টাকার বিনিময়ে পটিয়ায় রোহিঙ্গা বনে যাচ্ছে বাংলাদেশী নাগরিক! |
ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়ায় টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা বনে যাচ্ছে বাংলাদেশী নাগরিক! উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের সহযোগীতায় রোহিঙ্গাদের মিলছে জাতীয়তা সনদপত্র।
আছমিদা আকতার নামের এক রোহিঙ্গা নারীকে মাত্র ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জাতীয়তা সনদপত্র, জন্মসনদ, প্রত্যয়নপত্র দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুয়া এসব সনদপত্র নিয়ে ভোটার হতে ইউনিয়ন পরিষদে ছবি তুলার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে ওই মহিলা।
সূত্র জানায়, পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নাধীন ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ফেরদৌস আরা বেগম ও ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর মোঃ ফয়সালের সহযোগীতায় রোহিঙ্গা নারীর পরিচয় আছমিদা আকতার, পিতা- মোঃ আমির হোসেন, সাং-পূর্ব বাড়ৈকাড়া, পোষ্ট অফিস- মৌলভী হাট উল্লেখ করে জাতীয়তা সনদপত্র, জন্মসনদ, প্রত্যয়নপত্র প্রদান করা হয়েছে।
গত ১৭ জুন বড়লিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম শানুর স্বাক্ষরিত ওই সনদগুলো মহিলা ইউপি সদস্য ফেরদৌস আরা বেগমের তদন্তের প্রেক্ষিতে দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ জুন ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম শানুর স্বাক্ষরিত একটি জাতীয়তা সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর মোঃ ফয়সাল ও মহিলা ইউপি সদস্য ফেরদৌস আরা বেগমের সহযোগীতায় মাত্র ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে গত ২৭ এপ্রিল ২০১৭ সনে ওই রোহিঙ্গা নারীর জন্য জন্মসনদ ও ওয়ারিশান সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়, যার প্রেক্ষিতে তাকে ভোটার হওয়ার ব্যবস্থা করে ছবি তুলার জন্য বোরকা পড়ে তারা ওই মহিলাকে ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বলেন।
বৃহস্পতিবার ওই রোহিঙ্গা মহিলা ভোটার হতে আসলে ছবি তোলার সময় উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মফিজ মেম্বার তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে জ্ঞিজ্ঞাসাবাদে রোহিঙ্গা হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পায়।
মহিলা ইউপি সদস্য ফেরদৌস আরার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, তিনি মেয়েটির বাড়ি চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারীতে বলে দাবি করেন।
ওই রোহিঙ্গা মহিলাকে শাহগদী মাজারবাড়ির কাশেমের বোন হিসেবে পরিচয় করে দেয়া হয় এবং ভোটার হতে আসলে তাদের পরিবারের সদস্যদের আইডি কার্ডের ফটোকপি সাথে সংযুক্ত ছিল যা ইতিপূর্বে টাকার বিনিময়ে নিয়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড়লিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম শানু বলেন, ‘আমার এক মহিলা মেম্বার তথ্য গোপন করে ওই রোহিঙ্গা নারীকে জাতীয়তা সনদপত্র দেয়ার ব্যাপারে সহযোগীতা করেছে। ভোটার হতে এসে ওই মহিলার কথাবার্তায় অসংগতি দেখা দিলে আমার সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে তার শ্বশুর বাড়ি আমার এলাকায় এবং সে আমার এলাকার এক পুরুষকে বিয়ে করেছে বলে দাবি করে।’
টাকার বিনিময়ে সনদ ইস্যু করার ব্যাপারে জানতে চাইলে বিষয়টা মিথ্যা বলে দাবি করেন চেয়ারম্যান।