"চট্টগ্রাম-কক্সবাজার" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
কর্ণফুলী নতুন ব্রীজের জয়েন্টে ত্রুটি, ঝুঁকি এড়াতে গতিরোধক!; পটিয়া; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার; বান্দরবান; কক্সবাজার; নতুন ব্রীজ; শাহ আমানত সেতু; কর্ণফুলী ব্রীজ; সেতু; সড়ক ও জনপথ; Patiya; Chittagong; Chattogram; Bandarban; Coxsbazar; Highway; Karnaphuli Bridge; Shah Amanat Bridge; China
কর্ণফুলী নতুন ব্রীজের জয়েন্টে ত্রুটি, ঝুঁকি এড়াতে গতিরোধক!

ভয়েস অব পটিয়া-স্পেশাল ডেস্কঃ দক্ষিণ চট্টগ্রাম, পাহাড়ী কন্যা বান্দরবান ও পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে সারাদেশে সড়ক নেটওয়ার্কে যুক্ত করেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কর্ণফুলী নদীর উপর নির্মিত তৃতীয় কর্ণফুলী তথা শাহ আমানত সেতু (নতুন ব্রীজ)। সম্প্রতি এই সেতুতে নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে।
সেতুর দক্ষিণ প্রান্তের এক্সপানশন জয়েন্টে দেখা দিয়েছে ত্রুটি। ত্রুটি ও ঝুঁকি চিহ্নিত করতে ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশেষজ্ঞ দল সেতুটি পরিদর্শন করেছেন। সতর্কতার অংশ হিসেবে বিশেষজ্ঞ দলের পরামর্শে দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে গতিরোধক বসিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

সহসাই যদি কোন স্থায়ী পদক্ষেপ নেয়া না হয় এ সেতুটিতে বড় ধরনের কোন জটিলতা তৈরি হয়ে, চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আট উপজেলা, পার্বত্য জেলা বান্দরবান ও পর্যটন নগরী কক্সবাজার তথা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যোগাযোগে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হতে পারে। 

সেতুটির নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) বলছে, সেতুর দক্ষিণ অংশের এক্সপানশন জয়েন্টে ত্রুটি দেখা দিয়েছে।
চীনা প্রযুক্তিতে শত বছরের আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করে নির্মিত সেতুটি ২০১০ সালে উদ্বোধনের ১১ বছর না যেতেই এই ধরনের ত্রুটি-ঝুঁকি কেন তৈরি হলো এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কেউ কথা বলতে রাজি হন নি। 
তবে সড়ক ও জনপথ চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ‘সেতুর এক্সপানশন জয়েন্টে কিছু ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এগুলো মেরামতের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ সেতুর উপর পারাপারের সময় সব ধরনের গাড়ির গতি বেড়ে যায়। মূলত গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে আপাতত গতিরোধক বসানো হয়েছে।’ 

এদিকে শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে স্পিড র‌্যাম্পিং স্ট্রিপ (গতিরোধক) বসানোয় সেতু থেকে নামার সময় দক্ষিণ চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও কক্সবাজারগামী যানবাহনের জটলা তৈরি হয়েছে। যানবাহন চালকরা জানান, সেতু থেকে নামার সময় অনেকগুলো গতিরোধক দেওয়ার কারণে প্রতিবারই বাস কিংবা পণ্যবাহী ভারী যানবাহন ব্রেক চাপতে থাকলে আরও বেশি ঝুঁকির তৈরি হবে। এখন যানবাহনের গতি বেশি থাকলেও তা নিজের নিয়ন্ত্রণে নেমে যাচ্ছে। নামার সময় গতিরোধক থাকায় তাতে আরও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়বে বলে মন্তব্য করেন চালকরা। 

এদিকে যাত্রীরা জানান, গতিরোধকগুলো অতিক্রম করার সময় তীব্র ঝাঁকুনি তৈরি হয়। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বেন বয়স্ক ও প্রসূতি নারীরা। যার ফলো রোগী ও প্রসূতি মায়েদের বেশি দুভোর্গ পোহাতে হবে।
পটিয়া বাইপাস সড়কে ফের ডাকাতি; পটিয়া বাইপাস; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প; পটিয়া লবণ শিল্প; চাঁনখালী খাল; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Patiya Bypass; Chittagong-Coxsbazar Highway; Chittagong; Chattogram; Highway; Patiya Salt industry
পটিয়া বাইপাস সড়কে ফের ডাকাতি

