"কচুয়াই" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
কচুয়াই লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
পটিয়া পৌরসভা এলডিপির সাবেক সভাপতি কাজী ইয়াকুবের মৃত্যুবার্ষিকীতে নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধাঞ্জলী; অলি আহমদ; কর্ণেল অলি; এলডিপি; LDP; Colonel Oli; পটিয়া; চট্টগ্রাম; জেলা; Patiya; Chattogram; Chittagong
পটিয়া পৌরসভা এলডিপির সাবেক সভাপতি কাজী ইয়াকুবের মৃত্যুবার্ষিকীতে নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধাঞ্জলী


ভয়েস অব পটিয়া-সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ পটিয়া পৌরসভা এলডিপির সাবেক সভাপতি মরহুম কাজী মোহাম্মদ ইয়াকুব এর ২য় মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পটিয়া এলডিপির নেতাকর্মীরা।

গত ০৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে সাবেক এ নেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পটিয়া উপজেলা ও পটিয়া পৌরসভা এলডিপির নেতাকর্মীদের উদ্যোগে কচুয়াই ইউনিয়নাধীন মরহুমের কবরে কবর জিয়ারত, পুষ্পমাল্য অর্পন, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন পটিয়া পৌরসভা এলডিপি নেতা নজরুল ইসলাম, আসিফ হুদা, শাহ আলম, পটিয়া উপজেলা এলডিপি নেতা খোরশেদ আলম, গণতান্ত্রিক যুবদল পটিয়া পৌরসভার সাবেক সভাপতি মুজিবুর রহমান, গণতান্ত্রিক যুবদল নেতা মোহাম্মদ আলী, নাঈম, গণতান্ত্রিক ছাত্রদল নেতা তানিম, ইরফান, মিনহাজ, রবি প্রমুখ।

নেতাকর্মীরা মরহুম কাজী ইয়াকুবের দলের প্রতি অবদান ও তাঁর রাজনৈতিক জীবন নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় পটিয়া পৌরসভা এলডিপি নেতা আসিফ হুদা বলেন, ‘বাংলার রাজনীতির চাণক্য ডক্টর কর্ণেল (অবঃ) অলি আহমদ বীর বিক্রম এলডিপি প্রতিষ্ঠা করে যে রাজনীতির ধারার সূচনা করেছিলেন সেই রাজনীতিকে পটিয়ায় ধরে রাখতে কাজী ইয়াকুব এর অবদান অনস্বীকার্য।’
পাহাড়ী ঢলে পটিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Flood; Voice of Patiya; Patiya; Chittagong; Chattogram;
পাহাড়ী ঢলে পটিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পাহাড়ী ঢল ও টানা বর্ষণে পটিয়া উপজেলার ১৭ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্লাবনে ভেসে গেছে বসতবাড়িসহ প্রায় দুশতাধিক পুকুরের মাছ। রোববার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। এ প্লাবণের ফলে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে উপজেলার কেলিশহর, হাইদগাঁও, কচুয়াই, খরনা, ভাটিখাইন, ছনহরা, ধলঘাট, হাবিলাসদ্বীপ, জিরি, কুসুমপুরা, আশিয়া, কোলাগাঁও ছাড়াও পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড। 

