"দক্ষিণ পটিয়া" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
দক্ষিণ পটিয়া লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
করোনা : ইয়েস ক্লাবের উদ্যোগে গরিব-দুস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ; করোনা; করোনা ভাইরাস; কোভিড; কোভিড১৯; স্যানিটাইজার; বিআইটিআইডি; আইইডিসিআর; স্বাস্থ্য অধিদপ্তর;  Corona; Corona Virus; Covid; Covid19; Sanitizer; BITID; IEDCR; Health Ministry
করোনা : ইয়েস ক্লাবের উদ্যোগে গরিব-দুস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

ভয়েস অব পটিয়া-সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ করোনা মহামারীর এই দূর্যোগে চারিদিকে কর্মহীন জনজীবন। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে দেশব্যাপী দৈনন্দিন সকল ধরনের চলাচল-কাজকর্মে সীমা আরোপ করা হয়েছে। এতে কর্মহীন হয়ে সবচেয়ে অবেহেলিতভাবে দিনাতিপাত করছে গরিব-দুস্থ খেটে খাওয়া মানুষরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গরিব ও দুস্থ পরিবারের সদস্যরা যাতে অনাহারে-অর্ধাহারে না ভুগে সে লক্ষ্যে পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়াধীন কৈয়গ্রামে ইয়েস ক্লাবের উদ্যোগে ৫০ টি গরিব-দুস্থ পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেল, লবণ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এতে ইয়েস ক্লাবের সদস্যরা উক্ত গ্রামের জনগণের মাঝে ‘করোনা ভাইরাস’ প্রতিরোধে করণীয়-সচেতনতার লক্ষ্যে প্রচারণা চালায়।
পাহাড়ী ঢলে পটিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Flood; Voice of Patiya; Patiya; Chittagong; Chattogram;
পাহাড়ী ঢলে পটিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পাহাড়ী ঢল ও টানা বর্ষণে পটিয়া উপজেলার ১৭ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্লাবনে ভেসে গেছে বসতবাড়িসহ প্রায় দুশতাধিক পুকুরের মাছ। রোববার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। এ প্লাবণের ফলে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে উপজেলার কেলিশহর, হাইদগাঁও, কচুয়াই, খরনা, ভাটিখাইন, ছনহরা, ধলঘাট, হাবিলাসদ্বীপ, জিরি, কুসুমপুরা, আশিয়া, কোলাগাঁও ছাড়াও পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড। 

প্রবল বৃষ্টির কারণে উপজেলার অধিকাংশ স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের স্রোতে উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নের অনেক বসতঘর ভেসে গিয়েছে। পানিতে আটকা পড়েছেন অনেকে। পানিতে আটকা পড়াদের ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে সঠিক সময়ে বৃষ্টির অভাবে কৃষকরা শুরু করতে পারেনি আমন ধানের চাষাবাদ। তবে অনেক কৃষক আমন চাষাবাদের বীজ রোপণ করলেও অতি বৃষ্টির ফলে বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে।
কচুয়াই ইউনিয়নাধীন শ্রীমাই খালের বেড়িবাঁধ ভেঙে পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে লোকালয়। বেড়িবাঁধের ভাঙনের ফলে ভাটিখাইন, ছনহরা ও কচুয়াই ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখে যায়, টানা চারদিনের ভারী বর্ষণে উপজেলার ১৭ ইউনিয়ন ও পৌরসভার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এরিমধ্যে পটিয়া পৌর কর্তৃপক্ষের অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ি ঢলে ও বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে। বুধবার সকাল থেকেই অনেকটা গৃহবন্দি হয়েছে পড়েছেন সাধারণ জনগণ। পুকুর থেকে ভেসে যাওয়া মাছ ধরতে বিভিন্ন এলাকার লোকজন প্রতিযোগিতায় মেতেছেন। উপজেলা ও পৌর এলাকার অনন্ত দুশতাধিক পুকুরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পানিতে ভেসে গেছে। 

এদিকে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কের পটিয়া পোস্ট অফিস মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে। শ্রীমাই খালের ভাটিখাইন এলাকার দুইটি স্পটে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

পাহাড়ী ঢলে পটিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; পাহাড়ী ঢলে পটিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; শ্রীমাই খালের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে উপজেলা প্রশাসন; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Voice of Patiya
ছবি: পাহাড়ী ঢলে ক্ষতিগ্রস্থ শ্রীমাই এলাকা পরিদর্শনে উপজেলা প্রশাসন

পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘টানা বর্ষণে পটিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। যেসব এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা সংগ্রহ করার কাজ চলছে।’ 
কচুয়াই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম ইনজামুল হক জসিম ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘শ্রীমাই খালের বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পুরো কচুয়াই ইউনিয়ন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। লোকজন আতংকের মধ্যে রয়েছে। যে কোনো মুহুর্তে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’  

