ভয়েস অব পটিয়াঃ অধিগ্রহণ ছাড়াই পটিয়া শিশুপার্কের বাউন্ডারীওয়ালসহ বিভিন্ন সাধারণ স্থাপনা বুলডোজাড় দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ
পটিয়া শিশুপার্ক ভেঙে সড়ক প্রশস্তকরণ; অধিগ্রহণ ছাড়াই ব্যক্তি মালিকানাধীন সাধারণ স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয় সড়ক ও জনপদ বিভাগ |
ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ জেলা সড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ত উন্নীতকরণ (চট্টগ্রাম অঞ্চল) প্রকল্পের আওতায় পটিয়া ডাকবাংলোর মোড় হতে হাইদগাঁও পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প উদ্বোধনের পরমুহুর্তে কোন ধরনের পূর্বনোটিশ, ভূমি অধিগ্রহণ ছাড়াই চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের পটিয়া শিশুপার্কের এক-তৃতীয়াংশ স্থাপনা বাউন্ডারীওয়ালসহ এবং শিশু পার্ক সংলগ্ন ব্যক্তিমালিকানাধীন বিভিন্ন বৈধ সাধারণ স্থাপনা বুলডোজাড় দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্র জানায়, জেলা সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের আওতায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পটিয়া ডাকবাংলোর মোড় হতে হাইদগাঁও পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণের একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। সে লক্ষ্যে শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) দুপুরে স্থানীয় সাংসদ হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এ প্রকল্প কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পটিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়াম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, পটিয়া পৌরসভার মেয়র হারুনুর রশীদ, পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান’সহ অন্যান্যরা। তাদের উপস্থিতিতে এর পরপরি কোন ধরনের পূর্বনোটিশ, ভূমি অধিগ্রহণ ছাড়া সড়ক ও জনপদ বিভাগ আকস্মিকভাবে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের মালিকানাধীন পটিয়া শিশু পার্কের বাউন্ডারীওয়ালসহ স্থানীয় ব্যক্তিমালিকানাধীন বিভিন্ন সাধারণ স্থাপনা, দোকানপাট, কিন্ডারগার্টেন স্কুল বুলডোজাড় দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়। দুপুর ২টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত এ ভাঙনযজ্ঞ চলে।
এদিকে বিনানোটিশে অবৈধভাবে বিভিন্ন স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ স্থাপনার মালিকদের সাথে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি-বাদানুবাদ হয়। কয়েকজন সাংবাদিক স্থাপনা গুঁড়ানোর চিত্র ধারণ করতে গেলে তাদের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এলাকাবাসীদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদেরকে কোন ধরনের পূর্বনোটিশ, ভূমি অধিগ্রহণ ছাড়া তাদের মালিকানাধীন বিভিন্ন স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়। এতে তারা কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হন। তারা এর প্রতিবাদ জানান।
এ ব্যাপারে উপস্থিত সড়ক ও জনপদ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলতে চাইলে, তারা এ সম্পর্কে জানাতে অস্বীকৃতি জানান। রিপোর্টারের সাথে অসাদচরণ করেন।
জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান (পটিয়া জোন সদস্য) দেবব্রত দাশের সাথে মোবাইলে কয়েক দফা যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল কেটে দেন। এ রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জানাতে পারেন আপনার মন্তব্য :
0 comments so far,add yours
~ মন্তব্য নীতিমালা ~
😀 আমাদের প্ল্যাটফর্মে মন্তব্য, আলোচনা, সমালোচনা বজায় রাখার জন্য আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করেছি। আমরা আশা করি যে, কোন মন্তব্য পোস্ট করার সময় আপনারা তার অনুসরণ করবেন।
• ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃপক্ষ ভিজিটর কর্তৃক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে এমন মন্তব্যগুলো মুছে ফেলার অধিকার সংরক্ষণ করে।
• জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ, চেহারা বা অক্ষমতার ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি, কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি আপত্তিকর বা আক্রমণ করে এমন ভাষায় মন্তব্য করা যাবে না।
• আলোচনার বিষয়ের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না। কিছু বিষয় ব্যতিক্রমী হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে, তবে আলোচনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে এমন কোনো বিষয় ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃক অনুমোদন করা হবে না।
• কোনো পক্ষকে আইনি ঝামেলায় ফেলতে পারে এমন মন্তব্য করা যাবে না।
• বাণিজ্যিক প্রকৃতির কিংবা বিজ্ঞাপনীয় উপাদান/লিঙ্ক রয়েছে এমন মন্তব্য করা যাবে না।
• যেসব মন্তব্য স্প্যামিং বলে মনে হচ্ছে এবং একাধিক পোস্ট জুড়ে অভিন্ন মন্তব্য করলে সেগুলো মুছে ফেলা হবে।
• ঘৃণাত্মক, সহিংসতার প্ররোচনা দেয় অথবা ধর্মকে আক্রমণ করে এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না।