প্রবল বৃষ্টির কারণে উপজেলার অধিকাংশ স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের স্রোতে উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নের অনেক বসতঘর ভেসে গিয়েছে। পানিতে আটকা পড়েছেন অনেকে। পানিতে আটকা পড়াদের ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে সঠিক সময়ে বৃষ্টির অভাবে কৃষকরা শুরু করতে পারেনি আমন ধানের চাষাবাদ। তবে অনেক কৃষক আমন চাষাবাদের বীজ রোপণ করলেও অতি বৃষ্টির ফলে বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে।
কচুয়াই ইউনিয়নাধীন শ্রীমাই খালের বেড়িবাঁধ ভেঙে পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে লোকালয়। বেড়িবাঁধের ভাঙনের ফলে ভাটিখাইন, ছনহরা ও কচুয়াই ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখে যায়, টানা চারদিনের ভারী বর্ষণে উপজেলার ১৭ ইউনিয়ন ও পৌরসভার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এরিমধ্যে পটিয়া পৌর কর্তৃপক্ষের অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ি ঢলে ও বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে। বুধবার সকাল থেকেই অনেকটা গৃহবন্দি হয়েছে পড়েছেন সাধারণ জনগণ। পুকুর থেকে ভেসে যাওয়া মাছ ধরতে বিভিন্ন এলাকার লোকজন প্রতিযোগিতায় মেতেছেন। উপজেলা ও পৌর এলাকার অনন্ত দুশতাধিক পুকুরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পানিতে ভেসে গেছে। 

এদিকে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কের পটিয়া পোস্ট অফিস মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে। শ্রীমাই খালের ভাটিখাইন এলাকার দুইটি স্পটে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

পাহাড়ী ঢলে পটিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; পাহাড়ী ঢলে পটিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; শ্রীমাই খালের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে উপজেলা প্রশাসন; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Voice of Patiya
ছবি: পাহাড়ী ঢলে ক্ষতিগ্রস্থ শ্রীমাই এলাকা পরিদর্শনে উপজেলা প্রশাসন

পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘টানা বর্ষণে পটিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। যেসব এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা সংগ্রহ করার কাজ চলছে।’ 
কচুয়াই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম ইনজামুল হক জসিম ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘শ্রীমাই খালের বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পুরো কচুয়াই ইউনিয়ন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। লোকজন আতংকের মধ্যে রয়েছে। যে কোনো মুহুর্তে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’  

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিশু পাইকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।  প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ এসব এলাকা পরির্দশন করে ক্ষতিগ্রস্থদের নামের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারীভাবে সহযোগীতা প্রদান করা হবে বলে তারা আশ্বস্ত করেন।

পাহাড়ী ঢলে পটিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; ত্রাণ বিতরণ;ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Voice of Patiya
ছবি: পাহাড়ী ঢলে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের ত্রাণ বিতরণ

ইতিমধ্যে ভাটিখাইন ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন বিভাগ কর্তৃক বরাদ্দকৃত ত্রাণের আওতায় উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। 
পটিয়ার পূর্বাঞ্চল অভয়ারণ্য পাহাড়ে চলছে অবাধে বৃক্ষ নিধনের মহোৎসব; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ার পূর্বাঞ্চল অভয়ারণ্য পাহাড়ে চলছে অবাধে বৃক্ষ নিধনের মহোৎসব; বাঁশ পাচারের দৃশ্য

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার পূর্বাঞ্চল পাহাড়ে কমলাছড়ি, কুরুশিয়া, ধোপাছড়ি অভয়ারণ্যে সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তার যোগসাজশে বৃক্ষ নিধনের মহোৎসব চলছে। 

১২ জনের এসএনজি সদস্য টিম প্রধান আবু তাহেরের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে কমলাছড়ির বিট কর্মকর্তা শাহ আলম ও কুরুশিয়ার রেঞ্জার কাজী আলাউদ্দিনের যোগসাজোসে মাসোহারার বিনিময়ে অভয়ারণ্যে বৃক্ষ নিধনের ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফলে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। 

জানা যায়, গত ১৫ দিন পূর্বে এসএনজি টিম প্রধান আবু তাহেরের নেতৃত্বে অভয়ারণ্যে সরকারী গাছ, বাঁশ পাচারের সময় ১৬ ব্যক্তিকে আটকের পর কমলছড়ির বিট কর্মকর্তা শাহ আলম স্থানীয় আলমগীর সওদাগরের জিম্মায় ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই ১৬ ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ জানান। 