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিশু পাইকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।  প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ এসব এলাকা পরির্দশন করে ক্ষতিগ্রস্থদের নামের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারীভাবে সহযোগীতা প্রদান করা হবে বলে তারা আশ্বস্ত করেন।

পাহাড়ী ঢলে পটিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; ত্রাণ বিতরণ;ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Voice of Patiya
ছবি: পাহাড়ী ঢলে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের ত্রাণ বিতরণ

ইতিমধ্যে ভাটিখাইন ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন বিভাগ কর্তৃক বরাদ্দকৃত ত্রাণের আওতায় উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। 
ঠেগরপুনি-ছনহরা সংযোগ সেতুর ভাঙনঃ সংস্কার হয়নি এক দশকেও, দুর্ভোগে এলাকাবাসী; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
ঠেগরপুনি-ছনহরা সংযোগ সেতুর ভাঙনঃ সংস্কার হয়নি এক দশকেও, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নাধীন ঠেগরপুনি এলাকায় শ্রীমতি খালের উপর নির্মিত সেতুর ভাঙন। সংস্কার হয়নি এক দশকেও। দুর্ভোগে এতদঞ্চলের জনগণ।

জানা যায়, ২০০৮ সালে পাহাড়ি ঢলের কবলে ভেঙে পড়ে ঠেগরপুনি-ছনহরা সড়ককে সংযোগ স্থাপনকারী সেতুটি। গত এক দশকেও সংস্কারের মুখ দেখেনি সেতুটি। যার ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়ে খালের ওপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে এই ইউনিয়নের ছয় গ্রামের বাসিন্দারা। ভাটিখাইন ঠেগরপুনি-ছনহরা-আশিয়া সড়কের ভাটিখাইন-ছনহরা সীমানার দিকে সেতুটির অবস্থান। 

স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ভাটিখাইন, ছনহরা ও আশিয়াসহ তিন ইউনিয়নের ছয় গ্রামের কৃষক, চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী, স্কুল-কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২০ হাজার মানুষ পটিয়া উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করেন। সংস্কারের অভাবে সেতুটি ব্যবহার করতে না পারায় সবাইকে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো ব্যবহার করতে হচ্ছে। 

সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, পটিয়া পৌর সদরের ছন্দা সিনেমা এলাকা থেকে সড়কটির শুরু। উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ভিতরে গেলে ভাটিখাইন ঠেগরপুনি এলাকা। আর এ ঠেগরপুনি এলাকায় শ্রীমতি খালের ওপর বাঁশের সাঁকোটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০ ফুট। সেতু ব্যবহার করতে না পারায় সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে সাঁকো পার হচ্ছে শিশু, শিক্ষার্থী, বয়স্কসহ গ্রামবাসীরা। 

ঠেগরপুনি গ্রামের এক বাসিন্দা ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, তার মেয়ে পাশের ছনহরা টিপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। এই সাঁকো পার হয়ে মেয়েকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন তিনি এই ভেবে যে, সাঁকো পার হতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে কয়েকটি শিশু খালে পড়ে যায়। ভাটিখাইন নলিনীকান্ত মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র অর্পণ বড়ুয়া বলে, বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় সাঁকোতে উঠলে তা দুলতে থাকে। বর্ষাকালে পাহাড়ি ঢলে সাঁকো নড়বড়ে হয়ে যায়। ফলে আমরা ভয়ের ভিতর থাকি। ছনহরা ইউনিয়নের উত্তর ছনহরা গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আবদুল গফুর (৬৫) বলেন, সাঁকো দিয়ে মাঠের ফসল নিয়ে বাড়িতে যাওয়া-আসার সময় কষ্টের সীমা থাকে না।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, সাঁকোর জায়গায় পাকা সেতু নির্মাণের জন্য পটিয়ার সাংসদ নিজেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও সেতুটি হয়নি। ভাটিখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বখতেয়ার ভয়েস অব পটিয়াকে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে পাকা সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। 

পটিয়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, পাকিস্তান আমলের জরাজীর্ণ সেতুটি ২০০৮ সালে পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যায়। সেখানে পাকা সেতু নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।
পটিয়ায় স্বপ্নযাত্রা ফাউন্ডেশনের আইসিটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্মশালা; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় স্বপ্নযাত্রা ফাউন্ডেশনের আইসিটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্মশালা

ভয়েস অব পটিয়া-সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ পটিয়ায় স্বপ্নযাত্রা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দু'দিন ব্যাপী ‘আইসিটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক কর্মশালা ০৯ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বিকেলে সম্পন্ন হয়েছে।

পটিয়া উপজেলার ছনহরা ষোড়শী বালা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত মোট ৫০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। 

