"ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রাত পোহালেই পটিয়ার ১৭ ইউনিয়নের নির্বাচন; ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন; নির্বাচন কমিশন; ইভিএম; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; Union; Election; Up Election; Election Commission; Local Government
রাত পোহালেই পটিয়ার ১৭ ইউনিয়নের নির্বাচন

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ রাত পোহালেই পটিয়া উপজেলার ইউনিয়নগুলোর নির্বাচন। 
২৬ ডিসেম্বর ৪র্থ ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পটিয়ার ১৭ ইউনিয়নের - শোভনদন্ডী, বড়লিয়া ও দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিনাভোটে চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন। এসব ইউনিয়নের সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদ সহ বাকি ১২টি ইউনিয়নে ব্যালট পেপারে এবং ২টি ইউনিয়ন- হাবিলাসদ্বীপ, কুসুমপুরা ইউনিয়নে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

পটিয়ার ইউনিয়নগুলো হচ্ছে, কোলাগাঁও, কাশিয়াইশ, আশিয়া, কুসুমপুরা, জিরি, জঙ্গলখাইন, বড়লিয়া, ধলঘাট, হাবিলাসদ্বীপ, হাইদগাঁও, কেলিশহর, কচুয়াই, খরনা, শোভনদন্ডী, ভাটিখাইন, ছনহরা এবং দক্ষিণ ভূর্ষি। 

ইউনিয়নগুলো ১৬০ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১০০ টি কেন্দ্র বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন ও পটিয়া উপজেলা প্রশাসন। যার মধ্যে কুসুমপুরা, কোলাগাঁও, হাবিলাসদ্বীপ, জঙ্গলখাইন, ছনহরা, কচুয়াই, হাইদগাঁও, ধলঘাট, খরনা, জিরি, কাশিয়াইশ ও আশিয়া ইউনিয়নের ৫০টি ভোটকেন্দ্রকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরাফাত আল হোসাইনী নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘পটিয়ার ১৭টি ইউনিয়নে নির্বাচনের জন্য আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। নির্বাচন গ্রহণে যতটুক প্রস্তুতি দরকার তা আমরা সম্পন্ন করতে পেরেছি। নির্বাচনী সামগ্রীসহ ব্যালট পেপার পৌঁছে গেছে। এলাকাগুলোতে ব্যালট পেপার বন্টন শুরু হয়েছে।’ 

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সংঘাত-খুনের মত ঘটনা ঘটেছে। পটিয়া উপজেলার ইউনিয়নগুলোর নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহণে একটি ভোট উৎসব প্রত্যাশা করা হলেও এটি উৎসবের হবে, নাকি শঙ্কার?? তা নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরুর পর ইউনিয়নগুলোর বিভিন্ন স্থানে পাল্টাপাল্টি এক পক্ষের আরেক পক্ষের উপর হামলা-ভাঙচুরে ভোটের দিন অবাধ, সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্টের আশঙ্কা করা হচ্ছে। নির্বাচনের অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলো সমর্থিত প্রার্থী, বিদ্রোহী প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এ ধরনের সহিংসতার জন্য একে অন্যকে দোষারোপ করেছে। তাছাড়াও আধিপত্য বিস্তার, বহিরাগত প্রবেশ ইত্যাদি নানা কারণে সংঘর্ষ-সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। 
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনকে ঘিরে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত অন্যান্য সংস্থাকে মোতায়েন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের সরঞ্জাম পৌঁছানো হচ্ছে। তবে ব্যালট পেপার যাবে ভোটগ্রহণের দিন ভোরে। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের জন্য সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।’