ভয়েস অব পটিয়াঃ পটিয়ায় করোনা আক্রান্ত বাকপ্রতিবন্ধী ৬ বছরের শিশুটি মারা গেছে। করোনা শনাক্তের পর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করার পরপরই শিশুটি মারা যায়।
করোনা : পটিয়ায় আক্রান্ত শিশুর মৃত্যু |
ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়ায় করোনা আক্রান্ত বাকপ্রতিবন্ধী ৬ বছরের শিশুটি মারা গেছে। করোনা শনাক্তের পর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করার পরপরই শিশুটি মারা যায়। গতকাল রাত ৮ টার দিকে শিশুটির নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ আসে। এর পরপরি শিশুটিকে পটিয়া থেকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অসীম কুমার নাথ জানান, গতকাল দিবাগত রাত ২টা ১০ মিনিটে শিশুটিকে হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। ভর্তির ২০ মিনিট পর শিশুটি মারা যায়। শিশুটির জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ছিল। চিকিৎসা শুরু হতে না হতেই মারা যায়। শিশুটি কিভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, তা তিনি জানাতে পারেননি। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় দুজনের মৃত্যু হলো। সর্বশেষ চট্টগ্রামে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে। এদের মধ্যে ১২ জন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পটিয়ার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ওই শিশুর পরিবার যে বাড়িতে থাকে, তার পাশেই এক ওমানফেরত প্রবাসী এবং এক ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়ি। তার মধ্যে ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়ি ওই শিশুর বাড়ির সাথে একেবারে লাগোয়া। ওই কর্মকর্তা ইসলামী ব্যাংকের ঢাকার একটি শাখায় কর্মরত। গত ৫-৬ দিন আগে ঢাকা থেকে পটিয়ায় নিজ বাড়িতে আসেন তিনি। অপরদিকে ওমানফেরত প্রবাসী ব্যক্তিটি পটিয়ার বাড়িতে এসেছেন মার্চের শেষের দিকে।
এ তথ্য জেনে সে সময় থেকে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারহানা জাহান উপমা পরপর দু দফায়, বিদেশফেরত ও ঢাকা থেকে ফেরত ব্যাংকার দুজনকেই হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা ওই নির্দেশ না মেনে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছিলেন। সর্বশেষ গত মঙ্গলবারও (০৮ এপ্রিল) ইউএনও ওই এলাকায় যান। নির্দেশ অমান্য করায় তাদের জরিমানা করতে চাইলে দুজনই তখন কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশনা মানবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
করোনায় আক্রান্ত মৃত্যুবরণকৃত বাকপ্রতিবন্ধী শিশুটির গত বৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) থেকেই সর্দি-কাশি-জ্বর শুরু হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে শনিবার (১১ এপ্রিল) শিশুটিকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. মো. জাবেদ জানান, শনিবার সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে প্রতিবন্ধী শিশুটিকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসে। এ সময় বর্হিবিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটির উপসর্গ দেখে ফ্লু কর্নারে নিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন। পরে ওই নমুনাটি চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। গতকাল রোববার (১২ এপ্রিল) রাতে নমুনা পরীক্ষায় শিশুটির করোনা পজেটিভ আসে।
শিশুটির পরিবারসূত্রে জানা যায়, তাদের এক চাচা হংকং থেকে মাসখানেক আগে পটিয়ার বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি এক সপ্তাহ বাড়িতে থাকার পর আবার হংকং চলে যান।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারহানা জাহান উপমা জানান, করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যে পটিয়ার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ৫০টিরও বেশি বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুটি যাওয়ার সময় কারা কারা সংস্পর্শে এসেছেন, শিশুটির বাবা কোথায় কোথায় যেতেন, কাদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন এসব বিষয়ে আরও নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে পটিয়া উপজেলা প্রশাসন। . নিশ্চিত হলে লকডাউনের পরিসর আরও বড় হতে পারে।