মঙ্গলবার সকালে দু'দিন ব্যাপী কর্মশালাটি শুরু হয়ে গতকাল বুধবার বিকেলে সম্পন্ন হয়। সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বপ্নযাত্রা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বিজিসি ট্রাষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ধীমান বড়ুয়া। 

এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছনহরা ষোড়শী বালা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সুখরিতা রানী দেবী, ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান জনি হোড়, সাধারণ সম্পাদক যীশুদেব পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ এহসানুল হক, মোঃ আজিম, সোহেল, আবদুল্লাহ, বিশু বিশ্বাস, আসিফ, মুন্না, মাসুদ পাশা, রাব্বি, তৌহিদ, নয়ন শীল প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ধীমান বড়ুয়া তার বক্তব্যে বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলের স্কুল শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ ধরনের কর্মশালা বেশি বেশি আয়োজন করা দরকার। এতে করে শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা তথ্য প্রযুক্তির দিক থেকে এগিয়ে যাবে।’
পটিয়ায় বেড়িবাঁধ নির্মাণে অনিময়-দুর্নীতি, ভাঙ্গন আতঙ্কে ২০ হাজার মানুষ; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় বেড়িবাঁধ নির্মাণে অনিময়-দুর্নীতি, ভাঙ্গন আতঙ্কে ২০ হাজার মানুষ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন ও ছনহরা ইউনিয়নে সাড়ে ৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি বলে জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ জনগণ। যার ফলে গত কয়েক দিন আগে ভাটিখাইনে শ্রীমতি খালের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে কৃষক ও পুকুর ডুবে মৎস্য চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বর্তমানে আবারো ভাঙ্গন আতঙ্ক নিয়ে দুই উইনিয়নের ২০ হাজার মানুষ বসবাস করছে।

জানা যায়, প্রতিবছর পাহাড়ী ঢলের পানিতে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে যায় পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন ও ছনহরা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম। গত কয়েক দিন আগে টানা বর্ষণে শ্রীমাই খালের দু’পাশে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে কৃষক ও পুকুর ডুবে মৎস্য চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বেড়িবাঁধ নির্মাণের টাকা হরিলুটের কারণে উপজেলার ভাটিখাইন ও ছনহরা ইউনিয়নের ১০ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ ভাঙনের আশঙ্কার মধ্যে বসবাস করছে। আবারো যে কোন মুহূর্তে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানির প্রবল স্রোতে পুনরায় ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শ্রীমতি খাল এলাকার একাধিক জায়গায় গত কয়েক দিন আগের ভয়াবহ বন্যায় প্রায় ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ পাহাড়ি ঢলের বিভিন্ন স্থানে পানিতে বিলীন হয়ে যায়। যার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। বেড়িবাঁধগুলো ভেঙ্গে যাওয়ায় এসব পয়েন্ট দিয়ে ঢলের পানি লোকালয়ে প্রবাহিত হয়ে হাজার হাজার পরিবার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে লাখ লাখ টাকার পুকুরের মাছ। ফসলি জমি ডুবে গিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে সদ্য রোপণ করা আমন ফসল।

এদিকে ভাটিখাইন ও ছনহরা ইউনিয়নে পাহাড়ি ঢলে শ্রীমতি খালের পানি স্বাভাবিকের চাইতে বেড়ে গিয়ে আবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে ভাটিখাইন এলাকার ২ উইনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। দ্রত বেড়িবাঁধ মেরামত করা না গেলে লক্ষ লক্ষ টাকার জমির ফসল পাহাড়ি ঢলে বিলীন হয়ে যাবে। 

পাউবো ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ ও পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) উপজেলার শোভনদন্ডী, খরনা, কচুয়াই এলাকায় ২৫ কিলোমিটার খাল খনন, পাঁচটি স্লুইস গেইট মেরামত ও ভাটিখাইন-ছনহরা এলাকায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ করে। আর এ কাজটি মূল ঠিকাদার ইউনুচ এন্ড ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড পেয়ে থাকলেও সরকারী দলের প্রভাবশালীরা সিন্ডিকেট করে সাব ঠিকাদার হিসেবে বেড়িবাঁধের কাজ ভাগিয়ে নিয়ে অনিয়ম ও টাকা হরিলুট করেছে বলে পটিয়া উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় অভিযোগ করেছিলেন ভাটিখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। 

ভাটিখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বেড়িবাঁধ নির্মাণের সময় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি কাজ না করে লাখ লাখ টাকা হরিলুট করে টাকা আতৎসাত করেছে। এই বেড়িবাঁধ নির্মাণে কোনরকম নিয়মকানুন মানেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। বেড়িবাঁধ নির্মাণে উপরের অংশ ১৪ ফুট চওড়া ও নিচের অংশে ২৮ ফুট বাঁধ নির্মার্ণের কথা থাকলেও ৫০ ভাগ কাজও করেনি ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। বেড়িবাঁধের মধ্যে ২০ লক্ষ টাকার ঘাস লাগানোর কথা থাকলেও এক টাকারও ঘাস লাগায়নি। ফলে প্রতি বছর বৃষ্টিতে পাহাড়ী ঢলে ইউনিয়নের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। এসব অনিয়ম, দুর্নীতিতে সহযোগীতা করেছে পানি উন্নয়ন বোডের ঘুষখোর কর্মকর্তারা। ফলে গত কয়েক দিন আগে টানা বৃষ্টিতে ভাটিখাইন-ছনহরা সীমান্তে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বেশ কয়েকটি বাড়িঘরসহ রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।’
তিনি আরো জানান, শ্রীমতি খালের ভাঙনের বিষয়টি ইতোমধ্যে পটিয়া উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বললে ভাটিখাইন ইউনিয়নের শহিদুল আলম নামের এক ভুক্তভুগী ব্যাক্তি বলেন, ‘বেড়িবাঁধের মাটি মানুষ দিয়ে কাটার কথা থাকলেও তা এস্কেলেটর দিয়ে তড়িঘড়ি করে কেটেছে। এস্কেলেটর দিয়ে মাটি কাটার ফলে খালের পাড়ের মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এলাকার প্রাচীনতম হাজার হাজার গাছপালা নষ্ট করেছে।’

এ প্রসঙ্গে পটিয়া পানি উন্নয়ন বোডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকাটি ঝুঁকিপূর্ণ। গত কয়েক দিন আগে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উপজেলার পূর্বাঞ্চল পাহাড় থেকে আসা শ্রীমাই খালের বাঁধ ভেঙ্গে ভাটিখাইন ও ছনহরা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভাটিখাইন ও ছনহরা সীমান্তে বেড়িবাঁধ নির্মাণে কোন অনিয়ম হয়নি। শ্রীমতি খালের ব্যাপক ভাঙনের কথা স্বীকার করেন এবং অতি দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।’
পটিয়ায় প্রশাসনিক ব্যক্তিদের নাম ভাঙিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় প্রশাসনিক ব্যক্তিদের নাম ভাঙিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ মহাসড়কে সিএনজি এবং তিন চাকার যানবাহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার নির্বাহী আদেশ জারির করার পর থেকে পটিয়ার অভ্যন্তরীণ রোডগুলোতে সিএনজি চলাচলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে প্রায় প্রতিদিন যাত্রীদের সাথে কম-বেশী বাড়াবাড়ি থেকে শুরু করে মারামারি অব্যাহত রয়েছে।

অপরদিকে সিএনজি কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের দূর্ভোগে ফেলার পরিকল্পনা নিয়ে সিএনজি ধর্মঘট থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন এলাকার সার্ভিস বন্ধ রাখে। এ সমস্যা লাঘবে এলাকার প্রতিনিধিদের নিয়ে পটিয়া অটো-টেম্পো, টেক্সী, মাহেন্দ্র, রাবি, টাটা এইচ পরিবহন শ্রমিক কল্যাণ সমবায় সমিতি কার্যালয়ে ভাড়া বাড়ানোর জন্য এক পরামর্শ সভা করে এরপর গত ২২ শে আগষ্ট আলমদার পাড়া টেম্পো স্টেশনে, স্থানীয় যাত্রীদের নিয়ে এক পরামর্শ সভা করে, এতেও কোন সুরাহা হয় নি।

পটিয়ায় প্রশাসনিক ব্যক্তিদের নাম ভাঙিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram


সর্বশেষ আজ থেকে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, এসপি সার্কেল, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার জ্ঞাতসারে পটিয়া সদর হতে মূরালী ঘাট ও ছনহরা রোড়ের ভাড়া পুনঃ নির্ধারণ করা হয়েছে বলা হয় মর্মে এক নোটিশ জারী করে সিএনজি-টেম্পো সমিতি। এতে পটিয়া সদর হতে ধাউরডেঙ্গা রাস্তার মাথা মুরালী ২০/-, চাটরা ও বরিয়া স্কুল ১৮/- ভাটিখাইন স্কুল ও আলমদার পাড়া ১৩/-, ভাটিখাইন ব্রীজ ১০/-, উত্তর ও দক্ষিণ ছনহরা ২০/- নির্ধারণ করে এবং সে পরিমাণে ভাড়া আজ সকাল থেকে আদায় করা শুরু করেছে সিএনজি-টেম্পোগুলো। 

এতে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ইউএনও বরাবর অভিযোগ করেন। ইউএনও এলাকাবাসীদের সান্ত্বনা দেন এবং এদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

