"মুসলিম" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
মুসলিম লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
চাঁদ দেখা গেছে, রমযানুল মুবারক; ramadan; mubarak; ramadan kareem
চাঁদ দেখা গেছে, রমযানুল মুবারক

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রমযান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে রমযান। 

আজ সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় রমযানের চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। 

সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ধর্মমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি মোঃ ফরিদুল হক খান জানান, ‘চট্টগ্রামের আকাশে রমযান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। মঙ্গলবার থেকে রোযা শুরু হবে।’
বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামায দোয়া, নামল স্বস্তির বৃষ্টি
বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামায দোয়া, নামল স্বস্তির বৃষ্টি

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ দেশব্যাপী প্রচন্ড তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। বৃষ্টি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে ফসল। নেমে গেছে পানির স্তর। দেখা দিয়েছে পানির তীব্র সংকট। রোদ আর গরমে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। 

বৃষ্টির আশায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘সালাতুল ইস্তিকারা’র নামায ও দোয়া করে মুসল্লিরা। মুসল্লিরা বলেন, প্রিয় নবীর হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)’র সুন্নাহকে অনুসরণ করে বৃষ্টির জন্য দুই রাকাত নামাজ আদায় করেছি। মহান আল্লাহ আমাদের নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিবেন এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

এদিকে সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ সিলেট, ফেনী, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিলেছে।

বৃষ্টিহীন এপ্রিলে গত কয়েকদিন ধরেই প্রচন্ড গরমে গোটা দেশেই জনজীবন অসহনীয় করে তুলেছে। সোমবার পাবনার ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়, যা গত পাঁচ দশকে সর্বোচ্চ। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চলমান তাপপ্রবাহ থাকবে আরও বেশ কয়েকদিন। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। তবে বাড়বে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ। ফলে তাপমাত্রা কমলেও অস্বস্তিকর গরম সহসাই কাটছে না।
চাঁদ দেখা যায় নি, শুক্রবার রোযা শুরু;  রমযান; রমজান; রোজা; রোযা; Ramadan; Holy Ramadan
চাঁদ দেখা যায় নি, শুক্রবার রোযা শুরু

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ দেশের আকাশে পবিত্র রমযান মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে রোযা রাখা।
 
আজ বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল এ ঘোষণা দেন। 
তিনি বলেন, ‘দেশের আকাশে কোথাও চাঁদ দেখার খবর পাওয়া যায়নি। তাই বৃহস্পতিবার শেষ হবে শাবান মাস এবং শুক্রবার শুরু হবে রমযান মাস।
 
তিনি আরো জানান, ১৮ এপ্রিল দিবাগত রাতে শবে কদর পালিত হবে। 

উল্লেখ্য, চন্দ্র মাসের পঞ্জিকা অনুসারে, ১২ মাসে ৩৫৪ বা ৩৫৫ দিনে বছর হিসাব করা হয়। চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ইসলামী পঞ্জিকার দশম মাস রমযানের শুরু হয়। আগের দিন মঙ্গলবার চাঁদ দেখা না যাওয়ায় সোদি আরবে বৃহস্পতিবার থেকে রোযা শুরুর ঘোষণা আসে। 

বাংলাদেশে শুক্রবার ১ম রোযা রাখার মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা সিয়াম, সাধনা, সংযমের মাস রমযানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করতে যাচ্ছেন।
ভারতে মহানবী (সাঃ)-কে কটূক্তি, প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক; হযরত মুহাম্মদ (সাঃ); হযরত আয়েশা (রাঃ); ভারত; মুসলমান; হিন্দুত্ববাদ; হিন্দু জঙ্গি; হিন্দু সন্ত্রাস; মুসলিম নির্যাতন; বিজেপি; নূপুর শর্মা; Prophet Muhammod; Prophet Muhammad; Hazrat Muhammod; Hazrat Muhammad; Hazrat Ayesha; BJP; India; Muslim; Nurpur sharma; Hindutva; Hindu Terror;
ভারতে মহানবী (সাঃ)-কে কটূক্তি, প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক


ভয়েস অব পটিয়া-ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ ভারতে ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দু সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির দুই নেতা কর্তৃক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (ﷺ)’কে নিয়ে কটূক্তির পর মুসলিম বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। চরম ইসলাম-বিদ্বেষী ওই মন্তব্যের প্রতিবাদে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে মুসলিমরা। দেশে দেশে শুরু হয়েছে ভারতীয় পণ্য বয়কটের হিড়িক।

মহানবী (ﷺ)'কে কটূক্তির প্রতিবাদে ইতোমধ্যে সৌদি আরব, কাতার, ইরান, কুয়েত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতদের পররাষ্ট্র দপ্তরে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। 

দীর্ঘদিন ধরে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক দল বিজেপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী-সমর্থক কর্তৃক সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর বর্বর নির্যাতনের মধ্যে সম্প্রতি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) ও তাঁর স্ত্রী হযরত আয়েশা (রাঃ)’কে নিয়ে কটূক্তি ও অবমাননাকর মন্তব্য করেন বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও দিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নবীন কুমার জিন্দাল। তাদের এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে ফেটে পড়ে সমগ্র মুসলিম বিশ্ব। দেশে দেশে কোটি কোটি মানুষ ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে #BoycottIndianProducts হ্যাশট্যাগ।  
ফেসবুক-টুইটারে ছড়িয়ে পড়া ছবিও-ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরবের সুপারস্টোরগুলো থেকে ভারতীয় পণ্য সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। অনেক স্টোরে ভারতীয় পণ্যগুলো প্লাস্টিক মুড়িয়ে পণ্য বয়কটের পোস্টার লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। দোকানপাট-বাজার থেকে ভারতীয় পণ্য সরিয়ে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলতেও দেখা যায় বেশ কিছু ছবিতে। 

