ভয়েস অব পটিয়াঃ পটিয়া থানার মোড়ে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন সরকারী জায়গা হতে স্থাপিত সাইনবোর্ড রাতের আঁধারে ভূমিদস্যুরা সরিয়ে নিয়েছে
পটিয়ায় রাতের আঁধারে জেলা পরিষদের সাইনবোর্ড উধাও! |
ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া থানার মোড়ে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন সরকারী জায়গা হতে স্থাপিত সাইনবোর্ড রাতের আঁধারে ভূমিদস্যুরা সরিয়ে নিয়েছে বলে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন সাধারণ জনগণ।
জানা যায়, ২০১০ সালে পটিয়ায় জেলা পরিষদের বিভিন্ন জায়গার উপর বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণকাজের উদ্যোগ গ্রহণ করলে পটিয়া পোস্ট অফিস সংলগ্ন জায়গায় ভবন নির্মাণ ছাড়া আজ পর্যন্ত রাজনৈতিক মদদপুষ্ট একটি প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্রের হাত থেকে ২৭ শতক জায়গা উদ্ধার করতে পারেনি চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ।
ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, স্বাধীনতার পর থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাবেক মহকুমা পটিয়া পৌর সদরের ঐতিহ্যবাহী থানার মোড় এলাকায় ২৭ শতক জায়গা রয়েছে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের। ২০১০ সালে এখানে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিলেও রাজনৈতিক মদদপুষ্ট একটি প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্রের হাত থেকে আজ পর্যন্ত সরকারী এ সম্পদ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সরকারী জায়গায় মন্দির স্থাপন করে ধর্মের দোহাই দিয়ে বিভিন্নভাবে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে ভূমিদস্যু চক্রটি।
গত কয়েক দিন আগে ২৭ শতক জায়গার উপর স্থাপিত সাইনবোর্ডটি ভূমিদস্যু চক্রটি সরিয়ে নিয়েছে বলে সচেতন মহল মৌখিক অভিযোগ করছেন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকিয়া পারভীনের কাছে।
জেলা পরিষদের নকশা অনুযায়ী এ জায়গার উপর নির্মাণ হওয়ার কথা ছিল ১১টি দোকান, ১৯৭১ সালে বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে গৌরব সংসদের দাবি অনুযায়ী একটি স্থায়ী শহীদ বেদী এবং হিন্দু ধর্মালম্বীদের মন্দির গৌরাঙ্গ নিকেতনে যাতায়াতের রাস্তা, ফুটপাথ ও পার্কিং।
এখানে মার্কেট নির্মিত হলে সরকারের বছরে প্রায় কোটি টাকার রাজস্ব আয় করা সম্ভব হবে। ব্যস্ততম এ এলাকায় বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ হলে পটিয়ার ব্যবসায়ী মহলে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সরোয়ার জাহান সরকারের ২৭ শতক সম্পত্তি উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করে আধুনিক বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। একই বছর টেন্ডারের মাধ্যমে ১১টি দোকান প্রায় ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকায় বরাদ্দ দেয় জেলা পরিষদ। পরে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জায়গা নির্ধারণ করে লে-আউট বুঝিয়ে দেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি ১১টি দোকান নিমার্ণের জন্য মাটি কাটার মধ্য দিয়ে কাজ শুরু করলেও রাতে আঁধারে সরকারী উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্থ করতে প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্রটি সংঘবদ্ধ হয়ে রাতের বেলায় মাটি ভরাট করে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। আজ পর্যন্ত এ ভূমিদস্যু চক্রটির হাত থেকে ২৭ শতক জায়গার উদ্ধার করতে পারেনি চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভূমিদস্যু চক্রটি জেলা পরিষদের সাইন বোর্ড সরিয়ে নিয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের ২৭ শতক জায়গা দখল করে নিজেদের জায়গা বলে দাবি করে এখানে বহুতল ভবন নির্মাণের পাঁয়তারা করছে ‘ডিউ গ্রুপ’ নামে একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান। ‘ডিউ ক্রাউন সেন্টার’ নাম দেয়ার মাধ্যমে বর্তমানে বিল্ডিং নির্মাণের জন্য পিলার স্থাপন করাও শুরু করেছে ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানটি।
এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রোকেয়া পারভীন ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের ২৭ শতক জায়গা থানার মোড়ের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। লোহা ও টিনশেড দিয়ে নির্মিত চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাইন বোর্ডটি সরিয়ে নিয়েছে বলে বিভিন্নজন আমার কাছে অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় জায়গাটি পরির্দশন করে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান ইউএনও রোকেয়া পারভীন।’
জানাতে পারেন আপনার মন্তব্য :
0 comments so far,add yours
~ মন্তব্য নীতিমালা ~
😀 আমাদের প্ল্যাটফর্মে মন্তব্য, আলোচনা, সমালোচনা বজায় রাখার জন্য আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করেছি। আমরা আশা করি যে, কোন মন্তব্য পোস্ট করার সময় আপনারা তার অনুসরণ করবেন।
• ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃপক্ষ ভিজিটর কর্তৃক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে এমন মন্তব্যগুলো মুছে ফেলার অধিকার সংরক্ষণ করে।
• জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ, চেহারা বা অক্ষমতার ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি, কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি আপত্তিকর বা আক্রমণ করে এমন ভাষায় মন্তব্য করা যাবে না।
• আলোচনার বিষয়ের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না। কিছু বিষয় ব্যতিক্রমী হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে, তবে আলোচনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে এমন কোনো বিষয় ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃক অনুমোদন করা হবে না।
• কোনো পক্ষকে আইনি ঝামেলায় ফেলতে পারে এমন মন্তব্য করা যাবে না।
• বাণিজ্যিক প্রকৃতির কিংবা বিজ্ঞাপনীয় উপাদান/লিঙ্ক রয়েছে এমন মন্তব্য করা যাবে না।
• যেসব মন্তব্য স্প্যামিং বলে মনে হচ্ছে এবং একাধিক পোস্ট জুড়ে অভিন্ন মন্তব্য করলে সেগুলো মুছে ফেলা হবে।
• ঘৃণাত্মক, সহিংসতার প্ররোচনা দেয় অথবা ধর্মকে আক্রমণ করে এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না।