এছাড়াও আবু তাহেরের নেতৃত্বে পাহাড়ী সন্ত্রাসী জড়ো করে চোলাই মদ পাচার, স্থানীয় লোকজনদেরকে জিম্মি করে টাকা আদায়সহ একাধিক অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে রাঙ্গুনিয়ার কমলাছড়ি, কুরুশিয়ার, পটিয়ার পূর্বাঞ্চলে শ্রীমাই বিট, জঙ্গলশীধল, লালুটিয়া, লালপাহাড়, চন্দনাইশের ধোপাছড়ি, বোয়ালখালীর করলডেঙ্গা, বান্দরবানের রাজার হাট পাহাড়ে সরকারী সংরক্ষিত গাছ বাঁশ পাচারে একাধিকবার এ সংক্রান্ত সংবাদ স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলেও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে।

বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রামের বন কর্মকর্তা বিপুল দাশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকায় একটি প্রোগ্রামে ব্যস্ত থাকার অজুহাতে কলটি কেটে দেন এবং এ ব্যাপারে পরে কথা বলে জানাবেন বললেও তাকে কল করে আর পাওয়া যায়নি। 
বাঁশ পাচারের ব্যাপারে বিট কর্মকর্তা শাহ আলম ও কুরুশিয়ার রেঞ্জার কাজী আলাউদ্দিনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদেরও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে অভয়ারণ্য পাহাড়ে সরকারী বৃক্ষ নিধন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পাহাড়ে বসবাসরতরা।
পটিয়ার কচুয়াই-এ সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৩; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ার কচুয়াই-এ সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৩

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ফারুকী পাড়ায় এক সন্ত্রাসী হামলায় ৩ জন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার খোরশেদ আলম নামক এক সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে ১৪/১৫ জনের একটি দল আবুল হোসেন ফারুকী নামক এক ব্যক্তির বসত ঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। এতে বাধা দিতে গেলে ৩ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। আহতরা হলেন, মোঃ আবুল হোসেন ফারুকী (৫৫), রোকেয়া বেগম (৫০), বাদীর স্ত্রী সুলতানা বেগম (২৩)। আহতদেরকে মারধর করে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় বলে বাদী জানান। 

জানা যায়, সন্ত্রাসী খোরশেদ আলম এর আদিনিবাস উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাই, নারী-নির্যাতন মামলাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সে বর্তমানে ফারুকী পাড়ায় এসে বসতবাড়ি স্থাপন করে বসবাস শুরু করছে। হাইদগাঁও এলাকাবাসী খোরশেদ আলমকে তার এসব অপকর্মের জন্য একাধিকবার গণধোলাই দিয়ে এলাকাছাড়া করে। এরপর সে ফারুকী পাড়ায় এসে এখনো এসব অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে যাচ্ছে বলে জানায় এলাকাবাসী। এই অপকর্ম থেকে মুক্তির জন্য এলাকাবাসী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

এ ব্যাপারে পটিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ নং- এসডিআর-৪২৯০/১৫।
টানা বর্ষণে পটিয়ার মৎস্য চাষীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি


ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে পটিয়া উপজেলার ৫ শতাধিক মৎস্য চাষী ও ২০টি হ্যাচারী মালিকের মৎস্য পোনা পানিতে তলিয়ে গিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।

পটিয়া পৌর সদরের প্রায় শতাধিক মৎস্য চাষী চলতি বছর পোনা উৎপাদনের জন্য হালদা নদীর মৎস্য প্রজননের ডিম সংগ্রহ করে এগুলো রেনুতে পরিনত করে। পোনা  উৎপাদন ও বিক্রয় মুহুর্তে বন্যার পানিতে মূল্যবান মাছের পোনা ভেসে যায় বলে মৎস্য চাষীরা জানান।