এদিকে, উপসাগরীয় অঞ্চলে ভারতীয় পণ্য বয়কটের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আহ্বানের কারণে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) রোববার তাদের দুজন মুখপাত্র ইসলামদ্রোহী নূপুর শর্মা ও নবীন কুমার জিন্দালকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। 

রাসূল (ﷺ)’কে কটূক্তির প্রতিবাদ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশেও। বাংলাদেশের আলেম সমাজ ও ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা ইসলামবিদ্বেষী ওই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বাংলাদেশ সরকারকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের কাছে রাষ্ট্রীয়ভাবে তীব্র প্রতিবাদ জানানোরও আহ্বান জানান। পাশাপাশি সকলের প্রতি ভারতীয় পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের আল-আকসায় ফের ইসরায়েলি সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৩১; ফিলিস্তিন; আল আকসা; বায়তুল মাকদিস; বায়তুল মোকাদ্দেস; জেরুজালেম; জেরুসালেম; পশ্চিম তীর; গাজা; ইহুদি; ইহুদি সন্ত্রাস; ইসরায়েলি সন্ত্রাস; Palestine; Al Aqsa; Baitul Makdis; Jerusalem; Jewish; Zionist; Jewish Terrorism; Israeli Terrorism
ফিলিস্তিনের আল-আকসায় ফের ইসরায়েলি সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৩১

ভয়েস অব পটিয়া-ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ পবিত্র রমজান মাসে ফিলিস্তিনের পূর্ব জেরুজালেমের মসজিদুল আল-আকসায় আবারও হামলা চালিয়েছে অবৈধ দখলদার ইসরায়েলি সন্ত্রাসী বাহিনী। 
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) মসজিদটিতে জুমার নামাযরত অবস্থায় মুসলিমদের উপর বর্বর এ হামলা চালায় ইহুদি সন্ত্রাসবাদী ইসরায়েলি পুলিশ। এ সময় তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে তিন সাংবাদিকসহ অন্তত ৩১ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার বরাতে জানা যায়, শুক্রবার সকালে সম্পূর্ণ সন্ত্রাসী কায়দায় আটঘাট বেঁধে রাবার বুলেট ছুড়ে হামলা করতে করতে আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ করে দখলদার ইসরায়েলি পুলিশ। এ সময় ফিলিস্তিনিরা আত্মরক্ষার্থে পাথর ছুড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করলে অতর্কিতভাবে গুলি, টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে হামলা করে ইসরায়েলিরা। সংঘর্ষ চলাকালে মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি গাছে আগুন জ্বালিয়ে দেয় সন্ত্রাসবাদী ইসরায়েলি বাহিনী। 

ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, দখলদার ইসরায়েলি সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ৩১ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে নতুন করে অবৈধ দখলের উদ্দেশ্যে দখলদার ইসরায়েলিদের চালানো সামরিক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে চলমান উত্তেজনার মধ্যে মুসলিমদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদ সম্প্রতি সহিংসতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। গত ১৮ এপ্রিল জেনিন শহরের কাছে আল-ইয়ামুন এলাকায় দখলদার ইসরায়েলি সন্ত্রাসবাদী বাহিনীর গুলিতে গুরুতর আহত হয় ইব্রামিক লেবেদি নামের ২০ বছরের এক ফিলিস্তিনি কিশোর। চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শুক্রবার মৃত্যুবরণ করে ফিলিস্তিনি এ কিশোর। 

উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভূমি অবৈধভাবে দখলের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করা হয় ইহুদি সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৬৭ সালে আরবদের সঙ্গে যুদ্ধে আল-আকসা মসজিদ দখল করে নেয় তারা। যুদ্ধের পর আল-আকসা মসজিদ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিল অবৈধভাবে দখলদার ইসরায়েলিরা। এমনকি ১৯৬৯ সালে মুসলিমদের প্রথম কিবলা পবিত্র এ মসজিটিতে অগ্নিসংযোগও করেছিল তারা। এরপর নানা বিধিনিষেধ আর শর্তপূরণের মাধমে সেখানে ইবাদতের সুযোগ পেতেন সাধারণ মুসল্লিরা। এরপরও একাধিকবার বিভিন্ন অজুহাতে দখলদার সন্ত্রাসবাদী ইসরায়েল আল-আকসা মসজিদটি ফিলিস্তিনিদের জন্য বন্ধ করে দেয়। ২০০৩ সালে ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিদের আল-আকসায় প্রবেশের অনুমতি দেয় দখলদার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে আবারও দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। 

মসজিদুল আল-আকসা বা বায়তুল মাকদিস মুসলিমদের প্রথম কেবলা। অসংখ্য নবী-রাসূলের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক স্থান ও মর্যাদাপূর্ণ ইবাদতের জায়গা এটি। আল্লাহর রাসূল প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐতিহাসিক মেরাজের রাতে মসজিদুল হারাম তথা পবিত্র কাবা শরীফ থেকে মসজিদুল আল-আকসা তথা বায়তুল মাকদিসে প্রথম সফর করেন। সেখান থেকে বোরাকে চড়ে উর্ধ্বাকাশে গমন করে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করেন, যা মেরাজ নামে পরিচিত।