এ বিষয়ে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘থানা কর্তৃপক্ষের ভাড়া বাড়ানোর কোন এখতিয়ার নেই। তাছাড়া প্রশাসনিক ব্যক্তিদের নাম ভাঙিয়ে যদি ভাড়া আদায় করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে ভাটিখাইন, আলমদার পাড়া, চাটরা, ধাউরডেঙ্গা, মুরালী, ছনহরার বেশ কয়েকজন ব্যক্তির সাথে কথা বললে তারা জানান, ‘ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি সম্পুর্ণ অযৌক্তিক আর তা যদি করতে হয় তাহলে এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় সাপেক্ষে করতে হবে। এখানে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়।’

এ বিষয়ে শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি নুরুল আলমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি সম্পর্কে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অবগত আছেন।’
লালো বাহিনীর তান্ডবে অতিষ্ঠ পটিয়ার কমলমুন্সির হাটের ব্যবসায়ীরা; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
লালো বাহিনীর তান্ডবে অতিষ্ঠ পটিয়ার কমলমুন্সির হাটের ব্যবসায়ীরা

ভয়েস অব পটিয়া-কচুয়াই প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের অন্যতম ব্যবসায়িক কেন্দ্র পটিয়ার কমলমুন্সির হাট আজ লালো বাহিনীর হাতে জিম্মি। কমলমুন্সির হাটের ঐতিহ্য আজ হারানোর পথে।

জানা যায়, চট্টগ্রাম তথা পটিয়ার এই ব্যবসায়ীক হাটে রাজধানী ঢাকা থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩-৪ হাজার ব্যবসায়ী ব্যবসায়িক কার্যাবলী সম্পাদনের উদ্দেশ্যে আসেন, যাদের মধ্যে দৈনন্দিন প্রায় ৮-১০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়। এই ব্যবসায়িক কেন্দ্রের অন্যতম পণ্য হচ্ছে লেবু, কাঁঠাল, পেয়ারা, আনারস, কাকরোল, জিঙ্গা, ঢেড়শ এবং বিভিন্ন প্রকার সবজি। প্রতিদিন দূর-দুরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা পাইকারি দামে পণ্য ক্রয় করে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিয়ে যান এবং ভোক্তাদের চাহিদা মেটান। 

সব কিছু ঠিকঠাক ভাবে চললেও বর্তমানে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় রফিকুল ইসলাম বাহিনী ওরফে লালো বাহিনী নামের একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। 

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, প্রতি সপ্তাহের রবি ও বৃহস্পতিবার ২ দিন কমলমুন্সির হাট বসে। হাট কর্তৃপক্ষ তাদের চাহিদা মোতাবেক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টোল(হাসিল) নিয়ে থাকে। এই হাটে কোন ব্যবসায়িক সমিতি না থাকার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে ‘লালো বাহিনী’। এই বাহিনী প্রতিদিন বাণিজ্য করতে আসা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০ টাকা এবং ওজন পরিমাপক মেশিনের ভাড়া হিসেবে ২০ টাকাসহ মোট ৩০ টাকা করে চাঁদা নিচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী-লোকজন এর প্রতিবাদ করলে তাদেরকে লালো বাহিনীর সন্ত্রাসীরা মারধর করে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করেছে লালো বাহিনী। লালো বাহিনীর অন্যতম ক্যাডার রফিকুল ইসলাম ওরফে লালু, জামাল উদ্দিন ওরফে কালু ও রফিকুল ইসলাম ওরফে বুল্লে। বর্তমানে এই হাটে লালো বাহিনী এক আতঙ্কের নাম। 
এই বিষয়ে আলাপকালে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ভয়েস অব পটিয়াকে বলেন, ‘এই বাহিনীর হাতে সম্পূর্ণ বাজার জিম্মি; তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আস্তে আস্তে ব্যবসায়ীদের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ব্যবসায়ী জানান, লালো বাহিনী বিভিন্ন চোরাকারবারির সাথে সম্পৃক্ত; প্রতি রাত্রে বাজারে তারা মদ খেয়ে মাতলামী করে, কেউ তাদের হামলার ভয়ে কিছু বলতে পারেন না।’

এ বিষয়ে আরো জানতে লালো বাহিনীর প্রধান রফিকুল ইসলাম ওরফে সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। 

স্থানীয় ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা তার হাত থেকে এই ঐতিহ্যবাহী ব্যবসায়ীক কেন্দ্রকে উদ্ধার করে ব্যবসায়ীদেরকে অবাধে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ প্রদানের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পটিয়ায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলা, স্কুল ছাত্রীসহ ৬ জন গুরুতর আহত; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলা, স্কুল ছাত্রীসহ ৬ জন গুরুতর আহত