পটিয়া উপজেলার খরনা, কেলিশহর, হাইদগাঁও, কচুয়াই, ধলঘাট, জঙ্গলখাইন ইত্যাদি ইউনিয়নগুলোতে প্রায় ৪ শতাধিক মৎস্য উৎপাদন পুকুর রয়েছে। পুকুর গুলোর রুই, কাতলা, মৃগেল, সরপুটি, কার্প জাতীয় মাছের চাষ সহ পোনা উৎপাদন প্রক্রিয়া সৃষ্টি করা হয়।

জাতীয়ভাবে ২ বার পুরুস্কারপ্রাপ্ত মৎস্য চাষী ও হযরত ওয়াশিল ফকির মৎস্য উন্নয়ন হ্যাচারী (প্রাঃ লিঃ) এর পরিচালক এম.এম. এজাহার ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘এবারের বন্যায় পটিয়ার মৎস্য চাষীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এমনকি তার নিজের হ্যাচারীর প্রায় ১২ লক্ষ টাকার মৎস্য পোনা পানিতে ভেসে গেছে। তার হ্যাচারীতে রুই, কাতাল, মৃগেল, সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, মিরর কার্প, সরপুঁটি, কার্পু, চিতল, পাবদা, রূপচাঁদা, মনোসেক্স নাইলেটিকা মাছের পোনা উৎপাদন করা হয়ে থাকে। তিনি বছরে প্রায় কোটি টাকার পোনা উৎপাদন করেন বলে জানান। যার কারণে ২ বার জাতীয় পুরস্কার ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংগঠন থেকে ১২টি পুরস্কারপ্রাপ্ত হন তিনি। তিনি আরো বলেন এ বছর যে ক্ষতি হয়েছে সে কারণে পোনা উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা অর্জন করতে পারবেন না।’

পটিয়ায় উপজেলার উল্লেখ্যযোগ্য হ্যাচারীর মধ্যে রয়েছে হযরত ওয়াশিল ফকির মৎস্য উন্নয়ন হ্যাচারী, ডেঙ্গাপাড়ার এস.জে. ফিশ, জমজম ফিশ, খরনা ইউনাইটেড এ্যকুয়া ফার্ম, শাহ আমানত ফার্ম, আমজুর হাট ফার্ম। এর মধ্যে শাহ আমানত ফার্ম ও জম জম ফিশ বন্ধ হয়ে গেছে। তবে কমলমুন্সির হাট এলাকায় অবস্থিত সরকারী মৎস্য খামারের পোনা বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে।

জাতীয় মৎস্য চাষী এম.এম. এজাহার জানান মৎস্য পোনা উৎপাদন ও চাষীদের চাঙ্গা করতে সরকার ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষীদের আর্থিক অনুদানসহ সহজ কিস্তিতে ঋন দেয়ার ব্যবস্থা করলে মৎস্য চাষীরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। তিনি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
লালো বাহিনীর তান্ডবে অতিষ্ঠ পটিয়ার কমলমুন্সির হাটের ব্যবসায়ীরা; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
লালো বাহিনীর তান্ডবে অতিষ্ঠ পটিয়ার কমলমুন্সির হাটের ব্যবসায়ীরা

ভয়েস অব পটিয়া-কচুয়াই প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের অন্যতম ব্যবসায়িক কেন্দ্র পটিয়ার কমলমুন্সির হাট আজ লালো বাহিনীর হাতে জিম্মি। কমলমুন্সির হাটের ঐতিহ্য আজ হারানোর পথে।

জানা যায়, চট্টগ্রাম তথা পটিয়ার এই ব্যবসায়ীক হাটে রাজধানী ঢাকা থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩-৪ হাজার ব্যবসায়ী ব্যবসায়িক কার্যাবলী সম্পাদনের উদ্দেশ্যে আসেন, যাদের মধ্যে দৈনন্দিন প্রায় ৮-১০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়। এই ব্যবসায়িক কেন্দ্রের অন্যতম পণ্য হচ্ছে লেবু, কাঁঠাল, পেয়ারা, আনারস, কাকরোল, জিঙ্গা, ঢেড়শ এবং বিভিন্ন প্রকার সবজি। প্রতিদিন দূর-দুরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা পাইকারি দামে পণ্য ক্রয় করে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিয়ে যান এবং ভোক্তাদের চাহিদা মেটান। 

