পটিয়ার পূর্বাঞ্চল অভয়ারণ্য পাহাড়ে চলছে অবাধে বৃক্ষ নিধনের মহোৎসব; বাঁশ পাচারের দৃশ্য |
ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার পূর্বাঞ্চল পাহাড়ে কমলাছড়ি, কুরুশিয়া, ধোপাছড়ি অভয়ারণ্যে সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তার যোগসাজশে বৃক্ষ নিধনের মহোৎসব চলছে।
১২ জনের এসএনজি সদস্য টিম প্রধান আবু তাহেরের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে কমলাছড়ির বিট কর্মকর্তা শাহ আলম ও কুরুশিয়ার রেঞ্জার কাজী আলাউদ্দিনের যোগসাজোসে মাসোহারার বিনিময়ে অভয়ারণ্যে বৃক্ষ নিধনের ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফলে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
জানা যায়, গত ১৫ দিন পূর্বে এসএনজি টিম প্রধান আবু তাহেরের নেতৃত্বে অভয়ারণ্যে সরকারী গাছ, বাঁশ পাচারের সময় ১৬ ব্যক্তিকে আটকের পর কমলছড়ির বিট কর্মকর্তা শাহ আলম স্থানীয় আলমগীর সওদাগরের জিম্মায় ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই ১৬ ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ জানান।
এছাড়াও আবু তাহেরের নেতৃত্বে পাহাড়ী সন্ত্রাসী জড়ো করে চোলাই মদ পাচার, স্থানীয় লোকজনদেরকে জিম্মি করে টাকা আদায়সহ একাধিক অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
বিশেষ করে রাঙ্গুনিয়ার কমলাছড়ি, কুরুশিয়ার, পটিয়ার পূর্বাঞ্চলে শ্রীমাই বিট, জঙ্গলশীধল, লালুটিয়া, লালপাহাড়, চন্দনাইশের ধোপাছড়ি, বোয়ালখালীর করলডেঙ্গা, বান্দরবানের রাজার হাট পাহাড়ে সরকারী সংরক্ষিত গাছ বাঁশ পাচারে একাধিকবার এ সংক্রান্ত সংবাদ স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলেও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে।
বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রামের বন কর্মকর্তা বিপুল দাশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকায় একটি প্রোগ্রামে ব্যস্ত থাকার অজুহাতে কলটি কেটে দেন এবং এ ব্যাপারে পরে কথা বলে জানাবেন বললেও তাকে কল করে আর পাওয়া যায়নি।
বাঁশ পাচারের ব্যাপারে বিট কর্মকর্তা শাহ আলম ও কুরুশিয়ার রেঞ্জার কাজী আলাউদ্দিনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদেরও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে অভয়ারণ্য পাহাড়ে সরকারী বৃক্ষ নিধন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পাহাড়ে বসবাসরতরা।