স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মাওলানা ভাসানীর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ |
ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭৬ সালের এই দিনে তৎকালীন পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন মজলুম এ জননেতা।
১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা করেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। এই মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (রবিবার, ১৭ নভেম্বর)।
১৯৭৬ সালের এইদিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (তৎকালীন পিজি) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আজ রবিবার (১৭ নভেম্বর) ভোর থেকেই মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর কবর জেয়ারত ও শ্রদ্ধা জানাতে ঢল নামে সাধারণ মানুষের। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রয়াত এই নেতার কবরে।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মাওলানা ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার জীবনের সিংহভাগই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। সন্তোষের মাটিতেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।
মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন।
লাইন-প্রথা উচ্ছেদ, জমিদারদের নির্যাতন বিরোধী আন্দোলনসহ সারাজীবনই সাধারণ মানুষের কল্যাণে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন তিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন।
১৯৭২ সালের ৯ই এপ্রিল ঢাকার পল্টন ময়দানে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জনসভায় তিনি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেন। ভারতীয় আগ্রাসন বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দেন।
দেশব্যাপী দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে ১৯৭৪ সালে ভাসানীর ভুখা মিছিল বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে।
১৯৭৬ সালে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক লংমার্চের নেতৃত্ব দিয়ে তিনি ভারতের সেবাদাসদের চক্ষুশূলে পরিণত হন।
এদিকে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলে অবস্থিত মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, টেকনিক্যাল কলেজ, মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।