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া বাইপাস সড়কে ফের ডাকাতি। আজ রবিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১২.৩০টার সময় পটিয়া বাইপাস সড়কের ভাটিখাইন ইউনিয়নাধীন বাকখালী বড়ুয়ার টেক সম্মুখ এলাকায় সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের সদস্যরা বসতি এলাকা থেকে ৩ টি গরু ডাকাতি করে নিয়ে যায়। মসজিদের মাইকের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক এই খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনতা ও পুলিশের টহল দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার আগেই গরুচোর ডাকাতদলের সদস্যরা কমলমুন্সির হাটের দিকে পালিয়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ ডাকাত দলের কাউকে গ্রেফতার করতে পারে নি।

দীর্ঘদিন ধরে পটিয়া বাইপাস সড়কে দিনে-দুপুরে কিশোর গ্যাংয়ের চুরি-ছিনতাই, রাতে ডাকাতদলের উৎপাতে আতঙ্কগ্রস্থ বাইপাস সড়ক সংলগ্ন বসতির এলাকাবাসীরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক কঠোর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এখন অবধি এই এলাকা চোর-ডাকাতদের নিরাপদ রুট হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। এলাকাবাসী উক্ত সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম-পটিয়া রুটে যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে অভিযান; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
চট্টগ্রাম-পটিয়া রুটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছেন ইউএনও পটিয়া হাবিবুল হাসান

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম-পটিয়া রুটে যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। আজ বুধবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০টা হতে থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ছয়টি যাত্রীবাহী বাসকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

প্রায় প্রতিদিনই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া রুটে চট্টগ্রাম শহর তথা নতুনব্রীজ হতে নির্ধারিত ভাড়া ২০ টাকা পরিবর্তে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। দফায় দফার সংবাদ, মানববন্ধন-প্রতিবাদের পরও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হয়নি। বিশেষ করে প্রতি বৃহস্পতি-শুক্র ও শনিবার পটিয়াগামী গাড়িগুলোর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় বাসমালিক-ড্রাইভারদের দৌরাত্ম অব্যহত রয়েছে। 
এসব অভিযোগের সূত্র ধরে বুধবার (১৭ অক্টোবর) পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসানের এক বিশেষ অভিযানে সাধারণ যাত্রীদের নজর কেড়েছে।চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার বিভিন্ন স্পটে অভিযান চালিয়ে ছয়টি যাত্রীবাহী বাসকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেলে তিনি যে কোন সময় অভিযান চালাবেন। সাধারণ যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করতে হবে। প্রাথমিকভাবে অভিযুক্তদের জরিমানা করা হচ্ছে। এতে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে পরবর্তীতে কারাদন্ডও দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

পটিয়ায় সার্জেন্ট মহি আলম খালের দূষণরোধে মানববন্ধন; পটিয়া; চট্টগ্রাম; খাল দূষণ; ফুলকলি; সার্জেন্ট মহি আলম খাল; পরিবেশ; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় সার্জেন্ট মহি আলম খালের দূষণরোধে মানববন্ধন

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নাধীন সার্জেন্ট মহি আলম খালে কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশনের ফলে সৃষ্ট দূষণ বন্ধের দাবীতে গতকাল (শুক্রবার, ০৫ জুলাই) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া শাহগদী মার্কেট চত্বরে ‘ক্লিন বাংলাদেশ’ সংগঠনের ব্যানারে সর্বস্তরের জনসাধারণের অংশগ্রহণে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা সার্জেন্ট মহি আলম খালের দূষণ রোধে কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশন খালে বন্ধের দাবী জানান।

এতে বক্তারা বলেন, পটিয়ার বেশ কয়েকটি শিল্প-কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে সরাসরি খালে নিষ্কাশনের ফলে খাল সংলগ্ন আবাদি জমিগুলোতে প্রায় ৮ বছর ধরে বোরো ফসলের চাষ হয়না। শিল্প-কারখানার এসব বিষাক্ত বর্জ্য খালে পড়ে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছে। শিল্প-কারখানার এসব বর্জ্যের প্রভাবে ফসলি জমির সেচের পানি দূষিত হওয়ার প্রভাবে উপজেলার তিন শতাধিক একর ধানি জমিতে বোরো চাষাবাদ বন্ধ হয়ে পড়েছে। খালের পানি দূষিত হয়ে দুর্গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে যা ওই এলাকার পরিবেশকে বিষিয়ে তুলেছে। প্রতিনিয়তই এসব বিষাক্ত বর্জ্য খালে পড়ছে। শিল্প-কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য খালে পড়ে পানি দূষিত করে তুললেও পরিবেশ অধিদপ্তর অজানা কারণে নীরব। 

