"বাজেট" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
বাজেট লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; সংবাদ; সারাদেশ; ঢাকা; বাজেট; বাজেট ২০২৩; বাজেট ২০২৪; বাজেট ২০২৩-২৪; বাংলাদেশ; সংসদ
এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪



ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ  ‘স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে’ যাত্রার অভিপ্রায়ে জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল। 

এবারের এ প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। যা চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের (৬ লাখ ৬০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা) চেয়ে ১৫.৩৩ শতাংশ বেশি। বাজেটের এই অর্থ জোগান দিতে রাজস্ব, অভ্যন্তরীণ ঋণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণের শরণাপন্ন হবে সরকার। এবার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। তারপরও আয় ও ব্যয়ের হিসাবে বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি থাকবে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। 

বৃহস্পতিবার বিকালে (০১ জুন) স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। তার আগে মন্ত্রীসভার অনুমোদনের পর ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।

মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় ঘাটতির এই পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৫.৫ শতাংশ। মোট বাজেটের শতাংশে ১৫.৭ ভাগ যা পূরণে নির্ভর করতে হবে ব্যাংক ঋণ থেকে। সেজন্য বিদেশ থেকে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৮ এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকার মত ঋণ করার পরিকল্পনা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
এছাড়া সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আরও ৫ হাজার কোটি টাকা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে সম্ভাব্য বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার পরিমাণ ধরা হয়েছে সোয়া ৩ হাজার কোটি টাকা। 

এবার দেশি-বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে ৯৪ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা খরচ হবে বলে অর্থমন্ত্রী হিসাব ধরেছেন, যা মোট অনুন্নয়ন ব্যয়ের প্রায় ২০ শতাংশ। অনুন্নয়ন ব্যয়ের আরও প্রায় ১৬.২০ শতাংশ প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে ব্যয় হয়ে, যার পরিমাণ অন্তত ৭৭ হাজার কোটি টাকা। 

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের ‘স্মার্ট বাংলাদেশে' মাথাপিছু আয় হবে কমপক্ষে ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার; দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকবে ৩ শতাংশের কম মানুষ আর চরম দারিদ্র্য নেমে আসবে শূন্যের কোঠায়; মূল্যস্ফীতি সীমিত থাকবে ৪-৫ শতাংশের মধ্যে; বাজেট ঘাটতি থাকবে জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে; রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত হবে ২০ শতাংশের ওপরে; বিনিয়োগ হবে জিডিপির ৪০ শতাংশ।
“শতভাগ ডিজিটাল অর্থনীতি আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক স্বাক্ষরতা অর্জিত হবে। সকলের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যাবে। স্বয়ংক্রিয় যোগাযোগ ব্যবস্থা, টেকসই নগরায়নসহ নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সকল সেবা থাকবে হাতের নাগালে। তৈরি হবে পেপারলেস ও ক্যাশলেস সোসাইটি। সবচেয়ে বড় কথা, স্মার্ট বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হবে সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা।”


এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; সংবাদ; সারাদেশ; ঢাকা; বাজেট; বাজেট ২০২৩; বাজেট ২০২৪; বাজেট ২০২৩-২৪; বাংলাদেশ; সংসদ
প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল

যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে
  • মোবাইল সেট: স্থানীয় উৎপাদন ও সংযোজন পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। তাই মোবাইল ফোনের দাম বাড়তে পারে।  
  • এলপি গ্যাস: উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সিলিন্ডার বানানোর কাজে ব্যবহৃত স্টিল ও ওয়েল্ডিং ওয়্যার আমদানিতে শুল্ক আরোপ হয়েছে। এ কারণে এলপি গ্যাসের দাম বাড়তে পারে।
  • কলম: কলম উৎপাদনে বর্তমানে ভ্যাট অব্যাহতি ছিল, সেখানে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানো হয়েছে। এতে শিক্ষা উপকরণ কলমের দাম বাড়তে পারে।
  • চশমা: চশমার ফ্রেম ও সানগ্লাস আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এছাড়াও উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হচ্ছে। তাই বাড়তে পারে চশমার ফ্রেমের দামও।
  • টিস্যু: কিচেন টাওয়াল, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন টিস্যু, ফেসিয়াল টিস্যু/পকেট টিস্যু ও পেপার টাওয়াল উৎপাদনে ৫ শতাংশ ভ্যাট আছে, এটি বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে টিস্যু পেপারের দাম বাড়তে পারে।
  • সাইকেল: সাইকেলের যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। তাই সাইকেলের দাম বাড়তে পারে।
  • প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈজষপত্র: বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈজষপত্র উৎপাদনে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। এতে তৈজসপত্রের দাম বাড়তে পারে।
  • খেজুর: শুল্ক-ফাঁকি রোধে তাজা ও শুকনো খেজুর আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এতে খেজুরের দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 
  • কাজুবাদাম: স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন বাড়াতে কাজুবাদাম আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এ কারণে আমদানি করা কাজুবাদামের দাম বাড়তে পারে। এছাড়াও ফল-বাদাম আমদানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
  • বাসমতি চাল: নন ফর্টিফাইড বাসমতি চাল আমদানিতে ভ্যাট বসানো হয়েছে। এতে এই চালের দাম বাড়তে পারে।
  • সিগারেট: এবার সিগারেটের মূল্যস্তর বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে সব ধরনের সিগারেটের দামই বাড়তে পারে।
  • সিমেন্ট: সিমেন্টের প্রধান কাঁচামাল ক্লিংকার আমদানিতে বর্তমানে টনপ্রতি ৫০০ টাকা সুনির্দিষ্ট শুল্ক আছে। এটি বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হয়েছে বিধায় সিমেন্টের দাম বাড়তে পারে।
এছাড়াও দাম বাড়তে পারে শিরিষ কাগজ, আঠা বা গ্লু, মাছের টুকরা, চিজ ও দই, চা-কফিমেট, গ্যাস লাইটার প্রভৃতি পণ্যের। হয়েছে।

যেসব পণ্যের দাম কমছে
  • মিষ্টি: বিপণন পর্যায়ে মিষ্টিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ছিল। এটি কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করায় মিষ্টির দাম কমতে পারে।
  • কীটনাশক: কৃষিকাজে ব্যবহৃত কীটনাশক, বালাইনাশক ও আগাছানাশকের দাম কমতে পারে। কারণ এসব উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে।
  • স্প্রেয়ার মেশিন: কৃষিকাজে ব্যবহৃত রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, ড্রায়ার, স্প্রেয়ার মেশিনে আগাম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাই এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; সংবাদ; সারাদেশ; ঢাকা; বাজেট; বাজেট ২০২২; বাজেট ২০২৩; বাজেট ২০২২-২৩; বাংলাদেশ; সংসদ
এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ  ‘এক ফিনিক্স পাখির গল্পগাথা’ শিরোনামের অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) বিকেলে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল। 

এবারের এ প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। বাজেটের এই অর্থ জোগান দিতে রাজস্ব, অভ্যন্তরীণ ঋণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণের শরণাপন্ন হবে সরকার। এবার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। তারপরও আয় ও ব্যয়ের হিসাবে বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি থাকবে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় ঘাটতির এই পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৫.৫ শতাংশ। মোট বাজেটের শতাংশে ১৫.৭ ভাগ যা পূরণে নির্ভর করতে হবে ব্যাংক ঋণ থেকে। সেজন্য বিদেশ থেকে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৮ এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকার মত ঋণ করার পরিকল্পনা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
এছাড়া সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আরও ৫ হাজার কোটি টাকা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে সম্ভাব্য বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার পরিমাণ ধরা হয়েছে সোয়া ৩ হাজার কোটি টাকা। 

এবার দেশি-বিদেশি ঋণের জন্য ৮০ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা খরচ হবে বলে অর্থমন্ত্রী হিসাব ধরেছেন, যা মোট অনুন্নয়ন ব্যয়ের প্রায় ২০ শতাংশ।


এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; সংবাদ; সারাদেশ; ঢাকা; বাজেট; বাজেট ২০২২; বাজেট ২০২৩; বাজেট ২০২২-২৩; বাংলাদেশ; সংসদ
প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল

যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে
  • মোবাইল সেট: মোবাইল টেলিফোন সেটের ব্যবসায়ী পর্যায়ে বিদ্যমান ৫ শতাংশ মূসক অব্যাহতি প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। 
  • কোভিড সামগ্রী: কোভিড-১৯ এর টেস্ট কিট, প্রটেকটিভ গার্মেন্টস, ফেইস শিল্ড, মেডিকেল প্রটেকটিভ গিয়ার, প্রটেকটিভ চশমা এবং মাস্ক এর উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
  • জিআই ফিটিংস: জিআই ফিটিংস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বর্তমানে দেশে গড়ে উঠেছে। তাই দেশি শিল্পের প্রতিরক্ষণ নিশ্চিত করার জন্য আমদানি করা জিআই ফিটিংসের বিপরীতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
  • বিদেশি চিজ: বাটারের মতো চিজ আমদানিতেও ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। 
  • তার: বিভিন্ন ধরনের তার প্রায় সমজাতীয় হওয়ায় শুল্কায়নকালে এদের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা দূরুহ। তাই সমতা বিধানের স্বার্থে এরূপ দুটি পণ্য আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ হতে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
  • মোটরসাইকেল: ২৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল আমদানিতে ফোর স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ ও টু স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ২৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপিত রয়েছে। তাই ২৫০ সিসির ঊর্ধ্বের ইঞ্জিন ক্ষমতা সম্পন্ন মোটরসাইকেল আমদানিতে ফোর স্ট্রোকের ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ১০০ শতাংশ ও টু স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ২৫০ শতাংশ আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
  • বিদেশি ইলেকট্রিক মোটর: স্থানীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণে ৭৫০ ওয়াট পর্যন্ত ইলেকট্রিক মোটরের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
  • বিদেশি গ্যাস লাইটার: দেশীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণের জন্যে গ্যাস লাইটার আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একইভাবে পার্টস অব লাইটার আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ হতে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
  • বিদেশি সোলার প্যানেল: দেশি সৌর বিদ্যুৎ খাতের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি করা সোলার প্যানেলের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ০ শতাংশ হতে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। 
  • মোবাইল ফোনের বিদেশি চার্জার: দেশীয় উৎপাদিত সেলুলার ফোন উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে আরও বিকশিত করার লক্ষ্যে মোবাইল ফোন ব্যাটারি চার্জারের আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
  • কনক্রিট রেডি মিক্স: কনক্রিট রেডি মিক্সের উৎপাদন পর্যায়ে বিদ্যমান মূসক অব্যাহতি প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
  • বিদেশি প্রিন্টিং কালি: স্থানীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণের জন্য প্রিন্টিং কালি পণ্যের রেয়াতি শুল্কহার ১০ শতাংশ এর পরিবর্তে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
  • বিদেশি কম্পিউটার, প্রিন্টার ও টোনার কার্ট্রিজ: কম্পিউটার, প্রিন্টার ও টোনার কার্ট্রিজ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
  • ল্যাপটপ: ল্যাপটপ কম্পিউটার আমদানিতে ১৫ শতাংশ মূসক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে পণ্যটি আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মোট করভার হবে ৩১ শতাংশ।
  • বিলাসবহুল বিদেশি পাখি: বর্তমানে বিলাসবহুল পাখির ওপর ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে। এই হার বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

যেসব পণ্যের দাম কমছে
  • মুড়ি ও চিনি: মুড়ি ও চিনির উপর ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। 
  • গমের আটা: গমের আটার উপর আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। 
  • দেশী মোবাইল ফোন ব্যাটারী, চার্জার ও ইন্টার‌্যাক্টিভ ডিসপ্লে: তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে মোবাইল ফোনের ব্যাটারী, চার্জার ও ইন্টারেকটিভ ডিসপ্লে এর স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। 
  • পাওয়ার টিলার: পাওয়ার টিলার উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। 
  • ব্রেইল: দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষদের পড়ার উপকরণ ব্রেইল মুদ্রণের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
  • কানে শোনার যন্ত্রের ব্যাটারী: শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য কানে শোনার যন্ত্রে ব্যবহৃত ব্যাটারী এর ওপর প্রযোজ্য শুল্ক কর হ্রাস করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। 
  • বিশেষায়িত হুইল চেয়ার: শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য বিশেষায়িত হুইল চেয়ার আমদানিতে বিদ্যমান সকল ধরনের শুল্ককর বিলোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। 
  • কাজুবাদাম: দেশে কাজুবাদাম প্রক্রিয়াজাত শিল্প বিকাশ ও নতুন রপ্তানি খাত সৃষ্টির লক্ষ্যে কাঁচা কাজুবাদাম আমদানিতে শুল্কহার হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে। 
  • রড: এম এস প্রোডাক্টের ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাট প্রতি মে. টন ৫০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করছি। 
  • পলিথিন ব্যাগ: পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিক ব্যাগ (ওভেন প্লাস্টিক ব্যাগসহ) ও মোড়ক সামগ্রীর ওপর বিদ্যমান ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এতে পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যাগের দাম কমতে পারে।

