কর্ণফুলী নতুন ব্রীজের জয়েন্টে ত্রুটি, ঝুঁকি এড়াতে গতিরোধক! |
ভয়েস অব পটিয়া-স্পেশাল ডেস্কঃ দক্ষিণ চট্টগ্রাম, পাহাড়ী কন্যা বান্দরবান ও পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে সারাদেশে সড়ক নেটওয়ার্কে যুক্ত করেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কর্ণফুলী নদীর উপর নির্মিত তৃতীয় কর্ণফুলী তথা শাহ আমানত সেতু (নতুন ব্রীজ)। সম্প্রতি এই সেতুতে নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে।
সেতুর দক্ষিণ প্রান্তের এক্সপানশন জয়েন্টে দেখা দিয়েছে ত্রুটি। ত্রুটি ও ঝুঁকি চিহ্নিত করতে ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশেষজ্ঞ দল সেতুটি পরিদর্শন করেছেন। সতর্কতার অংশ হিসেবে বিশেষজ্ঞ দলের পরামর্শে দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে গতিরোধক বসিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
সহসাই যদি কোন স্থায়ী পদক্ষেপ নেয়া না হয় এ সেতুটিতে বড় ধরনের কোন জটিলতা তৈরি হয়ে, চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আট উপজেলা, পার্বত্য জেলা বান্দরবান ও পর্যটন নগরী কক্সবাজার তথা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যোগাযোগে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হতে পারে।
সেতুটির নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) বলছে, সেতুর দক্ষিণ অংশের এক্সপানশন জয়েন্টে ত্রুটি দেখা দিয়েছে।
চীনা প্রযুক্তিতে শত বছরের আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করে নির্মিত সেতুটি ২০১০ সালে উদ্বোধনের ১১ বছর না যেতেই এই ধরনের ত্রুটি-ঝুঁকি কেন তৈরি হলো এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কেউ কথা বলতে রাজি হন নি।
তবে সড়ক ও জনপথ চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ‘সেতুর এক্সপানশন জয়েন্টে কিছু ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এগুলো মেরামতের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ সেতুর উপর পারাপারের সময় সব ধরনের গাড়ির গতি বেড়ে যায়। মূলত গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে আপাতত গতিরোধক বসানো হয়েছে।’
এদিকে শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে স্পিড র্যাম্পিং স্ট্রিপ (গতিরোধক) বসানোয় সেতু থেকে নামার সময় দক্ষিণ চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও কক্সবাজারগামী যানবাহনের জটলা তৈরি হয়েছে। যানবাহন চালকরা জানান, সেতু থেকে নামার সময় অনেকগুলো গতিরোধক দেওয়ার কারণে প্রতিবারই বাস কিংবা পণ্যবাহী ভারী যানবাহন ব্রেক চাপতে থাকলে আরও বেশি ঝুঁকির তৈরি হবে। এখন যানবাহনের গতি বেশি থাকলেও তা নিজের নিয়ন্ত্রণে নেমে যাচ্ছে। নামার সময় গতিরোধক থাকায় তাতে আরও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়বে বলে মন্তব্য করেন চালকরা।
এদিকে যাত্রীরা জানান, গতিরোধকগুলো অতিক্রম করার সময় তীব্র ঝাঁকুনি তৈরি হয়। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বেন বয়স্ক ও প্রসূতি নারীরা। যার ফলো রোগী ও প্রসূতি মায়েদের বেশি দুভোর্গ পোহাতে হবে।