"শিকলবাহা" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
শিকলবাহা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
এক যুগেও শেষ হয়নি পটিয়ার কালারপুল সেতুর নির্মাণকাজ, পটিয়া, চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা, পটিয়া জেলা, কালারপুল, শিকলবাহা, কোলাগাঁও, ভেল্লাপাড়া, কর্ণফুলী
এক যুগেও শেষ হয়নি পটিয়ার কালারপুল সেতুর নির্মাণকাজ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও মুরারী খালের উপর নির্মাণাধীন কালারপুল আখতারুজ্জামান সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয় এক যুগেও। ১ সপ্তাহ পর সেতুটি উদ্বোধনের কথা থাকলেও ঠিকাদারের গাফিলতি-অবহেলায় শেষ হয়নি ৭০ শতাংশ কাজও। তার আগেই গত শুক্রবার ৩টি গার্ডার ধসে শিকলবাহা খালে তলিয়ে যায়। 

সড়ক ও জনপথ সূত্রে জানা যায়, পটিয়ার কোলাগাঁও (শিকলবাহা) মুরারী খালের উপর নির্মিত পটিয়া-কর্ণফুলীর সংযোগ সেতু কালারপুল সেতু নির্মাণে টেন্ডার পাওয়া ঠিকাদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩য় দফায় সেতু নির্মাণ করার সময় বর্ধিত করা সত্বেও সম্পন্ন করতে পারেনি সেতুর নির্মাণযজ্ঞ। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

এ রিমধ্যে শুক্রবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাইড্রোলিক জ্যাকের মাধ্যমে গার্ডার সংযোগের সময় ক্রেনের তার ছিঁড়ে ৩টি গার্ডার খালে ধসে পড়ে। এ সময় আহত হয় অন্তত ৫ শ্রমিক। এর মধ্যে একজন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

সওজ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পাকিস্তান শাসনামলে পটিয়ার কোলাগাঁও (শিকলবাহা) মুরারী খালের ওপর একটি কংক্রিটের সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। সময়ের পরিক্রমায় সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়লেও মেরামত কিংবা নতুন সেতুর কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ সেতুটি ইতিপূর্বে জাহাজের ধাক্কায় ভেঙে খালে বিলীন হয়ে যায়। পরবর্তীতে সেই ভাঙা অংশে সড়ক বিভাগ স্টীলের বেইলি সেতু নির্মাণ করে কোনরকম জোড়াতালি দিয়ে চলাচলের জন্য উপযোগী করে। 

এরপর এ স্থানে পাকা কালারপুল সেতু নির্মাণে ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করে সড়ক ও সেতু বিভাগ। সড়ক ও জনপথ বিভাগ, দোহাজারী কর্তৃক ২০১৭ সালে নির্মাণ কাজের টেন্ডার আহবান করা হয়। আর এতে রানা বিল্ডার্স ও হাসান বিল্ডার্স নামের দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পায়। কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০১৯ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজের ধীরগতি ও যথাসময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় ৩য় দফায় মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২০২০ সালের ৩০ জুন বর্ধিত করা হয়।

সর্বশেষ  হাইড্রোলিক জ্যাকের মাধ্যমে গার্ডার সংযোগের সময় ক্রেনের তার ছিঁড়ে ৩টি গার্ডার খালে তলিয়ে যায়। 

উল্লেখ্য, এ কালারপুল সেতু দিয়ে পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও, হাবিলাসদ্বীপ, ধলঘাট, কুসুমপুরা, আশিয়া, কাশিয়াইশ ইউনিয়নের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াত করে থাকেন। বর্তমানে সেতুটি না হওয়ায় শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে বন্দর নগরীতে যাতায়াতে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে এ সেতুটির নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন পেশার মানুষ।
পটিয়ায় কিশোরীকে গণধর্ষণ, আটক ৩ ধর্ষক; পটিয়া; চট্টগ্রাম; শিকলবাহা; কোলাগাঁও; ধর্ষক; আটক; কর্ণফুলী; অপরাধ; Patiya; Chittagong; Chattogram; Shikolbaha; Kolagaon; Rapist; Arrest; Criminal
পটিয়ায় কিশোরীকে গণধর্ষণ, আটক ৩ ধর্ষক

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়ায় এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কোলাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। 