 

এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২১-২২; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; সংবাদ; সারাদেশ; ঢাকা; করোনা; করোনা ভাইরাস; Covid, Covid 19; Corona; বাজেট; বাজেট ২০২১; বাজেট ২০২২; বাজেট ২০২১-২২; বাংলাদেশ; সংসদ
এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২১-২২

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ  ‘সুদৃঢ় আগামীর পথে’ শিরোনামে জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার (০৩ জুন) বিকেলে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল। 

এবারের এ প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৬ লক্ষ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরের বাজেট বিগত অর্থবছর অপেক্ষা ৩৫ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা বেশি। চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। বাজেটের এই অর্থ জোগান দিতে রাজস্ব, অভ্যন্তরীণ ঋণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণের শরণাপন্ন হবে সরকার। এবার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা, যা চলমান ২০২০-২০২১ অর্থবছরের চেয়ে ১১ হাজার কোটি টাকা বেশি। 

মোট আয়ের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া রাজস্ব বোর্ড বহির্ভূত কর থেকে আসবে ১৬ হাজার কোটি টাকা। বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার পরিমাণ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ বাবদ ব্যয় ধরা হচ্ছে ৬২ হাজার কোটি টাকা। আর বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় ধরা হচ্ছে ছয় হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোট ৯ লাখ টাকা। 

এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২১-২২; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; সংবাদ; সারাদেশ; ঢাকা; করোনা; করোনা ভাইরাস; Covid, Covid 19; Corona; বাজেট; বাজেট ২০২১; বাজেট ২০২২; বাজেট ২০২১-২২; বাংলাদেশ; সংসদ
সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল

করোনা মোকাবেলায় বাড়লো বরাদ্দ
২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনাখাতে ৩২ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে এই খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২৯ হাজার ২৪৭ কোটি। করোনা মোকাবেলায় এবার থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা।

কর দিতে হবে বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়কে 
২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ভর্তুকি-প্রণোদনা 
এবারের বাজেটে জনপ্রশাসনে ভর্তুকি ও প্রণোদনায় ১৯ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা, প্রতিরক্ষায় ৫২৭ কোটি টাকা, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায় ৯৩৫ কোটি টাকা, সামাজিক নিরাপত্তায় ৪ হাজার ৪ কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ
২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপির সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত। এ খাতে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৬১ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা, যা মোট এডিপির ২৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। বিদ্যুৎখাতে ৪৫ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা, গৃহায়ন খাতে ২৩ হাজার ৪২১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। 

শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত
শিক্ষা খাতে এবারের ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৩ হাজার ৩২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এদিকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেয়া হয়েছে ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকার বরাদ্দ। করোনাকালীন সময়ে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা যখন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল, তখন এ খাতে বেশি অর্থ বরাদ্দের দাবি জানিয়ে আসছিলেন খাত সংশ্লিষ্টরা। সংশোধিত বাজেটে মোট কত বাজেট থাকছে এ খাতে তা দেখার বিষয়।

যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে
প্রস্তাবিত বাজেটে বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় দাম বাড়তে যাচ্ছে আমদানিকৃত কৃষি পণ্যের উপর। এবারের বাজেটে ফল আমদানিতে ৫ শতাংশ অগ্রিম কর বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যার ফলে বাড়বে আমদানিকৃত গাজর, কাঁচামরিচ, টমেটো, কমলা, লবণসহ বেশকিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের।

বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সিংহভাগই স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন ও সংযোজন হয়ে থাকে। দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে 'Made in Bangladesh' ট্যাগকৃত পণ্যে আরো দুবছরের জন্য শুল্ক ছাড়ের প্রস্তাব করা হয়েছে এবারের বাজেটে। স্মার্ট ডিভাইস যেমন- ডিজিটাল ওয়াচ, কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশ, ডাটা ক্যাবলসহ অন্যান্য খুচরা যন্ত্রাংশ উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। 

প্রস্তাবিত বাজেটে স্মার্টফোন, ফিচার ফোন, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ইত্যাদির যন্ত্রাংশ আমদানির উপর উপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। যার ফলে মূল্য বাড়বে আমদানিকৃত ডিজিটাল এসব ডিভাইসের।

কর্মসংস্থান লক্ষ্যমাত্রা 
করোনা মহামারির মধ্যেও ২০২১ সালের মধ্যে আরও ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের লক্ষমাত্রা ধরেছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল।