পটিয়ার সম্ভাবনাময় প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র 'বুদবুদিছড়া'
ইতিহাস
সরকারী নজরদারী ও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও গ্রামের গহীন অরণ্যে অবস্থিত ‘বুদবুদি ছড়া’ হতে পারে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের অন্যতম বিচরণ ক্ষেত্র।
দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে প্রয়োজন সরকারের সুদৃষ্টি এবং পৃষ্ঠপোষকতা। পাহাড়ী ঝর্ণা, ছোট লেক, বন্য প্রাণী এবং জ্বলন্ত গ্যাসের ‘বুদবুদ’ উদগীরণ দেশী-বিদেশী পর্যটকদের জন্য হতে পারে মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক নান্দনিকতার শ্রেষ্ঠ মেলবন্ধন।
স্থানীয় ভাষায় এ অঞ্চল ‘বুদবুদি ছড়া’ নামে খ্যাত। পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও গ্রামের শেষপ্রান্তে এর অবস্থান।
স্থানীয় ভাষায় এ অঞ্চল ‘বুদবুদি ছড়া’ নামে খ্যাত। পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও গ্রামের শেষপ্রান্তে এর অবস্থান।
যথাযথ প্রচার ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নের অভাবে এ প্রাকৃতিক স্বর্গরাজ্য বাংলাদেশের মানুষের কাছে এক প্রকার অজানা-ই রয়ে গেছে। শুধুমাত্র পটিয়ার মানুষজনের কাছে কিছুটা পরিচিতি থাকলেও চট্টগ্রামের মানুষজন এ সর্ম্পকে তেমন জানেন না।
এ যেন এক কল্পনার রাজ্য। পাহাড়ের মাঝে মাঝে বিশাল গিরিখাত, তার মাঝে বয়ে যাওয়া বহমান লেক আর পাহাড়ি ছড়া। পানির ছড়া পেরিয়ে বনের গহীনে আবিষ্কার করতে পারবেন পাহাড়ী চায়ের দোকান আর সেখানেই পেয়ে যাবেন এক কাপ চায়ের মজা। একে একে পাড়ি দিতে পারবেন সব পাহাড় পর্বত। লোকালয় ফেলে গহীন থেকে গহীনে, পানির ছড়া বেয়ে হেঁটে যাওয়া। হঠাৎ তীব্র গরম। বুঝতে পারবেন পৌঁছে গেছেন সেই কাঙ্খিত জায়গায়।
এ যেন এক কল্পনার রাজ্য। পাহাড়ের মাঝে মাঝে বিশাল গিরিখাত, তার মাঝে বয়ে যাওয়া বহমান লেক আর পাহাড়ি ছড়া। পানির ছড়া পেরিয়ে বনের গহীনে আবিষ্কার করতে পারবেন পাহাড়ী চায়ের দোকান আর সেখানেই পেয়ে যাবেন এক কাপ চায়ের মজা। একে একে পাড়ি দিতে পারবেন সব পাহাড় পর্বত। লোকালয় ফেলে গহীন থেকে গহীনে, পানির ছড়া বেয়ে হেঁটে যাওয়া। হঠাৎ তীব্র গরম। বুঝতে পারবেন পৌঁছে গেছেন সেই কাঙ্খিত জায়গায়।
এদেশে নাকি প্রাকৃতিক গ্যাসের অভাব নেই! ব্রিটিশরা দেশ থেকে বিতাড়িত হওয়ার আগে যেই কয়েকটি বিশাল তেলের খনিকে সীসা ঢালাই দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিল তার একটি এই বুদবুদি ছড়া। প্রায়ই এখানে গ্যাসের দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। যেন স্বর্গের মাঝে এক বিশাল নরক! আপনি চাইলে মাটি খুঁড়ে দিয়াশলাই দিয়ে জ্বালাতে পারবেন আগুনও! আপনি পাবেন এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।
একদিকে গহীন অরণ্য দাবিয়ে বেড়ানো বনজ প্রাণীর সাথে ফ্রি গ্যাস সাপ্লাইয়ে তরতাজা রান্নার সুযোগ বাংলাদেশের অন্য কোন পর্যটন স্পটে পাওয়া দুষ্কর। ১০-১২ মাইল গহীন অরণ্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই। বুনো পেয়ারা, লেবু এবং বুনো হাতির মিতালী মন ভালো করার এ যাদুকরী উপাদান মিলবে এখানে।
কিভাবে যাবেন বুদবুদি ছড়াঃ-
চট্টগ্রাম শাহ আমানত ব্রীজ (কর্ণফুলী ৩য় সেতু) সংলগ্ন বাস স্ট্যান্ড হতে পটিয়াগামী যেকোন বাসে/বিআরটিসি বাসে করে পটিয়া ডাকবাংলোর মোড় নামবেন। এরপর পটিয়া ডাকবাংলো মোড় হয়ে টেম্পু, টেক্সী-সিএনজি করে যাওয়া যায় এ স্পটে। রয়েছে স্থানীয়দের বিভিন্ন খাবারের দোকান। রাত্রি যাপনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় ফিরতে হবে সন্ধ্যার আগেই। কারণ, সন্ধ্যা নামার আগে না ফিরলে বন্য হাতি, মোরগ কিংবা শেয়ালের দৌরাত্ম উপভোগ করা গেলেও অনেক সময় তা সুখকর নাও হতে পারে। সমস্যা থেকে উত্তরণে প্রয়োজন প্রশাসনের নজরদারী এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা। পর্যটক টানতে আবাসন সমস্যার সমাধান জরুরী সবার আগে।
পটিয়া সম্পর্কে আরো জানতে ও জানাতে আমাদের ফেসবুক পেজের সাথেই থাকুন।
0 comments so far,add yours
~ মন্তব্য নীতিমালা ~
😀 আমাদের প্ল্যাটফর্মে মন্তব্য, আলোচনা, সমালোচনা বজায় রাখার জন্য আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করেছি। আমরা আশা করি যে, কোন মন্তব্য পোস্ট করার সময় আপনারা তার অনুসরণ করবেন।
• ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃপক্ষ ভিজিটর কর্তৃক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে এমন মন্তব্যগুলো মুছে ফেলার অধিকার সংরক্ষণ করে।
• জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ, চেহারা বা অক্ষমতার ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি, কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি আপত্তিকর বা আক্রমণ করে এমন ভাষায় মন্তব্য করা যাবে না।
• আলোচনার বিষয়ের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না। কিছু বিষয় ব্যতিক্রমী হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে, তবে আলোচনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে এমন কোনো বিষয় ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃক অনুমোদন করা হবে না।
• কোনো পক্ষকে আইনি ঝামেলায় ফেলতে পারে এমন মন্তব্য করা যাবে না।
• বাণিজ্যিক প্রকৃতির কিংবা বিজ্ঞাপনীয় উপাদান/লিঙ্ক রয়েছে এমন মন্তব্য করা যাবে না।
• যেসব মন্তব্য স্প্যামিং বলে মনে হচ্ছে এবং একাধিক পোস্ট জুড়ে অভিন্ন মন্তব্য করলে সেগুলো মুছে ফেলা হবে।
• ঘৃণাত্মক, সহিংসতার প্ররোচনা দেয় অথবা ধর্মকে আক্রমণ করে এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না।