এদিকে ইহুদিরা মসজিদুল আল-আকসাকে তাদের টেম্পল মাউন্ট হিসেবে দাবি করে বলে, ‘এর নিচেই রয়েছে দুটি প্রাচীন ইহুদি মন্দির। অন্যদিকে খ্রিস্টানরাও স্থাপনাটিকে তাদের পবিত্র স্থান বলে দাবি করে আসছে।’ এই নিয়ে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের উপর ইহুদি সন্ত্রাসবাদী অবৈধ দখলদার ইসরায়েলিরা যুগ যুগ ধরে হত্যা-দমন-পীড়ন বর্বরতা চালিয়ে আসছে।
শতবর্ষের ইতিহাসঃ আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়; ‍asrahs; patiya; chittagong; chattogram; abdus sobhan; school; historical; পটিয়া; চট্টগ্রাম; মাওলানা আবদুস সোবহান; বিদ্যালয়; স্কুল; পটিয়ার স্কুল; চট্টগ্রামের স্কুল; ঐতিহ্যবাহী; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
শতবর্ষের ইতিহাসঃ আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় - ৫ম (শেষ) পর্ব

শতবর্ষের ইতিহাস সিরিজ - ‘আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়’

১ম পর্ব | ২য় পর্ব | ৩য় পর্ব | ৪র্থ পর্ব 

৫ম (শেষ) পর্ব

১৯. পটিয়াতে বালক বিদ্যালয় সরকারীকরণ বিষয় না জানলে কি করে হয়? 
১৯৭৯ সাল থেকে সমস্ত প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নিয়ম মেনে দুটি স্কুল একীভূত করে এক নামে সরকারীকরণ করার জন্যে সরকারীভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিলো। ১৯৮২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী তারিখে তৎকালীন পটিয়া মহকুমা প্রশাসক নাজমুল আলম ছিদ্দিকী সাহেবের সভাপতিত্বে, তাঁরই সরকারী অফিসে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ডিজি জনাব ড. হাফেজ আহমদ, ডিডি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মিসেস আর.জে.আর ছালেহা খানম, মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক জনাব মাহাবুবুল আলম, যাঁরা সকলেই প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী পদধারী ছিলেন।পটিয়ার বিখ্যাত এ দুটি স্কুল একসাথে “পটিয়া ইউনাইটেড আদর্শ আবদুস সোবহান রাহাত আলী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়” নামকরণ চুড়ান্ত করা হয়েছিলো এবং তা অনুমোদিত হয়েছিলো। ঐ দিন দুটি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগণ, প্রধান শিক্ষকগণসহ অন্যান্য শিক্ষকগণও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কি যেন জটিলতার কারণে প্রজাতান্ত্রিক ঐ সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়েছিলো। 

অতঃপর উভয় স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষকগণ ১৯৯২ ইংরেজীতে শিক্ষা সচিব বরাবরে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পূনঃ আবেদন পেশ করেন। তৎপ্রেক্ষিতে ৩১ অক্টোবর ১৯৯২ ইংরেজী তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষা সচিব জনাব সফিউল আলম সাহেবের সভাপতিত্বে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব মোহাম্মদ ইউনুস মিয়া, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মুহাম্মদ যোবাদুল হক, উপসচিব (মাধ্যমিক) জনাব মুহাম্মদ আবদুল জব্বার, শিক্ষা বোর্ডের স্কুল পরিদর্শক জনাব মুহাম্মদ আবু তাহের, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক জনাব ডা. সৈয়দ আহমদ প্রমুখ কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। পটিয়া থেকে ঐ সভাতে আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি জনাব হামিদুল হক, প্রধান শিক্ষক জনাব মুহাম্মদ মুসা এবং পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি জনাব আমীন খাঁন উপস্থিত ছিলেন। সর্বশেষ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ০২ মে ১৯৯৩ ইং তারিখে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মহোদয়কে নির্দেশমূলক চিঠি প্রেরণ করে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য (ঐ সময়ে চট্টগ্রামের স্কুলগুলিও কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে ছিলো)। বিএনপি সরকার আমলে আবারো ঐ সিদ্ধান্ত আটকে থাকলো। 

বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার ২০১৫ সালে পূনঃ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে যে প্রত্যেক উপজেলা সদরের একটি বালক স্কুল সরকারীকরণ করা হবে। পটিয়ার সিনিয়র নেতাদের সাথে আলোচনা করে পটিয়াতে আমি ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নিয়ে পটিয়ার সকল রাজনৈতিক দলসমূহের মূল নেতৃবর্গ, বুদ্ধিজীবিগণ, সাংবাদিকগণ, শিক্ষকগণ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বগণ এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাগণকে জড়ো করে ২৫ আগস্ট ২০১৫ ইং তারিখে পটিয়া ক্লাব হলে ১টি, ২৮ আগস্ট ২০১৫ ইং তারিখে উপজেলা প্রশাসনের হলরুমে ১টি এবং ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ইং পটিয়া পৌরসভা হলরুমে ১টি সভার আয়োজনের ব্যবস্থা গ্রহণ করি। শেষ ২টি সভাতে এমপি মহোদয়, উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব, মেয়র সাহেব, ইউএনও মহোদয়া (শেষ সভাতে), উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানগণসহ সকল পর্যায়ের ব্যক্তিত্বগণ উপস্থিত ছিলেন। শেষ সভাটি মেয়র মহোদয়ের নামে চিঠি ইস্যু করা হয়েছিলো। পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য ছিলো পটিয়ার ২টি বিখ্যাত স্কুল একীভূত করে সরকারীকরণের ১৯৮২ সালের সরকারী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এবং ১৯৯৩ সালের সর্বশেষ আত্মীকরণের নির্দেশ পটিয়ার মাননীয় এমপি মহোদয়ের মাধ্যমে কার্যকর করা। এটা সম্ভব ছিলো, সুযোগও ছিলো কিন্তু পারা গেলো না। কিন্তু কেনো পারা গেলো না, ইতিহাস ঠিক সময়ে তাও বলে দেবে। আজকের বাস্তবতায় আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শত বছরের সফলতা ও ইতিহাসের সাক্ষ্য ও তথ্য নিয়ে, এই বিদ্যালয়টিকে সরকারীকরণ করবার সকল ধরণের আয়োজন, উপকরণ ও উপযোগিতা কানায় কানায় পূর্ণ আছে। প্রয়োজন শুধু বাস্তবায়নের উদযোগ আর প্রচেষ্টা। বিদ্যালয়ের ছাত্র সংখ্যা, শিক্ষকসংখ্যা ও কর্মচারীসংখ্যা ঠিক রেখে প্রয়োজনে পরবর্তীতে ডাবল শিফটের ব্যবস্থা রেখে যদি সরকারীকরণের ব্যবস্থা নেয়া যায়, তাহলে প্রতিবছর শত শত ছেলে পটিয়াতে সরকারী বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবে। পটিয়াতে বালক বিদ্যালয় সরকারীকরণের দাবী ও প্রত্যাশা আজ কোন ব্যক্তির বা শুধু পটিয়াবাসীর নয়, বরং ইতিহাসের ও সত্যের। 

