। বিশেষ করে পটিয়া সদর ও দোহাজারী সদর এলাকায় এ সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক। এ দু এলাকায় তীব্র যানজট ও যাত্রীদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পটিয়া সদর থেকে দোহাজারী স্কুল পর্যন্ত, দক্ষিণ হাশিমপুর বড়পাড়া, বাগিচাহাট, বাদামতল, রওশনহাট, বিজিসি ট্রাস্ট এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে পটিয়া সদর এবং দোহাজারী সদর এলাকায় সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে গর্তে পরিণত হওয়ায় পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তীব্র যানজটের কারণে দোহাজারী এলাকায় সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে যাত্রীরা। আগামী ঈদের আগে সংস্কার না হলে ঘরমুখো মানুষের আরো দুর্ভোগে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন বলেছেন, দু’এক দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের যেসব স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে তা সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করা হবে।
সড়কে কার্পেটিং উঠে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হওয়ার কারণে সামান্য বৃষ্টিতে গর্তে পানি জমে এ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। যানবাহন চলাচলের সময় পথচারীদের গায়ে কাঁদা ছিটকে পড়ে। যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে প্রতিদিন দীর্ঘ যানজটের কারণে। ফলে সড়ক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। কার্পেটিং উঠে গিয়ে সড়কে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় পটিয়া সদর, দোহাজারী সদর, বাগিচাহাট ও বিজিসি ট্রাস্ট এলাকায় যানবাহন তার স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করতে পারছে না। এছাড়া খানাখন্দকে পড়ে প্রায়ই বিকল হচ্ছে ভারী যানবাহন। এতে যানজটের সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করছে। মহাসড়কে খানাখন্দকের কারণে যানবাহনগুলো এখন আগের চেয়ে অনেক ধীরগতিতে চলছে।
গাড়ির চালক আবদুল হাকিম বললেন, ‘এ সড়কে সৃষ্টি হওয়া গর্তে বালি ও ইট দিয়ে ভরাট করলেও তা একটু পরেই চাকার ঘর্ষণে উঠে যাচ্ছে। স্থায়ীভাবে মেরামত করা না হলে দুর্ঘটনাসহ যানজট বৃদ্ধি পাবে।’
এ সড়কে খানাখন্দকের কারণে অবস্থা এত খারাপ যে, পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশ। তবুও যানজট নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে তারা। ঈদের আগেই অর্থাৎ দু’এক দিনের মধ্যে মহাসড়কে ক্ষত স্থানগুলো প্রাথমিকভাবে সংস্কার করার জন্য প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন। দ্রুত সড়ক সংস্কার না হলে মাহে রমজানের শেষে আসন্ন ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের দুর্ভোগে শিকার হওয়ার আশংকা রয়েছে।
জানাতে পারেন আপনার মন্তব্য :
0 comments so far,add yours
~ মন্তব্য নীতিমালা ~
😀 আমাদের প্ল্যাটফর্মে মন্তব্য, আলোচনা, সমালোচনা বজায় রাখার জন্য আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করেছি। আমরা আশা করি যে, কোন মন্তব্য পোস্ট করার সময় আপনারা তার অনুসরণ করবেন।
• ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃপক্ষ ভিজিটর কর্তৃক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে এমন মন্তব্যগুলো মুছে ফেলার অধিকার সংরক্ষণ করে।
• জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ, চেহারা বা অক্ষমতার ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি, কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি আপত্তিকর বা আক্রমণ করে এমন ভাষায় মন্তব্য করা যাবে না।
• আলোচনার বিষয়ের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না। কিছু বিষয় ব্যতিক্রমী হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে, তবে আলোচনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে এমন কোনো বিষয় ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃক অনুমোদন করা হবে না।
• কোনো পক্ষকে আইনি ঝামেলায় ফেলতে পারে এমন মন্তব্য করা যাবে না।
• বাণিজ্যিক প্রকৃতির কিংবা বিজ্ঞাপনীয় উপাদান/লিঙ্ক রয়েছে এমন মন্তব্য করা যাবে না।
• যেসব মন্তব্য স্প্যামিং বলে মনে হচ্ছে এবং একাধিক পোস্ট জুড়ে অভিন্ন মন্তব্য করলে সেগুলো মুছে ফেলা হবে।
• ঘৃণাত্মক, সহিংসতার প্ররোচনা দেয় অথবা ধর্মকে আক্রমণ করে এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না।