ভয়েস অব পটিয়াঃ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া বিসিক শিল্প নগরীর সামনে পৌর কর্তৃপক্ষের বর্জ্য অব্যবস্থাপনায় দূর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে
পটিয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে বর্জ্য-পৌর কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় দূর্ভোগ চরমে |
ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া বিসিক শিল্প নগরী সংলগ্ন অংশে দীর্ঘদিন যাবত পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্তুপকৃত বর্জ্য যথাযথভাবে ডাম্পিং না করে উন্মুক্ত স্থানটিতে স্তুপ করে রাখার কারণে দূর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। এতে করে নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় ও দূরপাল্লার বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীসহ মহাসড়কের পাশ দিয়ে চলাচলরত পথচারীদের।
স্থানীয় লোকজন ও যাত্রী সাধারণ এ দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে পৌর কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন। তারা বর্জ্য উন্মুক্ত স্থানে না রেখে শহরাঞ্চল থেকে দূরবর্তী স্থানে এ ধরণের বর্জ্য অপসারণের আহবান জানান।
পটিয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন বেলাল ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘পৌরসভা কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা ও পৌর মেয়রের খামখেয়ালীর কারণে মহাসড়কের পাশে পশুর বর্জ্য স্তুপ করা হয়েছে। এসব বর্জ্যে পুরো এলাকাজুড়ে বিরক্তিকর দুর্গন্ধ প্রতিদিন মানুষকে বিষিয়ে তুলছে।’
সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বিসিক শিল্প এলাকার সামনে দীর্ঘদিন ধরে পটিয়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বর্জ্য ফেলে আসছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কোরবানীর পশুর বর্জ্য-আবর্জনা একই স্থানে রাখা হয়েছে। এ কারণে দুর্গন্ধের মাত্রা আরো বেড়েছে। এতে এসব ময়লা-আবর্জনার দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বিসিক শিল্পনগরীর লোকজন, ব্যবসায়ী, কর্মচারী, শ্রমিক, শিক্ষার্থী ও মহাসড়কে যাতায়াতকারী যানবাহনের প্রতিদিনকার সহস্রাধিক যাত্রী। কোরবানীর দিন বিকেলে পৌরসভার বর্জ্যবাহী গাড়ি বর্জ্য তুলে নিয়ে মহাসড়কের বিসিক শিল্প এলাকার সন্নিকটে ফেলে। স্তুপকৃত বর্জ্যে দুর্গন্ধ প্রতিরোধে কোন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ/কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় গত তিন দিন ধরে চারিদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।
তাছাড়া পটিয়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের সর্দারপাড়া কবরস্থানের পাশে চলাচল রাস্তার উপর বর্জ্য, ৩ নং ওয়ার্ডের আবদুর রহমান সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে হাড্ডি সুলতানের ভাঙ্গারী মালের গুদামে স্তুপ করা হয়েছে পশুর হাড়গোড়। ফলে এসব এলাকাতেও দূর্গন্ধে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা দুর্গন্ধে যাতায়াতে বেকায়দায় পড়ছে।
পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডের চলাচল রাস্তার বিভিন্ন স্থানে এখনো পড়ে রয়েছে কোরবানীর পশুর বর্জ্য। যার ফলে পুরো পটিয়া পৌরসভার আকাশ বাতাস বর্জ্যের দুর্গন্ধে ভারী হয়ে উঠেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পটিয়া পৌরসভার মেয়র হারুনুর রশিদ ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘পৌরসভার বর্জ্য অপসারণ ও মজুতের জন্য অনেকবছর যাবত বিসিকের সামনে এ এলাকাটি নির্ধারিত ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও একই স্থানে বর্জ্য রাখা হয়েছে। দুর্গন্ধরোধে পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ঔষধ ছিটিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
পটিয়া পৌরসভার সচিব মোহাম্মদ মহসিন জানান, ‘পৌরসভার বর্জ্য অপসারণের নির্ধারিত কোন জায়গা না থাকায় বিসিক শিল্প এলাকার সামনে অস্থায়ীভাবে মজুদ করা হচ্ছে। বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করার জন্য ইন্দ্রপুল এলাকায় জনবসতি স্থাপনার অদূরে একটি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি এখনো মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
জানাতে পারেন আপনার মন্তব্য :
0 comments so far,add yours
~ মন্তব্য নীতিমালা ~
😀 আমাদের প্ল্যাটফর্মে মন্তব্য, আলোচনা, সমালোচনা বজায় রাখার জন্য আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করেছি। আমরা আশা করি যে, কোন মন্তব্য পোস্ট করার সময় আপনারা তার অনুসরণ করবেন।
• ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃপক্ষ ভিজিটর কর্তৃক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে এমন মন্তব্যগুলো মুছে ফেলার অধিকার সংরক্ষণ করে।
• জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ, চেহারা বা অক্ষমতার ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি, কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি আপত্তিকর বা আক্রমণ করে এমন ভাষায় মন্তব্য করা যাবে না।
• আলোচনার বিষয়ের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না। কিছু বিষয় ব্যতিক্রমী হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে, তবে আলোচনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে এমন কোনো বিষয় ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃক অনুমোদন করা হবে না।
• কোনো পক্ষকে আইনি ঝামেলায় ফেলতে পারে এমন মন্তব্য করা যাবে না।
• বাণিজ্যিক প্রকৃতির কিংবা বিজ্ঞাপনীয় উপাদান/লিঙ্ক রয়েছে এমন মন্তব্য করা যাবে না।
• যেসব মন্তব্য স্প্যামিং বলে মনে হচ্ছে এবং একাধিক পোস্ট জুড়ে অভিন্ন মন্তব্য করলে সেগুলো মুছে ফেলা হবে।
• ঘৃণাত্মক, সহিংসতার প্ররোচনা দেয় অথবা ধর্মকে আক্রমণ করে এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না।