২০. স্কুল প্রতিষ্ঠার শত বছরের ইতিহাস স্মরণের অনুষ্ঠান। ২০১৬ সালের ১৮ মার্চ শুক্রবার বিদ্যালয়ের শত বছর পূর্তির উৎসব ও মহামিলন মেলা আয়োজনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রগণ বুক ফুলিয়ে শ্বাস নিয়ে তাঁদের সপরিবার সদস্যগণসহ বিদ্যালয় জীবনের বন্ধুদের সাথে মিলিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। শত বছর পূর্তির এই উৎসব আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছিল আলহাজ্ব মোহাম্মদ ছোলায়মান চেয়ারম্যান, ড. রফিকুল আলম সদস্য সচিব, পটিয়া পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ-কে প্রধান সমন্বয়কারী এবং বিদ্যালয়ের অপরাপর প্রাক্তন ছাত্রগণকে বিভিন্ন দায়িত্ব দিয়ে গঠিত উদযাপন পরিষদে উদ্যোগে। বাস্তবতা ছিল এই যে, সাবেক মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশীদ ‘আদা জল খেয়ে’ না নামলে, আলহাজ্ব ছোলায়মান সাহেবের নিয়মিত তাগাদা না থাকলে এবং বর্তমান মেয়র আইয়ুব বাবুল ঐ সময়ে মাননীয় মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি সাহেবকে আনার দায়িত্ব না নিলে এ আয়োজন অসম্ভব হতো। তবে শতবর্ষ উদযাপনের সার্বিক আয়োজন সফল করতে বেশ কয়েকজনের ভূমিকা বিশেষ করে কবিয়াল আবু ইউসুপ, এস.এম.এ.কে জাহাঙ্গীর, এ.টি.এম নাছির উদ্দিন, আবুল কালাম বাবুল, আইয়ুব বাবুল, ফৌজুল করিম, গোফরান রানা, আলী হেসেন, মোর্শেদ নিজামী, ডা. ওয়াহিদ হাসান, ডা. সাখাওয়াৎ হিরু, ডা. আইয়ুব নবী, এডভোকেট মাহউদ্দিন, সাহাবুদ্দিন সাবু, আবুল কাশেম, শহীদুল্লাহ সাদা, মোঃ লিয়াকত, সাঈদ খোকন, মোঃ রিয়াজ সহ আরো কতেকের প্রতিদিনকার কর্ম তৎপরতা দৃশ্যমান ছিল। ২২ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৮ মার্চ অনুষ্ঠানের দিন রাত বারোটা পর্যন্ত আমি কোনো পদে না থেকেও প্রতিদিন দুপুর বারোটা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত শতবর্ষ উদযাপন কমিটির অফিস ডিউটি করার কাজটি দ্বিধাহীনভাবে করার চেষ্টা করেছি। তবে, কোনো ধরনের আর্থিক দায়িত্ব পালন কিংবা অর্থ গ্রহণে আমার ভূমিকা নেই। বরং স্মারকগ্রন্থের বেশীরভাগ লেখাগুলোর কয়েকবার করে প্রিন্ট নেয়ার ব্যয় বহন আমার নিজ থেকে করতে হয়েছে। শতবর্ষের অনুষ্ঠানের দিন সবচেয়ে বড়ো স্মৃতিময় ডক্যুমেন্ট বা ‘স্যুভেনির’ হওয়ার কথা ছিলো, “স্মারকগ্রন্থটি”। এজন্যে, জনাব প্রফেসর আবদুল আলীম সাহেবকে আহ্বায়ক ও আলহাজ্ব আবদুর রহমান স্যার, বি.কম মুছা স্যার, স.ম ইউনুচ, অধ্যাপক হারুনুর রশীদ, এস.কে.এম জাহাঙ্গীর, শহীদুল্লাহ সাদা গণকে সদস্য করে স্মারকগ্রন্থের লেখা সম্পাদনা ও বাছাই করার জন্য একটি পরিষদ গঠন করা হয়েছিলো। উক্ত লেখা বাছাই ও সম্পাদনা পরিষদ যথাযথভাবে স্মারকগ্রন্থের যাবতীয় কাজ শতবর্ষ অনুষ্ঠানের আগেই সম্পন্ন করেছিলো। কিন্তু অনুষ্টানের দুইদিন আগে হটাৎ আমাকে প্রথমে শহীদুল্লাহ সাদা এরপর সাবেক মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশীদ বললেন যে, অনুষ্ঠানের দিন স্মারকগ্রন্থটি দেয়া যাবে না। দেয়া যাবে না কেনো, তা অনেক পরে জানলেও সেটা বলার সময় সুযোগ হয়ে উঠেনি। তবে, ঠিক সময়ে স্মারকগ্রন্থটি ইচ্ছা করে প্রকাশ না করায় শতবর্ষ উদযাপন পরিষদ ও সম্পাদনা পরিষদের যাবতীয় সিদ্ধান্ত, পরিশ্রম ও পরিকল্পনার প্রতি অবমাননা, অসম্মান ও অবহেলা করা হলো যে কারণে, তা হলো আর্থিক ও বাণিজ্যিক সুবিধা আদায়ের জন্যে ‘নয় ছয়’ বলে অনেকে মনে করেছেন এবং বলেছেন। 
দুঃখজনক হলেও সত্য এই যে, শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে পরিবারের সদস্যগণসহ সর্বমোট ২৫০০ জন প্রাক্তন ছাত্র শেষপর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হয়েছিলেন, তাদের দেওয়া চাঁদা, স্মারকগ্রন্থের বিজ্ঞাপণ, অনুদান ও অন্যান্য খাত থেকে কি পরিমাণ অর্থ আয় হয়েছিলো ও ব্যয় হয়েছিলো তা উদযাপন পরিষদের সভা আহ্বানের মাধ্যমে ঘোষণা করা না হওয়াতে আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি প্রমাণ হয়ে যাওয়ার মতো হয়েছে। 