জোয়ার-ভাটার এই খালটির সঙ্গে চাঁনখালী, বোয়ালখালী খাল ও কর্ণফুলী নদীর সংযোগ রয়েছে। এর ফলে জোয়ার ও ভাটার সময় বিষাক্ত বর্জ্য কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে মিশছে। দূষিত পানির কারণে খালে জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। বিষাক্ত বর্জ্যের প্রভাবে সার্জেন্ট মহি আলম খালের পানি নষ্ট হয়ে নীল ও কালচে রং ধারণ করছে ও দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। দুর্গন্ধের প্রভাবে খালের আশপাশের বাড়িঘর, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও বহু মসজিদের মুসল্লিরা নামাজ পর্যন্ত আদায় করতে পারছেন না। খালের পাশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চলাচলরত হাজার হাজার যাত্রীকে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়তে হয় বিষাক্ত পানির দুর্গন্ধে। 

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পার্শ্বে পটিয়া উপজেলার আমজুর হাট মোড় থেকে শুরু করে মনসা বাদামতল এলাকার প্রায় ১৫ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তীর্ণ সার্জেন্ট মহি আলম খাল। এই খালের পানি দিয়ে উপজেলার উজিরপুর, নাইখাইন, গৈড়লা, লড়িহরা, দক্ষিণ হুলাইন, এয়াকুবদন্ডী, তিয়ারকুল, উজিরপুর, উনাইনপুরা ও পৌরসভার আল্লাই এলাকার কয়েকশ কৃষক ধানি জমিতে প্রতি মৌসুমে চাষাবাদ করে থাকেন। খালের সম্মুখে গড়ে উঠা শাহ আমানত নিটিং এ্যান্ড ডাইং, ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টসের বিষাক্ত বর্জ্য সরাসরি খালে ছেড়ে দেয়ার কারণে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এলাকার কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে খালের পানি পরীক্ষা করে পানি দূষিত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। খালের এই পানি দিয়ে বোরো চাষাবাদ করলে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিদিন যারা এই রুট দিয়ে চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াত করেন তাদের গৈড়লার মোড় হতে বাদামতল এলাকা পর্যন্ত পানির বাজে দুর্গন্ধে নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে যায়।

এলাকাবাসী অনতিবিলম্বে শিল্প-কারখানার বর্জ্য খালে নিষ্কাশন বন্ধের দাবী জানান। তারা এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা প্রশাসন ও সাংসদ হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পটিয়া বাইপাসে সড়ক দূর্ঘটনায় শ্যামলী বাসের ধাক্কায় নিহত ১, আহত ২;
পটিয়া বাইপাসে সড়ক দূর্ঘটনায় শ্যামলী বাসের ধাক্কায় নিহত ১; আহত ২

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া বাইপাস এলাকায় শ্যামলী পরিবহনের এক বাসের ধাক্কায় রহিম উদ্দিন (৩৮) নামে সিএনজি অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন দুই যাত্রী। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রহিম উদ্দিন পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন এলাকার মোঃ নূরনবীর ছেলে। আহত দুই যাত্রী হলেন- ভাটিখাইন এলাকার রফিকুল আলমের ছেলে মোঃ শুভ (১৭) ও একই এলাকার মোঃ মনিরুজ্জামানের ছেলে মোঃ বাদশা মিয়া (৪০)। 

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক মোঃ আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, পটিয়া বাইপাস এলাকায় শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস সিএনজি অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে একজন নিহতসহ তিনজন গুরুতর আহত হন। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রহিম উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দুইজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
লবণ পানিতে পিচ্ছিল চট্টগ্রাম-পটিয়া-কক্সবাজার মহাসড়ক যেন মৃত্যুফাঁদ; পটিয়া; চট্টগ্রাম; কক্সবাজার; মহাসড়ক; লবণ; Patiya; Chittagong; Chattogram; Coxsbazar; Highway; Salt industry
লবণ পানিতে পিচ্ছিল চট্টগ্রাম-পটিয়া-কক্সবাজার মহাসড়ক যেন মৃত্যুফাঁদ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ লবণ পানিতে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া অংশ। প্রতিদিন কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পানিযুক্ত অপরিশোধিত লবণ আনলোড করা হয় পটিয়ার ইন্দ্রপুল শিল্প এলাকায়। যার ফলে অপরিশোধিত লবণ থেকে ঝরে পড়া পানি পিচ্ছিল করে তুলছে ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প এলাকা সংলগ্ন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অংশের উভয় পাশের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়ক। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, ঝরছে প্রাণ। গত এক বছরে প্রায় ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে, আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ। যাদের বেশিরভাগই ছিল মোটরসাইকেল আরোহী। 

