vop-ad1

ভয়েস অব পটিয়াঃ টানা তিন দিনের প্রবল বর্ষণের ফলে পটিয়ার অধিকাংশ এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। চরম দূর্ভোগে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

প্রবল বর্ষণে পটিয়া সদরে জলজট; চরম দূর্ভোগে বিপর্যস্ত জনজীবন; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; Voice of Patiya
প্রবল বর্ষণে পটিয়া সদরে জলজট; চরম দূর্ভোগে বিপর্যস্ত জনজীবন

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ টানা বৃষ্টিতে পটিয়া সদরে সৃষ্টি হয়েছে জলজট। তিন দিনের প্রবল বর্ষণের ফলে পটিয়ার অধিকাংশ এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। চরম দূর্ভোগে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে পটিয়া পোষ্ট অফিস মোড়, ছবুর রোড, মিশন রোড, স্টেশন রোড, ক্লাব রোড, থানার মোড়, ডাকবাংলো রোড, জামিয়া মাদ্রাসা রোড, আমির ভান্ডার রোডসহ পটিয়া পৌর সদরের বেশ কয়েকটি প্রধান সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এর ফলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষদের। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘পটিয়া পৌর কর্তৃপক্ষের অপর্যাপ্ত ও অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণের ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত পলিথিনসহ ময়লা-আবর্জনা সরাসরি ড্রেনের পানি নিষ্কাশনের পথে ফেলার কারণে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।’

পটিয়ার বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘গত ৫ বছর আগেও পটিয়া পৌরসভার প্রধান সড়কগুলোতে এই ধরনের জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়নি; পৌর কর্তৃপক্ষের অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণ, ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশন না হওয়ার কারণে পটিয়া পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির মূল কারণ। যার ফলে দৈনন্দিন চলাফেরা, ব্যবসা-বাণিজ্য করতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। হিমশিম থেকে রক্ষা পেতে সঠিক পরিকল্পনার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন একাধিক ব্যবসায়ী।’

স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, ‘সামান্য বৃষ্টিতেই পটিয়ার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়; যার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে-আসতে আমাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।’

এদিকে সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, পৌর কর্তৃপক্ষের অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণের ফলে রাস্তায় জমে থাকা পানি সহজে নিষ্কাশনে বাধা পাচ্ছে। তাছাড়া বিগত ২ বছর যাবত ধীরগতিতে ড্রেন নির্মাণ এর একটি বড় কারণ।

পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পৌর মেয়র হারুনুর রশিদ ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বৃষ্টির পানি সরাসরি পটিয়া পৌর এলাকার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, যার ফলে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া টানা তিন দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের ফলে পৌর সদরের নিম্নাঞ্চলগুলো তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি কমার সাথে সাথে পানি নেমে যাবে। এছাড়া পৌর সদরের নির্মাণাধীন ড্রেনগুলোর কাজ শেষ হলে অচিরেই পৌরবাসী এই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।’

এদিকে উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের শ্রীমাই খালের বাঁধ ভেঙে পানিতে তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ডুবে গেছে শখানেক পুকুর। কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মৎস্য ব্যবসায়ীদের।
Share To:

Voice of Patiya

জানাতে পারেন আপনার মন্তব্য :

0 comments so far,add yours

~ মন্তব্য নীতিমালা ~

😀 আমাদের প্ল্যাটফর্মে মন্তব্য, আলোচনা, সমালোচনা বজায় রাখার জন্য আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করেছি। আমরা আশা করি যে, কোন মন্তব্য পোস্ট করার সময় আপনারা তার অনুসরণ করবেন।

• ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃপক্ষ ভিজিটর কর্তৃক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে এমন মন্তব্যগুলো মুছে ফেলার অধিকার সংরক্ষণ করে।

• জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ, চেহারা বা অক্ষমতার ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি, কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি আপত্তিকর বা আক্রমণ করে এমন ভাষায় মন্তব্য করা যাবে না।

• আলোচনার বিষয়ের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না। কিছু বিষয় ব্যতিক্রমী হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে, তবে আলোচনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে এমন কোনো বিষয় ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃক অনুমোদন করা হবে না।

• কোনো পক্ষকে আইনি ঝামেলায় ফেলতে পারে এমন মন্তব্য করা যাবে না।

• বাণিজ্যিক প্রকৃতির কিংবা বিজ্ঞাপনীয় উপাদান/লিঙ্ক রয়েছে এমন মন্তব্য করা যাবে না।

• যেসব মন্তব্য স্প্যামিং বলে মনে হচ্ছে এবং একাধিক পোস্ট জুড়ে অভিন্ন মন্তব্য করলে সেগুলো মুছে ফেলা হবে।

• ঘৃণাত্মক, সহিংসতার প্ররোচনা দেয় অথবা ধর্মকে আক্রমণ করে এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না।