২১. আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ আয়োজনের অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হলেও অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনা নিয়ে যুক্তিসঙ্গত সমালোচনা মুখে মুখে প্রচারিত হয়েছে এবং এখনো আছে। যেমন, অনুষ্ঠানে খাবার বন্টনে বিশৃংখলা, মঞ্চে একই নেতৃবর্গ বার বার আসন দখল করা, মঞ্চে বক্তাগণের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পরিবেশন করা, জোর করে মঞ্চে উঠে বক্তব্য দেয়া, সঞ্চালক সঞ্চালনার কাজ ঠিকমতো না করা ইত্যাদি। তবে, অনুষ্ঠানের দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত প্রাক্তন ছাত্রগণ তাঁদের পরিবারের সদস্যসহ ইয়ারমেট বন্ধুদেরকে নিয়ে আনন্দে মেতে ছিলেন সবাই, একেবারে অনাবিল চিত্তে। শতবর্ষের অনুষ্ঠানের দিন ইতিহাস হিসেবে স্মারকগ্রন্থটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রকাশ না করা ছিলো পরিষদের চরম ব্যর্থতা। শতবর্ষ অনুষ্ঠানের প্রায় এক বছর পর অন্য আরেকটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্মারকগ্রন্থটি প্রকাশ করা হলেও, অত্যন্ত নিন্মমানের সম্পাদনা, বাজে বাইন্ডিং, ৬০ জন রেজিস্টার্ড প্রাক্তন ছাত্রগণের ছবি না ছাপানো, শতবর্ষ উদযাপন পরিষদের বিভিন্ন কমিটিতে নাম না থাকাদের নাম ঢুকানো এবং অনেকের নাম বাদ দেওয়া, সাবেক বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর আবু জাফর চৌধুরী সাহেবের মতো বিখ্যাত মানুষদেরসহ অনেকের নাম ঠিকানা ভুল ছাপানোর মতো ঘটনাগুলো ছিলো স্কুলের নামের উপর কালিমা লেপন। গ্রন্থটির সম্পাদক এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের নামে যে ছবিসহ বক্তব্য প্রকাশ করা হয়, একই সম্পাদক এবং ভারপ্রাপ্ত সচিব উভয়ের নিজ নাম ও ঐ ছবি নিজস্ব ব্যবসায়িক পণ্যের বিজ্ঞাপনে ছাপানোর কারণে শতবর্ষের ইতিহাসখ্যাত বিদ্যালয়ের মর্যাদা এবং শতবর্ষ উদযাপন পরিষদের গৌরব যথেষ্ট ক্ষুন্ন হয়েছে বলে প্রাক্তন ছাত্ররা মনে করেছেন। সম্পাদনা পরিষদ ও লেখা বাছাই কমিটির সিদ্ধান্ত ছিলো, প্রকাশনা কমিটির আহ্বায়ক হিসাবে বদিউল আলমের ছবিসহ বক্তব্য স্মারকগ্রন্থের প্রথমদিকে সদস্য সচিবের পরে থাকবে এবং সম্পাদক হিসাবে থাকবে এস.কে.এম জাহাঙ্গীর। সব পাল্টে দেয়া হয়। তবে, স্মারকগ্রন্থটিতে সকলের মোবাইল নাম্বার প্রকাশিত হওয়াতে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রগণ পরস্পর যোগাযোগ রক্ষা করা সহজ হয়েছে। শতবর্ষ অনুষ্ঠানের জন্য সংগ্রহ করা অর্থের হিসাব, শতবর্ষ অনুষ্ঠানের কার্যক্রমের ভুল ত্রুটি বা সফলতা, স্মারকগ্রন্থ কেনো অনুষ্ঠানের দিন প্রকাশ করা হলো না, স্মারকগ্রন্থ একবছর পরে কেনো প্রকাশ করা হলো, গ্রন্থের অন্যান্য ত্রুটি-বিচ্যুতি ইত্যাদি বিষয়গুলি নিয়ে মূল্যায়ন, সভা আহ্বানের দায়িত্ব প্রধানত সাবেক মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশীদ সাহেবের উপর থাকলেও, তিনি তা করতে না পারায় কুমন্তব্যও হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে, অধ্যাপক হারুন সাহেব যাবতীয় অর্থ জমা দিয়েছিলেন মেরিট কম্পিউটারের শহীদুল্লাহ সাদার হাতে, যা ছিলো আমার ব্যক্তিগত মতামতে মারাত্মক ভুল সিদ্ধান্ত। এতো বড় বিশাল অংকের অর্থ লেনদেনের জন্যে কোনো অর্থ সম্পাদক পদে কেউ না থাকা ছিলো চরম ঘাটতি। নিয়মমতে, অর্থের ব্যাপারে দায়িত্ব দেয়া উচিৎ ছিলো ঐ সময়ের প্রধান শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জনাব ছগীর মুহাম্মদ সাহেবকে। কেনো, সেটার বিশদ ব্যাখ্যা আছে এবং কারণও আছে। 