স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কর্ণফুলী থানাধীন শিকলবাহা ইউনিয়নের মাস্টারহাট এলাকা থেকে পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের বাণীগ্রামস্থ তিতা গাজীর মাজার জেয়ারতে যায় তিন কিশোরীসহ দুই কিশোর। মাজার জেয়ারত শেষে রাত দশটার দিকে বাড়ি ফেরার পথে সিএনজি থেকে এক কিশোরীকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধ ৬ অপহরণকারী বাণীগ্রাম নতুনপুল এলাকায় বাঁশ ঝাড়ের কাছে জঙ্গলে নিয়ে যায়। অপহরণকারীরা অপর এক কিশোরীকে অপহরণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে অপহৃত কিশোরীকে জঙ্গলে বিবস্ত্র করে অপহরণকারী ৬ জন মিলে গণধর্ষণ করে। ওই সময় কিশোরীর অমানবিক চালায় পাষন্ড অপহরণকারীরা। ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে রাত ৩টার দিকে বিবস্ত্র অবস্থায় দুই সিএনজি চালক দেখতে পেয়ে পাশ্ববর্তী একটি বাড়ী থেকে কাপড় এনে দেয়ার পর তাদের সিএনজি করে বাড়িতে পৌঁছিয়ে দেয়। 

এ ঘটনার ব্যাপারে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা স্থানীয় কোলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন। পরে গতকাল ধর্ষকদের সাথে ধর্ষিতার মাঝে কোলাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বাড়িতে সমঝোতা বৈঠকের নামে কৌশলে ডেকে আনা হয়। সেখান থেকে পুলিশ ধর্ষকদের আটক করে। এ সময় ৩ ধর্ষক পালিয়ে যায়। আটককৃত ধর্ষকরা হলো, ফজল আহমদের পুত্র হাসান (২০), ইদ্রিসের পুত্র মাসুদ (২০) ও লেদু আহমদের পুত্র ওসমান (২৮)। পলাতক ধর্ষকরা হলো, জালাল আহমদের পুত্র মঞ্জুর আলম (২২), মুত নুরুল ইসলামের পুত্র সুমন (২৭) ও এরফান (২৮)। তাদের সকলের বাড়ি কোলাগাাঁও ইউনিয়নের বাণীগ্রামে। অধিকাংশ ধর্ষক পেশায় সিএনজিসহ বিভিন্ন গাড়ির চালক বলে জানা গেছে। 

পটিয়া থানা পুলিশ জানায়, ৩ ধর্ষককে আটকের পর পুলিশ তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। এতে আর কারা কারা জড়িত সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরপর অন্য আসামিদের আটকে অভিযান শুরুর কথা জানায় পুলিশ। 

এ ব্যাপারে পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া আরো দুই সিএনজি চালককে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তথ্য নেয়া হচ্ছে। তারা ওই ঘটনায় জড়িত কিনা তাও তদন্ত করা হচ্ছে।

কোলাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহমদ নূর জানান, কিশোরীর মা ঘটনা সম্পর্কে গত সোমবার তাকে অবহিত করেন। এরপর তিনি কৌশলে ধর্ষকদের নাম ঠিকানা নিয়ে বৈঠকের নামে এক স্থানে জড়ো করেন। এরপর তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে অন্য ৩ ধর্ষক পালিয়ে যায়।
পটিয়া শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন; কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন; ; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; শিকলবাহা; Shikolbaha
পটিয়া শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন; কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন

ভয়েস অব পটিয়া-বিশেষ প্রতিনিধি: পটিয়া উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নাধীন ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকান্ডের ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। 

চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী (উৎপাদন) আবদুল খালেদকে প্রধান করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক (নিরাপত্তা) আবুল বাশার এবং ইলেক্ট্রনিক ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী কানাই চন্দ্র দাশ। 
উক্ত তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক বিজয় ভুবন দত্ত ভয়েস অব পটিয়া’কে কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান আবুল খালেক ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘অগ্নিকান্ডে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ট্রান্সফরমারের একটি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। অপর ট্রান্সফরমারটি মেরামত করে রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, রোববার বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে পটিয়া শিকলবাহা ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ট্রান্সফরমারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে দক্ষিণ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং বান্দরবান জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কয়েক ঘন্টা বিঘ্নিত হয়।

এদিকে সোমবার সকাল থেকেও দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার বিদ্যুৎ সংকট দেখা দেয়। 

বিদ্যুৎ পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরো দুই-তিনদিন সময় লাগতে পারে বলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্রে জানা গেছে।

পটিয়ার শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আগুন নিয়ন্ত্রণে; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; শিকলবাহা; Shikolbaha
পটিয়ার শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আগুন নিয়ন্ত্রণে

