"বিদ্যুৎ" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
বিদ্যুৎ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
পারমাণবিক শক্তির যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ; পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র; Uranium; Putin; Hasina; Bangladesh; Russian; Nuclear power
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানী হস্তান্তর

ভয়েস অব পটিয়া-স্পেশাল ডেস্কঃ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জ্বালানী ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়াম আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। 
আজ বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় ইউরেনিয়াম হস্তান্তরের মাধ্যমে পারমাণবিক শক্তির যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। 

ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এছাড়া আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসিও যুক্ত ছিলেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা রোসাটমের মহাপরিচালক আলেস্কি লিখাচেভ সশরীরে উপস্থিত থেকে ইউরেনিয়াম হস্তান্তর করেন। বাংলাদেশের পক্ষে ইউরেনিয়াম গ্রহণ করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিশেষ নিরাপত্তায় পাবনার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান এসে পৌঁছায়।
বাড়লো বিদ্যুতের দাম, এ মাস থেকেই কার্যকর; বিদ্যুৎ; দাম; বিইআরসি; পিজিসিবি; পিডিবি; পল্লী বিদ্যুৎ; ডেসকো; ডিপিডিসি; নেসকো; ওজোপাডিকো; PGCB; PDB; DPDC; DESCO; REB; WZPDC; Electricity
মার্চে বাড়লো বিদ্যুতের দাম

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ আরেক দফা বাড়লো বিদ্যুতের দাম; খুচরায় ৫ শতাংশ বাড়িয়ে মার্চ মাসের জন্য বিদ্যুতের নতুন মূল্যহার নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এর ফলে খুচরায় গ্রাহক পর্যায়ে গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম দাঁড়াবে ৮ টাকা ২৪ পয়সা, যা ফেব্রুয়ারীতে ছিল ৭ টাকা ৮৫ পয়সা। আর জানুয়ারীতে ছিল ৭ টাকা ৪৮ পয়সা।

মার্চ মাসের বিদ্যুৎ বিলের ক্ষেত্রে নতুন এই মূল্যহার কার্যকর হবে বলে আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। খুচরায় বাড়লেও পাইকারীতে এবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়নি। ফেব্রুয়ারীতে পাইকারী বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটের দাম ৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৭০ পয়সা করা হয়।

দাম বাড়ানোর ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিতে গত ২৯ জানুয়ারী (রোববার) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন (বিইআরসি) সংশোধন বিল-২০২৩ জাতীয় সংসদে পাস হয়। সর্বশেষ ৩১ জানুয়ারী গ্রাহক পর্যায়ে দ্বিতীয় দফা দাম বাড়ানোর পর আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সংশোধিত এই আইনের মাধ্যমে তৃতীয় বারের মত বিদ্যুতের দাম বাড়ালো সরকার। 
বিদ্যুতের পর এবার বাড়লো এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম;  এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাস; বিদ্যুৎ; দাম; বিইআরসি; পিজিসিবি; পিডিবি; পল্লী বিদ্যুৎ; ডেসকো; ডিপিডিসি; নেসকো; ওজোপাডিকো; PGCB; PDB; DPDC; DESCO; REB; WZPDC; Electricity; Gas; LPG
বিদ্যুতের পর এবার বাড়লো এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারী) বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পর এবার বাড়লো এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাসেরও দাম। ২১.৫৭% দাম বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি কেজি তরল পেট্রোলিয়াম (এলপিজি) সিলিন্ডার গ্যাসের দাম ১০২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে এক ধাক্কায় ১২৪ টাকা ৮৫ পয়সা হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার ০২ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি ফেব্রুয়ারী মাসের জন্য নির্ধারিত নতুন এ দরে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ১২ কেজি ওজনের একটি ‍সিলিন্ডারের দাম হবে ১৪৯৮ টাকা, যা আগের মাসে ছিল ১২৩২ টাকা। অর্থাৎ চলতি মাসে ১২ কেজির বোতল কিনতে ভোক্তার খরচ ২৬৬ টাকা বেড়ে গেল। তবে বিইআরসির দাম বৃদ্ধির ঘোষণার আগেই গত এক সপ্তাহ ধরে সারাদেশে এলপিজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে রিটেইলাররা। ১২ কেজি ওজনের একটি সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা থেকে ১৭০০ টাকার মধ্যে। 