২২. পরিশেষে একটি উক্তি দিয়ে শেষ করছি, “বিভিন্ন ধরনের স্বাধীনতার মধ্যে মত প্রকাশের স্বাধীনতাটি হচ্ছে শিক্ষক ও ছাত্রদেরসহ অনেকের জন্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কেবল এই স্বাধীনতার ক্ষেত্রেই কোন সীমা থাকার দরকার নেই। শিক্ষার কাজ হবে আমাদেরকে সত্যের যত কাছাকাছি সম্ভব নিয়ে যাওয়া যায়। এ উদ্দেশ্যে সত্যবাদিতা শেখাতে হবে।” উক্তিটি মনিষী বার্ট্রান্ড রাসেলের ‘শিক্ষাক্ষেত্রে স্বাধীনতা’ নামক প্রবন্ধ থেকে। 

পূনশ্চঃ অনিচ্ছা সত্বেও বিদ্যালয়ের অনেক প্রয়োজনীয় ইতিহাস আপাততঃ সংক্ষেপ করতে গিয়ে, আর কিছু অপ্রিয় সত্য প্রকাশ করায় ভুল বুঝার অবকাশ থাকতে পারে। যত কষ্টদায়ক ও দুঃখজনকই হোক না কেন, সে দায় ও জবাবদিহিতা লেখকের। লেখাটিতে, আগের লেখার তুলনায় অনেক কিছু তথ্য বাড়তি সংযোজন করা হয়েছে। আর এই লেখাটি স্মারকগ্রন্থ সম্পাদনা পরিষদ কর্তৃক বাছাইকৃত ও নির্ধারিত হওয়ার পর এবং স্মারকগ্রন্থের সম্পূর্ণ ছাপানো ও বাধাই হয়ে যাওয়ার পর, এক বছর পরে প্রকাশের সময়ে বাদ দেওয়া হয়েছিলো জেনেটিক্ হীনমন্য চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে; যেভাবে বাদ দেয়া হয়েছিল বাছাইকৃত ও নির্ধারিত সম্পাদকীয় লেখাটি এবং সম্পাদক হিসেবে এস.কে.এম জাহাঙ্গীরের নাম। অন্যের প্রতি কষ্ট, শ্রম, যোগ্যতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মতো ব্যক্তিরা এবং যোগ্যরা দায়িত্ব পালন করলে এমনটা হওয়ার কথা নয়। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে সময় ও সুযোগে সব কিছু ভিতর বাহির প্রকাশ করা হবে, যেটা নব প্রজন্মের জন্য প্রয়োজনও বটে।

========সমাপ্ত======== 

• তথ্যসূত্রঃ 
১। স্কুল রেকর্ড
২। ভারতবর্ষের ইতিহাসঃ কোলকাতা সংস্করণ
৩। চট্টগ্রামের ইতিহাসঃ পূর্ণচন্দ্র চৌধুরী
৪। রদ্দুরঃ সাময়িকী
৫। বয়োজ্যেষ্ঠ প্রাক্তন ছাত্রগণের সাক্ষাৎকার।

লেখকঃ- স.ম ইউনুচ
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৭৫ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র


বিঃদ্রঃ
(লেখাটি আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন স্মারকগ্রন্থের জন্য প্রস্তুতকৃত ছিলো। অনেকগুলো তথ্য সম্পাদন করে নতুনভাবে প্রকাশ করা হলো। ইতিহাসের সত্য অস্বীকার করা যায় না। যে কারো মতামত গ্রহণযোগ্য। - লেখক) 


আপনার মতামত জানাতে পারেন কমেন্টবক্সে কিংবা মেসেজ করুন আমাদের ফেসবুক পেইজে 


শতবর্ষের ইতিহাসঃ আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়; ‍asrahs; patiya; chittagong; chattogram; abdus sobhan; school; historical; পটিয়া; চট্টগ্রাম; মাওলানা আবদুস সোবহান; বিদ্যালয়; স্কুল; পটিয়ার স্কুল; চট্টগ্রামের স্কুল; ঐতিহ্যবাহী; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
শতবর্ষের ইতিহাসঃ আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় - ৪র্থ পর্ব
শতবর্ষের ইতিহাস সিরিজ - ‘আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়’

১ম পর্ব | ২য় পর্ব | ৩য় পর্ব  

৪র্থ পর্ব

১৪. রাজনীতি দ্বারা যেহেতু দেশ ও সরকার চলে, তাই আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী যাঁরা সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয়ভাবে এবং জাতীয়ভাবে রাজনৈতিক দলসমূহের মূল দায়িত্বে থেকে দেশের মানুষের সেবা করছেন বলে বিশ্বাস করেন, সর্বজনাব আহমদ নুর, আলহাজ্ব মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, শামশুল আলম মাস্টার, শামশুদ্দিন আহমদ, স.ম. ইউনুচ (লেখক), মুহাম্মদ নুরুল হুদা, আইয়ুব বাবুল, অধ্যাপক হারুনুর রশীদ, এ.টি.এম মুহিবুল্লাহ চৌধুরী (মরহুম), এডভোকেট রফিকুল ইসলাম (মরহুম), কবিয়াল আবু ইউছুপ, নুরুল ইসলাম সওদাগর, কাজী এয়াকুব (মরহুম), সেলিম উদ্দিন, মুকিবুল ইসলাম ফারুক, মুহাম্মদ বদিউল আলম, আ.ম.ম টিপু সুলতান চৌধুরী, অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, মুহাম্মদ ছৈয়দ চেয়ারম্যান, মোহাম্মদ আলী হেসেন, রেজাউল করিম রিজু (মরহুম) সহ আরো অনেকেই রাজনৈতিক মূলদল ও সহযোগী এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন। 
বর্তমানে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের একটি অভিজ্ঞ ও যোগ্যতম অংশ প্রায় সকল রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন স্তরে মূল নেতৃত্বে আসার পরবর্তী পর্যায়ে অবস্থান করছেন। মূল নেতৃত্বে এসে তাঁরাও ইতিহাসের অংশ হবেন। 

১৫. ** স্বাধীনতা মুক্তিসংগ্রামে আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে যাঁদের নাম খুজে পাওয়া যায়, মুক্তিযোদ্ধা শামশুল আলম (বাহুলী) প্রথম পটিয়ায় মেট্রিক পরীক্ষা সেন্টারে বোমা ফাটিয়ে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের সূচনা করেছিলেন বলে জানা যায়। তবে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিচালিত সরকারের সময়ে বিমান বাহিনীতে চাকুরীকালীন অবস্থায় তিনি নিহত হলে তাঁর লাশটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

বিদ্যালয়েরই সাবেক ছাত্র জনাব শামশুদ্দিন আহমদ মুক্তিযুদ্ধে বিশাল ভূমিকা রাখেন। এডভোকেট আবু ছৈয়দ সাহেব মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। বিদ্যালয়ের ছাত্র যাঁরা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তাদের মধ্যে সর্বজনাব সাবেক মেয়র শামশুল আলম মাস্টার, মরহুম শামশুল আলম চেয়ারম্যান (হাইদগাঁও), নুর মোহাম্মদ বিএসসি (ঐ), খায়ের আহমদ (ঐ), মোঃ মহিউদ্দিন চেয়ারম্যান (ঐ), আবু ছিদ্দিক (ঐ), মোস্তাফিজুর রহমান (উঃ গোবিন্দারখীল), আমির হোসেন (মল্ল পাড়া), ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাশেম (গোবিন্দারখীল), মহিবুর রহমান (ঐ), আবুল কাশেম (ঐ), আবু তৈয়ব (ঐ), আহমদ ছফা চৌধুরী (হাবিবুর পাড়া) - আরো যাঁরা ছিলেন তাঁদের ব্যাপারে সঠিক তথ্য না পাওয়াতে নামগুলি যুক্ত করতে না পারার কষ্ট থেকে গেলো। 

মুক্তিযোদ্ধাদের নামের ব্যাপারে বিতর্ক থাকতে পারে। তবে, এই নিবন্ধ কোন সনদের প্রমাণপত্র নয়। আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আমি যাঁদের নাম খুঁজে পেয়েছি, তাঁদের নামগুলোই যুক্ত করেছি । 

১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১১ টায় ১ম বার এবং দুপুর ১টায় ২য় বার পটিয়াতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী জঙ্গী বিমানের মাধ্যমে পটিয়া থানার মোড়ে, আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে, পিটিআই - এ বোমাবর্ষণ করলে আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবন এবং তখনকার উত্তর পাশের ভবনটির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। ঐদিনের বোমাবর্ষণে হাইদগাঁও গ্রামের ডা. সৈয়দ আহমদ, গোবিন্দারখীলের ফয়েজুর রহমান, ঈদুল মল্ল পাড়ার আমির আলী, হাবিবুর পাড়ার উম্মুল আলী, পোস্ট অফিস আধুরো বাড়ীর আবুল খায়ের, আল্লাই কাগজী পাড়ার আমিনুল হক, দক্ষিণ ভূর্ষির বিজয় দে, কাজী পাড়ার আলী আকবর, পশ্চিম গোবিন্দারখীলের নাছিমা খাতুন, কেলিশহরের দানু মিয়া,পশ্চিম গোবিন্দারখীলের ছৈয়দুল হক, রিক্শাচালক দুধু মিয়া সহ ২০ জন ব্যক্তি শহীদ হন বলে জানা যায়। 

১৬. আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ক্যাজুয়ালসহ ৩২ জন শিক্ষক মহৎ শিক্ষাদানের কাজে, ২ জন অফিস সহকারী, ১ জন গবেষণা সহকারী, ৩ জন ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী যাবতীয় প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। আর বর্তমানে বিদ্যালয়ের ছাত্রসংখ্যা প্রায় ১৮০০ জন। বিদ্যালয়ের গৌরবজনক ইতিহাস হচ্ছে ১৯৪৭ সালে দপ্তরী হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করে জনাব গোলাপুর রহমান ১৩ নভেম্বর ১৯৯২ ইং তারিখে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিদ্যালয়ের জন্য নিরলস সেবা দিয়ে গিয়েছেন। জানা যায় যে, মৌলানা আবদুস সোবহান সাহেব বেনী মাধবকে (দপ্তরী) নিজে নিয়োগ দিয়েছিলেন। হাইদগাঁও নিবাসী বেনী মাধব মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিরলসভাবে প্রায় ৬০ বছর বিদ্যালয়ের সেবা দিয়ে মৌলানা সাহেবের সন্মান রক্ষা করে গিয়েছেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের মধ্যে বাবু দেবেন্দ্র ধর (দেবেন্দ্র স্যার) স্বদেশী আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন বলে জানা যায় এবং বিদ্যালয়ের একটি বড় পাঠাগার গড়ে তোলায় তাঁর একনিষ্ঠ ভুমিকা ছিলো। বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে এবং অপরাপর পদে থেকে যাঁরা দায়িত্ব পালন করে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে লেখাপড়া শিখতে অবদান রেখেছিলেন তাঁদের সবার নাম ঠিকানাসহ তথ্য তুলে ধরতে পারলে অনুকরণীয় হতো। সময় ও সুযোগ না থাকায় সম্ভব হলো না। 