ভয়েস অব পটিয়া-ছনহরা প্রতিনিধিঃ পটিয়ায় জায়গা-জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় স্কুল ছাত্রীসহ ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। 

আহতরা হলেন হেলাল উদ্দিন, শিউলি আকতার, জামাল উদ্দিন, খতিজা বেগম, বিউটি আকতার, সেলিনা আকতার।

আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এর মধ্যে হেলাল উদ্দিনের হাত ভেঙ্গে যাওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

জানা যায়, শনিবার সকাল ৯ টায় পটিয়া উপজেলার ছনহরা ইউপির আহছান আউলিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পটিয়া থানায় ভুক্তভুগী জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে একই এলাকার শাহাদাত হোসেন, আজাহার হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, আমিন শরিফ, মোঃ মানিক, হোছনে আরা বেগম, খালেদা বেগম সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬জন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, বাড়ির উঠানের মাটি ভরাটকে কেন্দ্র করে এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে লোহার রড, কিরিচ ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পরিকল্পিত ভাবে এ হামলার ঘটনা ঘটায়।

অভিযোগের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন পটিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার মোঃ শাহ আলম হাওলাদার।
পটিয়ায় গরু চুরি; চোরদের মতবিরোধে গরু ফেরত! নাম প্রকাশে গরুর মালিককে প্রাণনাশের হুমকি; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় গরু চুরি! চোরদের মতবিরোধে গরু ফেরত! নাম প্রকাশে গরুর মালিককে প্রাণনাশের হুমকি

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ
 পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ ছনহরায় গত ১০ আগস্ট বক্কা সেনের বাড়ীর মৃদুল দে’র প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানের একটি গরু গভীর রাতে চুরি হয়ে যায়।

জানা যায়, জিয়াউর গ্যাং নামধারী একদল চোরচক্র গরুটি চুরি করে উত্তর ছনহরা ইউসুফের টং প্রকাশ টুর্টের টংয়ে ৪ হাজার টাকা চুক্তিতে ৪ দিনের জন্য রাখে। কিন্তুু ৪ দিন অতিক্রম হওয়ার পর চোর চক্র ইউসুফকে কোন টাকা না দিয়ে গরু নিয়ে যেতে চাইলে ইউসুফ গরুর মালিক মৃদুল কে খবর দেয়। খবর পেয়ে মৃদুল এলাকাবাসীকে নিয়ে গরুটি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। গরু নিয়ে আসার পর মৃদুলকে এলাকায় খবরটি প্রচার না করার জন্য একাধিকবার ফোনে ও প্রতিনিধি পাঠিয়ে শাসিয়ে চুপ থাকতে বলে, অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দেয় গরু চোরের সর্দার এলাকায় ত্রাস সৃষ্টিকারী মাদক ব্যবসায়ী জয়নাল । 

এ বিষয়ে আলাপকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ছনহরার মাদক সম্রাট জিয়াউর রহমান ওরফে চোর জিয়া প্রতিরাতে মদ-ফেন্সিডিল বিক্রির ব্যবসা করে। তার কাছ থেকে মাদক কেনার জন্য পটিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক খদ্দের আসে। এলাকায় মাতালখ্যাত চোর জিয়া এর আগেও সাঙ্গ-পাঙ্গসহ চুরি-মাদক ব্যবসার দায়ে ইতিমধ্যে কয়েকবার গ্রেফতারও হয়েছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মৃদুল এর সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ‘আমি গরুটি উদ্ধার করে নিয়ে আসার পর থেকে আমার উপর জীবন নাশের হুমকি অব্যাহত রয়েছে, আমি আমার প্রাণহানির শংকা প্রকাশ করছি।’
এ ব্যাপারে তিনি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে অতিসত্বর দোষীদের আইনের কাঠগড়ায় নিয়ে বিচার চান এবং এলাকাবাসীর সহযোগীতা কামনা করেন মৃদুল দে। 
অভিযুক্ত জয়নালের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পটিয়ায় অগ্নিকান্ডে বসতঘর পুঁড়ে ২০ লাখ টাকার ক্ষতি;পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় অগ্নিকান্ডে বসতঘর পুঁড়ে ২০ লাখ টাকার ক্ষতি

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়ায় অগ্নিকান্ডে বসতঘর পুঁড়ে নগদ অর্থসহ ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শনিবার সকাল ৭ টায় উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের লাউয়ারখীল গ্রামে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে আগুন নিভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন নেপাল দাশ (৭৫), রাখাল দাশ (৬২), রবি দাশ (৫০) ও গীতা দাশ (৫০)।