নতুন দর অনুযায়ী, সাড়ে ৫ কেজির সিলিন্ডার ৬৮৭ টাকা, ১৫ কেজির সিলিন্ডার ১৮৭৩ টাকা, ১৬ কেজির সিলিন্ডার ১৯৯৮ টাকা, ১৮ কেজি ২২৪৮ টাকা, ২০ কেজি ২৪৯৭ টাকা, ২২ কেজি ২৭৪৭ টাকা, ২৫ কেজি ৩১২১ টাকা, ৩০ কেজি ৩৭৪৫ টাকা, ৩৩ কেজি ৪১২৪ টাকা, ৩৫ কেজি ৪৩৭০ টাকা, ৪৫ কেজি ৫৬১৮ টাকা ঠিক করা হয়েছে।
মাস না যেতেই ফের বাড়লো বিদ্যুতের দাম; বিদ্যুৎ; দাম; বিইআরসি; পিজিসিবি; পিডিবি; পল্লী বিদ্যুৎ; ডেসকো; ডিপিডিসি; নেসকো; ওজোপাডিকো; PGCB; PDB; DPDC; DESCO; REB; WZPDC; Electricity
মাস না যেতেই ফের বাড়লো বিদ্যুতের দাম

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ মাস না যেতেই ১৮ দিনের মাথায় ফের গ্রাহক পর্যায়ে বাড়লো বিদ্যুতের দাম। গড়ে ১০ শতাংশের বেশি বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সরকার, এতে ইউনিট প্রতি দাম বেড়েছে সর্বনিম্ন ৩৯ পয়সা, সর্বোচ্চ ১ টাকা ১৪ পয়সা। নতুন এ দর ফেব্রুয়ারী মাস থেকে কার্যকর হবে। যাতে গ্রাহককে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম দিতে হবে ইউনিটপ্রতি ০-৫০ ইউনিট পর্যন্ত সর্বনিম্ন ৪ টাকা ১৪ পয়সা,  ৬০০ ইউনিটের বেশি ইউনিটিপ্রতি সর্বোচ্চ ১২ টাকা ৫৩ পয়সা। 


আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব এস.এম মাজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক গেজেটে বিদ্যুতের বর্ধিত এই মূল্যহার জারি করা হয়। 

আইন সংশোধন করে গত ০১ ডিসেম্বর ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন), অধ্যাদেশ, ২০২২’ গেজেট আকারে প্রকাশ করে সরকার। এর মধ্যদিয়ে বিশেষ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সরাসরি বাড়ানো বা কমানোর ক্ষমতা যায় সরকারের হাতে। যা এত দিন বিইআরসি গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ করতো।
দাম বাড়ানোর ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিতে গত ২৯ জানুয়ারী (রোববার) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সংশোধন বিল-২০২৩ জাতীয় সংসদে পাস হয়। সর্বশেষ ১২ জানুয়ারী গ্রাহক পর্যায়ে আরেক দফা দাম বাড়ানোর পর ১৮ দিনের ব্যবধানে আজ মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারী) সংশোধিত এই আইনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মত বিদ্যুতের দাম বাড়ালো সরকার।
বাড়লো বিদ্যুতের দাম, এ মাস থেকেই কার্যকর; বিদ্যুৎ; দাম; বিইআরসি; পিজিসিবি; পিডিবি; পল্লী বিদ্যুৎ; ডেসকো; ডিপিডিসি; নেসকো; ওজোপাডিকো; PGCB; PDB; DPDC; DESCO; REB; WZPDC; Electricity
বাড়লো বিদ্যুতের দাম, এ মাস থেকেই কার্যকর

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ এবার গ্রাহক পর্যায়ে গড়ে ৫ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সরকার, এতে ইউনিট প্রতি দাম বাড়বে ৩৫ পয়সা। নতুন এ দর চলতি জানুয়ারী মাস থেকে কার্যকর করার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। যাতে গ্রাহককে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম দিতে হবে ৭ টাকা ৪৮ পয়সা। 

বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভর্তুকি সমন্বয় করতে বিদ্যুতের মূল্য শতকরা ৫ ভাগ বাড়ানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন ২০০৩’ এর ধারা ৩৪ক-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে জনস্বার্থে বিদ্যুতের খুচরা মূল্যহার ৫ শতাংশ সমন্বয় করেছে।’

জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি গত ০৮ জানুয়ারী গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়াতে গণশুনানির আয়োজন করলেও এবার দাম বাড়ানো হয়েছে সরকারের নির্বাহী আদেশে। 
দাম বাড়ানোর ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন সংশোধন করে গত ০১ ডিসেম্বর অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। সংশোধনের সময় বলা হয়েছিল, বিশেষ পরিস্থিতিতে দাম বাড়াবে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় প্রথমবারের মত এ ক্ষমতার প্রয়োগ করল সরকার।
এবার গ্রাহক পর্যায়ে বাড়ছে বিদ্যুতের দাম; বিদ্যুৎ; দাম; বিইআরসি; পিজিসিবি; পিডিবি; পল্লী বিদ্যুৎ; ডেসকো; ডিপিডিসি; নেসকো; ওজোপাডিকো; PGCB; PDB; DPDC; DESCO; REB; WZPDC; Electricity
বাড়ছে বিদ্যুতের দাম

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ নতুন বছরে গ্রাহক পর্যায়ে আরেক দফা বাড়ছে বিদ্যুতের দাম। সম্প্রতি বিদ্যুতের পাইকারী দাম ১৯.৯২ শতাংশ বৃদ্ধির পর গ্রাহক পর্যায়ে ২০ শতাংশ দাম বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) নিকট আবেদন করে বিদ্যুৎ বিতরণকারী ৬টি প্রতিষ্ঠান। সেই সাথে সঞ্চালন চার্জ ১১৭ শতাংশ বৃদ্ধির আবেদন করে পিজিসিবি। 

গতকাল রাজধানীতে এ নিয়ে গণশুনানির আয়োজন করে বিইআরসি। 

শুনানি শেষে বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, ‘আমাদের কমিশনের মেয়াদ রয়েছে আগামী ৩০ জানুয়ারী পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যেই বিদ্যুতের দাম বর্ধিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

শুনানিতে বিইআরসির টেকনিক্যাল কমিটি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫.৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি করার সুপারিশ করেছে। সেই সাথে সঞ্চালন চার্জ ১৩.৯৯ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য বলেছে। 

শুনানিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ সংস্থা (ক্যাব) এর সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জ্বালানী বিষয়ক উপদেষ্টা ড. এম শামসুল আলম বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে সমন্বয় করার অনেক বিকল্প রয়েছে। সারাবিশ্ব ২০২৩ সালকে মূল্যস্ফীতি চ্যালেঞ্জের বছর মনে করছে। এরকম সময়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ালে নেতিবাচক অবস্থার তৈরি হবে।’

উল্লেখ্য, সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বরে বিদ্যুতের পাইকারী দাম ১৯.৯২ শতাংশ বৃদ্ধি করে বিইআরসি।
রূপপুরে দেশের ১ম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লি স্থাপন; পারমাণবিক; আণবিক; বিদ্যুৎকেন্দ্র; Nuclear; Nuclear Power; Energy
রূপপুরে দেশের ১ম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লি স্থাপন

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ পাবনা জেলার রূপপুরে নির্মানাধীন বাংলাদেশের ১ম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের 'রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল' বা পরমাণু চুল্লিপাত্র স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।
আজ রোববার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার পরমাণু শক্তি কমিশন-রোসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ। 
পরমাণু বিজ্ঞানীরা রিএ্যাক্টর প্রেসার ভেসেলকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের 'হার্ট বা হৃৎপিণ্ড' বলে থাকেন। 

রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের আগে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে রূপপুর প্রকল্পের বাংলাদেশী ও রাশিয়ান কর্মকর্তারা। রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। 
প্রকল্প পরিচালক ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মোঃ শৌকত আকবর বলেন, ‘ইউনিট-১ এর ভৌত কাঠামোর ভেতরে রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের মাধ্যমে প্রায় সব ধরনের পারমাণবিক যন্ত্রাংশ স্থাপন সম্পন্ন হলো। এর ফলে এই ইউনিটের রিয়াক্টর ভবনের ভেতরের কাজ প্রায় শেষ হবে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে এ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে ৷’
 
এর আগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের এই ঘটনা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এর ফলে প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের সাথে তাল মিলিয়েই এগিয়ে যাবে।’

উল্লেখ্য, রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় নির্মিত হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প। 