১৭. নৈসর্গিক ও অবকাঠামোগত অবস্থা কেমন তা জানা যেতে পারে। আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিশাল তোরণ দিয়ে ভিতরে ঢুকলেই নাক সোজা সামনে দ্বিতল শ্রেণীকক্ষসহ বিজ্ঞান ভবন, ডানে-বামে দুটি ছোট মাঠ, বামদিকের মাঠের দক্ষিণে দ্বিতল শ্রেণীভবন। ডানদিকের মাঠের উত্তরে নতুন চারতলা ভবনে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ, অফিস কক্ষসহ শিক্ষক কক্ষ ও শ্রেণীভবন। সামনে এগিয়ে গেলে পিছনে পড়বে দ্বিতল শ্রেণীভবন। সামনে-বামে বিশাল বিদ্যালয় হলঘর। ঘুরে বিজ্ঞান ভবনের পিছনের দিকে গেলে বিদ্যালয় খেলার মাঠ, খেলার মাঠের উত্তর দিকে দ্বিতল শ্রেণীভবন, বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে পুকুরের পাড়ে শুয়ে আছেন পটিয়ায় শিক্ষা প্রসারের অগ্রদূত ও বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মৌলানা আবদুস সোবহান সাহেব। মৌলনা সাহেবের পাশে তাঁর স্ত্রীর কবরটিও রয়েছে। বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবন, অফিস ভবন ও পূর্ব পাশের দ্বিতল ভবনের সামনে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার যা বিদ্যালয়ের ১৯৯১ ব্যাচের ছাত্রগণ তাদের নিজস্ব উদ্যোগে এবং অর্থে নির্মাণ করে দেন, বিদ্যালয়ের অনুমতি নিয়ে। স্কুলের সামনে আরাকান সড়কের পাশ ধরে মূল ফটকের দুই ধারে দ্বিতল ভবনের সবগুলি দোকানসমূহ স্কুল মালিকানাধীন ছিলো। বর্তমানে গেইটের দক্ষিণ পাশের মার্কেটসহ দোকানগুলি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। অনেকের মতে এই মার্কেটের কারণে স্কুলের সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে ও স্কুল ব্যবসার দিকে ঝুকেছে। আবার কেউ কেউ মনে করেন যে, এই মার্কেটের কারনে গাড়ীর শব্দ দূষণ থেকে স্কুল নিরাপদ হয়েছে। স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ও শুভাকাঙ্খী বোদ্ধা জনেরা অনেকেই মনে করেন, দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কারণে স্কুলের লেখাপড়ার মানের অবনমন ঘটেছে। স্কুল দরদীগণ মনে করেন, পরিচালনা কমিটির কিছু সদস্য ঐ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক সুবিধা লাভের জন্যে স্কুল কমিটিতে নির্বাচিত হতে চান। শিক্ষার মান রক্ষা ও অগ্রগতির জন্যে বেশীরভাগ সদস্য আসেন না বলে প্রায়ই শুভাকাঙ্খীরা মত প্রকাশ করেন। মৌলানা আবদুস সোবহান সাহেবের অনেক কষ্ট ও ত্যাগে প্রতিষ্ঠিত স্কুলের পরিচালনা কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে বা শিক্ষক কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কোনো আর্থিক অনিয়ম কিংবা অপকর্মের অভিযোগ উত্থাপিত হলে, এর চেয়ে অপমান, অসন্মান, লজ্জাকর ও আত্মঘাতী আর কিছু হতে পারে না।

১৮. মৌলানা আবদুস সোবহান ও রাহাত আলী দারোগা সম্পর্কে যা জানা যায়। মৌলানা আবদুস সোবহান সাহেব জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৮৫৩ সালের ১১ জানুয়ারী, চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া পৌরসভার উত্তর গোবিন্দারখীল গ্রামের মুন্সি বাড়ী নামক পাড়াতে। তাঁর পিতার নাম মুন্সি আলী আকবর। মৌলানা সাহেব মারা যান ১৯১৮ সালের ৭ মে। ব্যক্তিগত জীবনে ওয়াজ নসিহত ও শিক্ষকতা করতেন। রাহাত আলী দারোগা সাহেব জন্মগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর গ্রামে। পটিয়া থানায় দারোগা হিসেবে চাকুরী করতেন। তাঁর জন্মের সন তারিখ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সাবেক প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ মুছা (বি এড) স্যার এর অনুরোধে স্কুল শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ছগীর মোহাম্মদ সাহেবের উদঘাটিত তথ্য অনুযায়ী রাহাত আলী দারোগা মারা যান ১৯৪৩ সালে, শনিবার। তারিখ জানা গিয়েছে বাংলা ১ ভাদ্র। দারোগা সাহেব নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যান। তাঁর পিতার নাম রহমত আলী সওদাগর বলে জানা গিয়েছে।

চলবে..

৫ম (শেষ) পর্ব পড়তে ক্লিক করুন

লেখকঃ- স.ম ইউনুচ
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন ছাত্র


বিঃদ্রঃ
(লেখাটি আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন স্মারকগ্রন্থের জন্য প্রস্তুতকৃত ছিলো। অনেকগুলো তথ্য সম্পাদন করে নতুনভাবে প্রকাশ করা হলো। ইতিহাসের সত্য অস্বীকার করা যায় না। যে কারো মতামত গ্রহণযোগ্য। - লেখক) 


আপনার মতামত জানাতে পারেন কমেন্টবক্সে কিংবা মেসেজ করুন আমাদের ফেসবুক পেইজে