পটিয়ার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ওই শিশুর পরিবার যে বাড়িতে থাকে, তার পাশেই এক ওমানফেরত প্রবাসী এবং এক ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়ি। তার মধ্যে ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়ি ওই শিশুর বাড়ির সাথে একেবারে লাগোয়া। ওই কর্মকর্তা ইসলামী ব্যাংকের ঢাকার একটি শাখায় কর্মরত। গত ৫-৬ দিন আগে ঢাকা থেকে পটিয়ায় নিজ বাড়িতে আসেন তিনি। অপরদিকে ওমানফেরত প্রবাসী ব্যক্তিটি পটিয়ার বাড়িতে এসেছেন মার্চের শেষের দিকে।
এ তথ্য জেনে সে সময় থেকে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারহানা জাহান উপমা পরপর দু দফায়, বিদেশফেরত ও ঢাকা থেকে ফেরত ব্যাংকার দুজনকেই হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা ওই নির্দেশ না মেনে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছিলেন। সর্বশেষ গত মঙ্গলবারও (০৮ এপ্রিল) ইউএনও ওই এলাকায় যান। নির্দেশ অমান্য করায় তাদের জরিমানা করতে চাইলে দুজনই তখন কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশনা মানবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
করোনায় আক্রান্ত মৃত্যুবরণকৃত বাকপ্রতিবন্ধী শিশুটির গত বৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) থেকেই সর্দি-কাশি-জ্বর শুরু হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে শনিবার (১১ এপ্রিল) শিশুটিকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. মো. জাবেদ জানান, শনিবার সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে প্রতিবন্ধী শিশুটিকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসে। এ সময় বর্হিবিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটির উপসর্গ দেখে ফ্লু কর্নারে নিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন। পরে ওই নমুনাটি চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। গতকাল রোববার (১২ এপ্রিল) রাতে নমুনা পরীক্ষায় শিশুটির করোনা পজেটিভ আসে।
শিশুটির পরিবারসূত্রে জানা যায়, তাদের এক চাচা হংকং থেকে মাসখানেক আগে পটিয়ার বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি এক সপ্তাহ বাড়িতে থাকার পর আবার হংকং চলে যান।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারহানা জাহান উপমা জানান, করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যে পটিয়ার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ৫০টিরও বেশি বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুটি যাওয়ার সময় কারা কারা সংস্পর্শে এসেছেন, শিশুটির বাবা কোথায় কোথায় যেতেন, কাদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন এসব বিষয়ে আরও নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে পটিয়া উপজেলা প্রশাসন। . নিশ্চিত হলে লকডাউনের পরিসর আরও বড় হতে পারে।
জাতীয়-আন্তর্জাতিক সংবাদসহ পটিয়া সম্পর্কে জানতে ও জানাতে আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে থাকুন।
জানাতে পারেন আপনার মন্তব্য :
0 comments so far,add yours
~ মন্তব্য নীতিমালা ~
😀 আমাদের প্ল্যাটফর্মে মন্তব্য, আলোচনা, সমালোচনা বজায় রাখার জন্য আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করেছি। আমরা আশা করি যে, কোন মন্তব্য পোস্ট করার সময় আপনারা তার অনুসরণ করবেন।
• ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃপক্ষ ভিজিটর কর্তৃক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে এমন মন্তব্যগুলো মুছে ফেলার অধিকার সংরক্ষণ করে।
• জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ, চেহারা বা অক্ষমতার ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি, কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি আপত্তিকর বা আক্রমণ করে এমন ভাষায় মন্তব্য করা যাবে না।
• আলোচনার বিষয়ের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না। কিছু বিষয় ব্যতিক্রমী হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে, তবে আলোচনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে এমন কোনো বিষয় ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃক অনুমোদন করা হবে না।
• কোনো পক্ষকে আইনি ঝামেলায় ফেলতে পারে এমন মন্তব্য করা যাবে না।
• বাণিজ্যিক প্রকৃতির কিংবা বিজ্ঞাপনীয় উপাদান/লিঙ্ক রয়েছে এমন মন্তব্য করা যাবে না।
• যেসব মন্তব্য স্প্যামিং বলে মনে হচ্ছে এবং একাধিক পোস্ট জুড়ে অভিন্ন মন্তব্য করলে সেগুলো মুছে ফেলা হবে।
• ঘৃণাত্মক, সহিংসতার প্ররোচনা দেয় অথবা ধর্মকে আক্রমণ করে এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না।