১ম চুল্লি স্থাপনের আগে রাশিয়ান পরমাণু শক্তি কমিশন-রোসাটমের মহাপরিচালক এলেক্সি লিখাচেভ এআরবিকে বলেন, ‘বিজ্ঞান প্রযুক্তি নিয়ে বছরের পর বছর রাশিয়া যে উৎকর্ষ অর্জন করেছে, সেই অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান আজ রূপপুরে প্রয়োগ করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কিছু ব্যবস্থাপনা রূপপুর প্রকল্পকে করেছে সবচেয়ে নিরাপদ।’ 

রূপপুরের এই পারমাণবিক চুল্লি নির্মিত হয়েছে রাশিয়ায়। ভিভিআর-১২০০ মডেলের এই রিয়্যাক্টরে পরমাণু জ্বালানি পুড়িয়ে মূল শক্তি উৎপাদন হবে এবং দুটি ইউনিটে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, রূপপুরের প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে পারবে বলে ধারণা দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। 
এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ১ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ ধরা হয়েছে। বাংলাদেশে একক প্রকল্প হিসেবে এটি সবচেয়ে বড় কোনো অবকাঠামো প্রকল্প। 

তবে এ প্রকল্প নিয়ে রয়েছে ভীতি ও উদ্বেগ!

জলবায়ু পরিবর্তনের কথা চিন্তা করে বর্তমানে বিশ্বে নবায়নযোগ্য শক্তির ওপরে যে জোর দেয়া হচ্ছে পারমাণবিক শক্তি তার অন্যতম একটি উৎস। তবে এইসব পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লির নিরাপত্তা নিয়ে সবসময় কিছুটা উদ্বেগ থেকেই যায়। কারণ, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্ঘটনার ব্যাপারে একটা ভীতি সবসময় কাজ করে অনেকের মধ্যেই। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ ভয়ের প্রবণতা আছে বিশ্বব্যাপী। আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থার সাবেক একজন বিজ্ঞানী ড. শহীদ হোসেন বলেন, "ভয়টা কমেনি। ভয়টা অনেক সময় না জানার কারণেও হয়। যারা এসব কেন্দ্রের কাছে থাকে, তাদের মধ্যে ভয় কম কিন্তু দূরে যারা থাকে- দেখা যায় তাদের ভয় বেশি। আর যেহেতু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়েক স্তরে নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা হয়, এ কারণেও অনেকে চিন্তা করেন নিরাপদ যদি হবে, তাহলে এত নিরাপত্তা বলয় কীসের জন্য?" "এছাড়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে অনেক মতবাদ আছে যেমন- রিয়্যাক্টরকে কখনোই বিশ্বাস করা যাবে না। এসব কারণেও ভীতি কমেনি।" 

উল্লেখ্য, সর্বশেষ জাপানের ফুকুশিমা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনাসহ বিশ্বে এ পর্যন্ত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে তিনটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনায় তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়লে দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব থাকে বলেই বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে রয়েছে ভয় আর আতঙ্ক। তবে ফুকুশিমায় দুর্ঘটনার পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনা ঝুঁকি কমাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। 
রাশিয়ার ভিভিআর ১২০০ মডেলের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনা রোধে ৫টি স্তরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা রয়েছে। 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, "আমরা এখানে কো-ক্যাচার নামে একটি বাড়তি জিনিস লাগিয়েছি যেটা ফুকুশিমার ঘটনার পর আবিস্কৃত হয়ে অলরেডি চালু হয়ে গেছে। নতুন যে প্ল্যান্ট হয়েছে দুটোতে এই ব্যবস্থা লাগানো হয়েছে আমাদেরটি তৃতীয়।" 
কো-ক্যাচার ব্যবস্থা সম্পর্কে মন্ত্রী ব্যাখ্যা করে বলেন, "কো-ক্যাচার বসানো হয়েছে খোদা না চায় যদি ওরকম কোন ঘটনা ঘটেও তাহলে পুরো দূষিত জিনিসটা গলে নিচে পড়ে যাবে। একটা কুয়ার মতো যেটার মধ্যে পড়ে ওটা সিল হয়ে যাবে। অর্থাৎ তেজস্ক্রিয়তা ছড়াবে না এবং এটার স্লোগানই হলো ‘Make More Safe, More Safe & More Safe’ এবং আমরাতো একেবারে লেটেস্ট প্রযুক্তিটাই নিচ্ছি।"