সব কিছু ঠিকঠাক ভাবে চললেও বর্তমানে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় রফিকুল ইসলাম বাহিনী ওরফে লালো বাহিনী নামের একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। 

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, প্রতি সপ্তাহের রবি ও বৃহস্পতিবার ২ দিন কমলমুন্সির হাট বসে। হাট কর্তৃপক্ষ তাদের চাহিদা মোতাবেক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টোল(হাসিল) নিয়ে থাকে। এই হাটে কোন ব্যবসায়িক সমিতি না থাকার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে ‘লালো বাহিনী’। এই বাহিনী প্রতিদিন বাণিজ্য করতে আসা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০ টাকা এবং ওজন পরিমাপক মেশিনের ভাড়া হিসেবে ২০ টাকাসহ মোট ৩০ টাকা করে চাঁদা নিচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী-লোকজন এর প্রতিবাদ করলে তাদেরকে লালো বাহিনীর সন্ত্রাসীরা মারধর করে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করেছে লালো বাহিনী। লালো বাহিনীর অন্যতম ক্যাডার রফিকুল ইসলাম ওরফে লালু, জামাল উদ্দিন ওরফে কালু ও রফিকুল ইসলাম ওরফে বুল্লে। বর্তমানে এই হাটে লালো বাহিনী এক আতঙ্কের নাম। 
এই বিষয়ে আলাপকালে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ভয়েস অব পটিয়াকে বলেন, ‘এই বাহিনীর হাতে সম্পূর্ণ বাজার জিম্মি; তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আস্তে আস্তে ব্যবসায়ীদের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ব্যবসায়ী জানান, লালো বাহিনী বিভিন্ন চোরাকারবারির সাথে সম্পৃক্ত; প্রতি রাত্রে বাজারে তারা মদ খেয়ে মাতলামী করে, কেউ তাদের হামলার ভয়ে কিছু বলতে পারেন না।’

এ বিষয়ে আরো জানতে লালো বাহিনীর প্রধান রফিকুল ইসলাম ওরফে সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। 

স্থানীয় ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা তার হাত থেকে এই ঐতিহ্যবাহী ব্যবসায়ীক কেন্দ্রকে উদ্ধার করে ব্যবসায়ীদেরকে অবাধে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ প্রদানের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পটিয়ার সাত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ড; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ার সাত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ড

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক: পটিয়া উপজেলার কমল মুন্সির হাটস্থ আনিস মার্কেটে গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরে দমকল বাহিনীর লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে আনুমানিক ২০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রাথমিকভাবে ধারনা করেন দমকল বাহিনীর কর্মকর্তারা।

স্থানীয়রা জানান, আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে ফলের দোকান, কুলিং কর্ণার সহ মোট সাতটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আনুমানিক ২০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পটিয়ার পাহাড়ে সন্ত্রাসী আতঙ্কে কর্মজীবীরা; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ার পাহাড়ে সন্ত্রাসী আতঙ্কে কর্মজীবীরা

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক: পটিয়ার পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ে ৩০/৪০ জনের সংঘবদ্ধ পাহাড়ী বাহিনীর আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আতঙ্কে দিন কাটছে কর্মজীবীদের।

পাহাড়ে কাজ করতে আসা বেশ কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মজীবী বলেন, ‘অগ্নিছড়া, বুদবুদি ছড়া, হিলছিয়া খাল, শ্রীমাইয়ের আগা, দক্ষিনচালার মুখে পাহাড়ীরা বর্তমানে অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে। ফলে চারদিকে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।’