আমাদের শোভনদন্ডী প্রতিনিধি জানান, সকালে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট আগুনে পটিয়া উপজেলার শোভনদন্ডীর লাউয়ারখীল গ্রামের রায় গোপাল, নেপাল দাশ, রাখাল দাশ ও দীপক দাশের ঘর সম্পূর্ণ পুঁড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন লাগার এক ঘন্টা পর পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। কিন্তু ততক্ষণে ৪টি পরিবারের ৮টি রুমের সম্পূর্ণ মালামাল পুঁড়ে ছাই হয়ে যায়।

এতে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পটিয়ার আশিয়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ সহায়তা প্রদান; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ার আশিয়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সামশুল হক চৌধুরী এমপি

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক: পটিয়ার আশিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বন্যা কবলিত প্রায় দুই হাজার পরিবারের মাঝে গতকাল শুক্রবার বিকেলে আশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়। উক্ত ত্রাণ প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সামশুল হক চৌধুরী এমপি। 

এ সময় সামশুল হক চৌধুরী এমপি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য মনে সাহস রেখে বন্যার পানি নামার সাথে সাথে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে কৃষকদের ধানবীজ সংগ্রহ করে চাষাবাদ করতে পরামর্শ দেন। এছাড়া উপজেলার বন্যা কবলিত ইউনিয়ন আশিয়া, কাশিয়াইশ, বড়লিয়াসহ পার্শবর্তী বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন সামশুল হক চৌধুরী। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এম. রাশেদ মনোয়ার, চেয়ারম্যান এম.এ হাশেম, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আবু সালেহ চৌধুরী, পশ্চিম পটিয়া উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির আহবায়ক মাহমুদুল হক, আশিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি গোলামুর রহমান মঞ্জু , সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী চৌধুরী, এম. এজাজ চৌধুরী, কামাল উদ্দিন, ইউপি সদস্য বেলাল উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, বাবু মেম্বার, আবদুল গফুর, মন্সেফ আলী, জাহাঙ্গীর আলম, শাহেদ, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিন, ইমরান উদ্দিন বশির, আবদুর রহিম, কামরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মহিউদ্দিন, মোহাম্মদ শওকত, রনি প্রমুখ।
পটিয়ার শ্রীমাই খালে ভাঙন-ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; তাৎক্ষণিক পরিদর্শনে উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর আহমদ টিপু; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ার শ্রীমাই খালে ভাঙন-ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; তাৎক্ষণিক পরিদর্শনে উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ টিপু

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে পটিয়ার শ্রীমাই খালের ভাঙনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 
আজ শনিবার (২৫ জুলাই) সকালে উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের ভাটিখাইন-ছনহরা সড়কে শ্রীমাই খাল ভেঙে যাওয়ায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী।

এদিকে খালের ভাঙ্গন এলাকা তাৎক্ষণিক পরিদর্শন করেছেন পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী টিপু। এ সময় তিনি বৃষ্টি কমে আসলে শ্রীমাই খালের যে স্থানে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে তা জরুরী ভিত্তিতে পুনঃনির্মাণ করে দিবেন বলে এলাকাবাসীকে আশ্বাস দেন।

পটিয়ার শ্রীমাই খালে ভাঙন-ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ার শ্রীমাই খালে ভাঙন-ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

জানা যায়, প্রবল বর্ষণে উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের ভাটিখাইন-ছনহরা সড়কের মাঝখানে শনিবার সকাল থেকেই শ্রীমাই খালের ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়। 

পটিয়ার শ্রীমাই খালে ভাঙন-ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; পটিয়ার শ্রীমাই খালের ভাঙনে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত; পটিয়া; চট্টগ্রাম
পটিয়ার শ্রীমাই খালের ভাঙনে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত

এতে করে ধানি জমি, মাছ চাষের পুকুর, সবজি ক্ষেত, ঘরবাড়ি ডুবে কোটি টাকার অধিক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। 

স্থানীয় দেলোয়ার হোসেন জানান, তার ৩০টির অধিক মাছ চাষের পুকুর ডুবে যায়। মোঃ ইদ্রিস নামের এক কৃষক জানান, তার চাষকৃত গুড়াকচু পানিতে ডুবে যাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির আশংকায় রয়েছেন তিনি। এছাড়াও পানিতে বিভিন্ন ঘরবাড়ি ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। শ্রীমাই খালের ভাঙ্গনে বর্তমানে উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম পানির নিচে রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
পটিয়ায় ছুরিকাঘাতে যুবক খুন; গ্রেফতার ৩ জন; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় ছুরিকাঘাতে যুবক খুন; গ্রেফতার ৩ জন

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক: পটিয়ায় শিশুদের মার্বেল খেলার জের ধরে মারামারিতে মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন (২৮) নামে একজন ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন।

রোববার (১২ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কামাল উদ্দিন পটিয়া উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাটরা গ্রামের মৌলভী পাড়ার আবদুল মাবুদের পুত্র।

পুলিশ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে মোঃ গফুর (৩৬), মোঃ বেলাল (৪০) ও মোঃ কামাল (৩০) নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

পটিয়া থানার ওসি মোঃ রেফায়েত উল্লাহ খুন এবং তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ চাটরা গ্রামে একদল শিশু রোববার সকালে মার্বেল খেলছিল। খেলার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও বাকবিতন্ডতা হয়। হাতাহাতির সময় নিজের ভাতিজাতে বাঁচাতে যান কামাল। কামাল বাঁচাতে যাওয়ার পর ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে শিশুদের অভিভাবকদের মধ্যে। দু’পক্ষে মারামারিও শুরু হয়। এক পর্যায়ে গফুরসহ কয়েকজন মিলে কামালকে ছুরিকাঘাত করে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। এতে কামাল ঘটনাস্থলেই মারা যান।
টানা বর্ষনে পটিয়া-ভাটিখাইন কেরিঞ্জা সড়ক বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত;পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
টানা বর্ষনে পটিয়া-ভাটিখাইন কেরিঞ্জা সড়ক বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক: টানা বর্ষণে শ্রীমাই খালের বেড়িবাঁধ ভেঙে পটিয়া-ভাটিখাইন কেরিঞ্জা সড়ক, ভট্টাচার্য্য রাস্তার মাথা, বলির টেক, জসিম ড্রাইভার বাড়ী সংলগ্ন রাস্তা প্লাবিত হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। এছাড়া ভাটিখাইন ব্রীজের আশেপাশে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। শ্রীমাই খালের আশেপাশে আর দুইদিন বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হতে থাকলে পুরো বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বেড়িবাঁধ নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এর অনিয়ম থাকায় ভাঙ্গনকৃত স্থানে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। বেড়িবাঁধ নির্মাণ যেভাবে করার কথা ছিল সেভাবে না করাতে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত বছর বেড়িবাঁধ নির্মাণ হলেও একবছর অতিবাহিত না হলে বেড়িবাঁধটি ভেঙ্গে যায়। 

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদ সিকদার জানান, ‘আমি ও স্থানীয় চেয়ারম্যান এর সহযোগীতায় আপাতত ভেঙ্গে যাওয়া স্থানে বালি ও গাছ দিয়ে ভরাট করছি। আশা করছি অতিদ্রুত এটার একটি স্থায়ী সমাধান করতে পারব।’
পটিয়ার ডেঙ্গাপাড়ায় শিশু কিশোর ও বয়োবৃদ্ধদের স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা মেরামত
পটিয়ার ডেঙ্গাপাড়ায় শিশু কিশোর ও বয়োবৃদ্ধদের স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা মেরামত 


ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়ার ডেঙ্গাপাড়া এলাকার শিশু-কিশোর ও বয়োবৃদ্ধারা স্বেচ্ছাশ্রমে একটি সড়ক সংস্কার করার ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

গতকাল সোমবার এলাকার অর্ধ শতাধিক শিশু-কিশোর ও সাধারণ মানুষ যার যা আছে তাই নিয়ে দত্তপাড়া সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু করেন।

সংস্কারকর্মীর একজন মাহমুদুল হক বলেন, ‘স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৪ বছরেও এ সড়কটি সংস্কার বঞ্চিত ছিল। আমরা জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার ধর্ণা দিয়েছি সড়কটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করতে। কিন্তু তারা শুধু আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, কেউ কথা রাখেনি। তাই আজ আমরা এলাকার লোকজন  সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে যার যা আছে তাই নিয়ে সড়কটি সংস্কারে কাজ শুরু করেছি। আমাদেরকে বিত্তবানরা কথা দিয়েছেন, সড়ক সম্প্রসারণ হলে তারা ইটা দিয়ে সহযোগিতা করবেন। ইতিমধ্যে আমাদের এলাকার ১১ জন বিত্তবান প্রায় ১১ হাজার ইটা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা আগামী ৭ দিনের মধ্যে সড়কটির সংস্কার কাজ শেষ করব। ইটা সংগ্রহ হলে সড়কটির আরো উন্নয়ন হবে।’

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আমিন জানান, ‘বারবার উপজেলা পরিষদ-স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে তাগাদা দেয়ার পরও এ সড়কের জন্য কোনরূপ বরাদ্দ না পাওয়ায় সড়কটি কোন সংস্কার কাজ করতে পারি নি। এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে এগিয়ে আসায় সড়কটির সংস্কারে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে।’ 
অর্ধশতাধিক শিশুকিশোর ও বয়োবৃদ্ধদের স্বেচ্ছাশ্রমে উক্ত সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হয়।