
ভয়েস অব পটিয়া : হেফাজতে ইসলামের আমির শায়খুল হাদিস আল্লামা শাহ আহমদ শফি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
![]() |
হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফি |
ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ হেফাজতে ইসলামের আমির শায়খুল হাদিস আল্লামা শাহ আহমদ শফি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০৫ বছর।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আল্লামা আহমদ শফির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আজ বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে ঢাকায় এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পরপরই সন্ধ্যা ৬.৩০টার দিকে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
শায়খুল হাদিস আল্লামা শাহ আহমদ শফি দীর্ঘদিন যাবত বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। অসুস্থতার কারণে এর আগেও কয়েক দফায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে গতকাল হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ ছাড়তে হয় আহমদ শফিকে। সেই সাথে তাঁর ছেলে আনাস মাদানী ও তাদের অনুসারী কয়েকজন সদস্যের দুর্নীতি-স্বেচ্ছাচারিতার কারণে মাদ্রাসা থেকে বরখাস্ত করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির (শূরা কমিটি) বৈঠকে আহমদ শফি পদত্যাগ করেন এবং তাঁর ছেলেসহ দুই শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে শূরা কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন নানুপুরী জানান।
উল্লেখ্য, তিনি বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশেরও (বেফাক) সভাপতি পদে ছিলেন। কওমী মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিস সনদকে ‘মাস্টার্স সমমান (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)’ প্রদানে মূল ভূমিকা পালন করেন তিনি।
আল্লামা শাহ আহমদ শফির জন্ম চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পাখিয়ারটিলা গ্রামে। তিনি দুই ছেলে ও তিন মেয়ের জনক।
আল্লামা শফির শিক্ষাজীবন শুরু হয় রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা মাদ্রাসায়। এরপর পটিয়ার আল জামিয়াতুল আরাবিয়া মাদ্রাসায় (জিরি মাদ্রাসা) পড়াশোনা করেন তিনি।
পরে হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা এবং ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন তিনি।
১৯৮৬ সালে হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালক (মুহতামিম) হিসেবে দায়িত্ব নেন আল্লামা শাহ আহমদ শফি। টানা ৩৪ বছর ধরে এই দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
তাঁর ইন্তেকালের মধ্য দিয়ে হাটহাজারী মাদ্রাসায় দৃশ্যত আহমদ শফির সুদীর্ঘ কর্তৃত্বের অবসান ঘটলো। এই মাদ্রাসার মহাপরিচালক হিসেবে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন আহমদ শফি, যাদের কাছে তিনি ‘বড় হুজুর’ নামে পরিচিত।
জানাতে পারেন আপনার মন্তব্য :
0 comments so far,add yours
~ মন্তব্য নীতিমালা ~
😀 আমাদের প্ল্যাটফর্মে মন্তব্য, আলোচনা, সমালোচনা বজায় রাখার জন্য আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করেছি। আমরা আশা করি যে, কোন মন্তব্য পোস্ট করার সময় আপনারা তার অনুসরণ করবেন।
• ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃপক্ষ ভিজিটর কর্তৃক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে এমন মন্তব্যগুলো মুছে ফেলার অধিকার সংরক্ষণ করে।
• জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ, চেহারা বা অক্ষমতার ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি, কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি আপত্তিকর বা আক্রমণ করে এমন ভাষায় মন্তব্য করা যাবে না।
• আলোচনার বিষয়ের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না। কিছু বিষয় ব্যতিক্রমী হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে, তবে আলোচনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে এমন কোনো বিষয় ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃক অনুমোদন করা হবে না।
• কোনো পক্ষকে আইনি ঝামেলায় ফেলতে পারে এমন মন্তব্য করা যাবে না।
• বাণিজ্যিক প্রকৃতির কিংবা বিজ্ঞাপনীয় উপাদান/লিঙ্ক রয়েছে এমন মন্তব্য করা যাবে না।
• যেসব মন্তব্য স্প্যামিং বলে মনে হচ্ছে এবং একাধিক পোস্ট জুড়ে অভিন্ন মন্তব্য করলে সেগুলো মুছে ফেলা হবে।
• ঘৃণাত্মক, সহিংসতার প্ররোচনা দেয় অথবা ধর্মকে আক্রমণ করে এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না।