জানা যায়, পটিয়ার পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ে প্রতিদিন অসংখ্য কর্মজীবী মানুষ বিভিন্ন সবজি, লেবু ও পেয়ারা বাগানে কাজ করতে আসেন। গত ৪/৫ দিন ধরে সেখানে পাহাড়ীয়া এলাকার কমলাছড়ির আবু তাহের ও নুরুল হকের নেতৃত্বে ৪০/৫০ জনের সংঘবদ্ধ একটি সন্ত্রাসী বাহিনী অসংখ্য কর্মজীবীকে অপহরণ করে গহীন অরণ্যে নিয়ে যায়। সেখানে দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি বেঁধে রেখে মুক্তিপণের টাকা আদায়ের চেষ্টা করে। যারা টাকা দেয় তাদেরকে দ্রুত ছেড়ে দিলেও ৪/৫ জনকে ১দিন ১ রাত বেঁধে রাখে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে প্রতিকার প্রার্থনা করেছেন। 

গতবছরের এ সময়ে তারা খরনা থেকে এক মৌলভীকে অপহরণ করে গভীর অরণ্যে নিয়ে গিয়েছিল সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রটি। পটিয়ার খরনা, কচুয়াই ও হাইদগাঁও থেকে পাহাড়ে কাজ করতে যাওয়া কর্মজীবীদের গত বছর এভাবে  বেঁধে রেখে টাকা আদায় করে চক্রটি।

এদিকে বনবিভাগের পাহাড়গুলো থেকে পাহাড়ীরা গাছ কেটে নেওয়ার জন্য সেখানে অস্থায়ী বসতী গড়ে তুললে বনবিভাগের লোকজনের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। পরে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।এর পর তারা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বর্তমানে আবারো একই কায়দায় সাধারণ মানুষকে বেঁধে নিয়ে গিয়ে টাকা আদায়ের কৌশল নেওয়ায় পাহাড়ের নিকতবর্তী এলাকাগুলোতে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করে হলে তিনি ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, যারা সেখানে অপরাধের সাথে জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
শ্রীমাই রেল ব্রীজের জরাজীর্ণ অবস্থা, যে কোন সময় দূর্ঘটনার আশঙ্কা; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
শ্রীমাই রেল ব্রীজের জরাজীর্ণ অবস্থা, যে কোন সময় দূর্ঘটনার আশঙ্কা

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক: ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে পটিয়ার শ্রীমাই খালের উপর ৩৮ নং রেল ব্রীজ। যে কোন সময় ভেঙে পড়ে ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। 
চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইনের পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নাধীন শ্রীমাই খালের উপর নির্মিত রেল সংযোগ ব্রীজটির জরাজীর্ণ অবস্থা। কাঠের স্লীপার এর সাথে বাঁশ দিয়ে আটকানো অবস্থায় কোনরকম ঠিকে আছে ব্রীজটি। দ্রুত মেরামত করা না হলে স্লীপারগুলো খুলে যে কোনসময় ঘটতে পারে রেল দুর্ঘটনা। রেল ব্রীজের এহেন জরাজীর্ণ অবস্থার কথা জেনেও রেল কর্তৃপক্ষের যেন নেই কোন মাথা ব্যাথা! 
তাছাড়া প্রতিনিয়ত শ্রীমাই রেল ব্রীজের নীচ থেকে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলনের ফলে সৃষ্টি হয়েছে ব্রীজের পিলারের পাশে অনেক গর্তের। এর ফলে আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেতে ব্রীজটির স্থায়ীত্বের।

স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, যদি রেললাইনের কোন জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটে তখন তড়িঘড়ি করে বাঁশ দিয়ে স্লীপার গুলো বেঁধে দেয়, এভাবে বছরের পর বছর পার হলেও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জরাজীর্ণ ব্রীজটির স্থলে নতুন ব্রীজ নির্মাণে নেয়নি কোন উদ্যোগ। তারা এর আশু সমাধান দাবি করেছেন।