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, লবণ থেকে ঝরে পড়া পানিতে এত দুর্ঘটনা ঘটলেও তা বন্ধে এখনো পর্যন্ত প্রশাসন থেকে তেমন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে লক্ষ্য করা যায় নি। 

অপরদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পলিথিন দিয়ে লবণ পরিবহনের জন্য বার বার অবহিত করা হলেও তাতে কর্ণপাত করছে না লবণ ব্যবসায়ীরা। অনেক লবণ পরিবহনকারী ট্রাকে পলিথিন ব্যবহার করলেও ইন্দ্রপুল এলাকায় সড়কের উপর লবণ আনলোড করার সময় লবণাক্ত পানিতে সয়লাব হয়ে যায় মহাসড়ক। 

এদিকে পানিযুক্ত লবণ পরিবহনের ফলে মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত এবং পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনা বাড়ার কারণে গত জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রাম জেলার উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে পানিযুক্ত লবণ পরিবহনের নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে লবণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে মতবিনিময় করা হবে। 

এদিকে মহাসড়কের পাশে পানিযুক্ত লবণ আনলোড বন্ধে মিল মালিকদের নির্দেশনা দিয়েছে পটিয়া লবণ মিল মালিক সমিতি। তা সত্বেও সড়কের উপর লবণ আনলোড বন্ধ করেনি কেউ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পটিয়া লবণ শিল্প এলাকায় চাঁনখালী খাল দিয়ে লবণ বোঝাই ট্রলার আসা কমে গেলে ট্রাকে লবণ পরিবহন বেড়ে যায়। বিগত ১০ বছর ধরে ট্রাকে করে লবণ পরিবহন করা হলেও এতে কোন পলিথিন ব্যবহার করা হতো না। সম্প্রতি কিছু কিছু লবণ পরিবহনকারী পলিথিন ব্যবহার শুরু করলেও এতে তেমন একটা উন্নতি পরিলক্ষিত হয় নি। 

কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, চকরিয়া ও বাঁশখালী থেকে সড়ক পথে আসা ট্রাক থেকে লবণ আনলোড করার সময় ঝরে পড়া লবণের পানিতে ইন্দ্রপুল মহাসড়ক এলাকা সয়লাব হয়ে যায়। এসব ঝরে পড়া লবণাক্ত পানির ফলে, পটিয়া থানার মোড় হতে আমজুর হাট পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়ক সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে গত এক বছরে অসংখ্য দুর্ঘটনায় ১০ জনের প্রাণহানিসহ শতাধিক লোক আহত হয়। 

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের (দোহাজারী) নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ হাসান ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘পানিযুক্ত লবণ পরিবহন বন্ধ করতে জানুয়ারি মাসের জেলা উন্নয়ন সভায় পানিযুক্ত লবণ পরিবহনের ক্ষতিকারক দিকগুলো তুলে ধরা হয়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’ 
পটিয়া লবণ মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক আল্লাই ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘মহাসড়কের উপর যারা পানিযুক্ত লবণ আনলোড করেন তাদেরকে সতর্ক করে চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে মহাসড়কের উপর লবণ আনলোড বন্ধ করতে বলা হয়েছে। আমরা পুনরায় ওইসব মিল মালিকদের আবারো সতর্ক করব; অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘বিষয়টি অতিব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শীঘ্রই এ ব্যাপারে লবণ মালিকদের সাথে আলোচনায় বসব। তবে যারা সড়কের পাশে লবণ আনলোড করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পরিবেশ দূষণের দায়ে ফুলকলিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা | Voice of Patiya; পটিয়া

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ফুলকলি ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে পরিবেশ দূষণের দায়ে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর।

বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) অকার্যকর রেখে অপরিশোধিত তরল বর্জ্য পার্শ্ববর্তী খালের মাধ্যমে নদী দূষণের দায়ে বুধবার (২৭ মার্চ) এ জরিমানা করা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন এর নেতৃত্বে পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নাধীন নাইখাইন এলাকায় অবস্থিত ফুলকলি ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ফ্যাক্টরী পরিদর্শন করে পরিবেশ দূষণের প্রমাণ পায় পরিবেশ অধিদপ্তর।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মুক্তাদির হাসান ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ইটিপি অকার্যকর রেখে বাইপাস লাইনের মাধ্যমে বর্জ্য পার্শ্ববর্তী সার্জেন্ট মহিউল আলম খালে নির্গমন করে দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে আসছিল। খালে নির্গমন করে খালের পানি দূষণ করায় ফুলকলি ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সাথে এক মাসের মধ্যে ইটিপি কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে।’