ভয়েস অব পটিয়া-শিকলবাহা প্রতিনিধিঃ পটিয়া উপজেলাধীন শিকলবাহা ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে আগুনে পুড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের একটি ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রটির পরিচালক ভুবন বিজয় দত্ত।
তিনি ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এরপর থেকে বন্ধ সংযোগ দেওয়া শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। তিনি জানান, বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কোন এক জায়গায় শর্ট সার্কিট হয়েছে। যার ফলে ট্রান্সফরমারে  অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম না থাকায় আগুন বাড়তে থাকে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’

আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের ৭টি গাড়ি ঘঠনাস্থলে গিয়ে প্রায় দুইঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নিয়ন্ত্রণেও আসলে ট্রান্সফরমারে তেল থাকায় কিছুক্ষণ পর পর আগুন জ্বলে উঠছে। তবে এখনো ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে উপস্থিত রয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।’

এর আগে শিকলবাহা বিদ্যুকেন্দ্রের উপ-প্রকল্প প্রকৌশলী মোঃ শামসুদ্দিন জানান, ‘বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ট্রান্সফরমার থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে বিকাল ৩টার দিকে পটিয়া ও চাক্তাই দমকল বাহিনীর ৩টি ইউনিট আগুন নিভাতে কাজ শুরু করে। এ ঘটনায় কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। তবে এখনো হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।’
পটিয়ার শিকলবাহা এলাকা থেকে ৩৫ বস্তা চোলাই মদ উদ্ধার; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; বড়উঠান; শিকলবাহা
পটিয়ার শিকলবাহা এলাকা থেকে ৩৫ বস্তা চোলাই মদ উদ্ধার

ভয়েস অব পটিয়া-পশ্চিম পটিয়া প্রতিনিধি: পটিয়া উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নাধীন শিকলবাহা খাল থেকে গত মঙ্গলবার বিকেলে ৩৫ বস্তা দেশীয় তৈরি চোলাই মদ উদ্ধার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। 

জানা যায়, শিকলবাহা খালে নৌকাযোগে একদল মাদক ব্যবসায়ী খালের পাড়ে এ চোলাই মদগুলো মজুদ করছিলো। বিষয়টি স্থানীয়রা জানতে পেরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল আলমকে অবহিত করলে তিনি পটিয়া থানা পুলিশকে খবর দেন। পটিয়া থানার ওসির নির্দেশে এস.আই আনোয়ার, অলিউল্লাহ, মশিউর এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ এ চোলাই মদগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
উদ্ধারকৃত চোলাই মদগুলোর আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষ টাকা হতে পারে বলে পটিয়া থানার ওসি রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী জানান। 

অপরদিকে গত সোমবার এস আই নাদিম মাহমুদ ভূইয়া ও কুতুব উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে পটিয়া উপজেলার বাথুয়া গ্রামের আহমদ হোসেন প্রকাশ আবু, মোহাম্মদ ইয়াসিনকে ৩০ লিটার মদ সহ গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় পৃথক দুটি মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পটিয়ার শিকলবাহা থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকসহ আটক ১; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; শিকলবাহা; র‌্যাব-৭; Rab-7
পটিয়ার শিকলবাহা থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকসহ আটক ১

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার কর্ণফুলী থানাধীন শিকলবাহা এলাকা থেকে ২৭০ কেজি বিস্ফোরকসহ মোঃ ওমর ফারুক নামের এক যুবককে আটক করেছে র‌্যাব-৭ এর একটি দল।

সোমবার দুপুরে একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক এএসপি সোহেল মাহমুদ ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিকলবাহার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে সালফার জাতীয় বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে শিকলবাহা ইউনিউয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম বকুল জানান, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি তবে গ্রেফতারকৃত ফারুক কোন দলের রাজনীতির সাথে জড়িত সেটা আমি এখনো পুরাপুরি জানি না।’

র‌্যাবের চট্টগ্রাম জোনের পরিচালক লে. কর্ণেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘একটি কক্ষের ভেতরে চার-পাঁচটি বস্তায় সালফার জাতীয় রাসায়নিক পদার্থগুলো রাখা হয়েছিল। সালফার দিয়ে বিস্ফোরক তৈরি করা যায়। আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
 
প্রেস বিফ্রিংয়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান লে. কর্ণেল মিফতাহ।
পটিয়া হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ কর্তৃক প্রকাশ্যে টেম্পো চালককে পিটিয়ে জখম; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; হাইওয়ে পুলিশ; পুলিশ; Police; Highway police
পটিয়া হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ কর্তৃক প্রকাশ্যে টেম্পো চালককে পিটিয়ে জখম

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ মন্ত্রী যাবে জানতেন না টেম্পো চালক মোহাম্মদ তসলিম (২০)। পরিবারের সদস্যদের আহার যোগাতে প্রতিদিনকার মত টেম্পো নিয়ে সকালে বেরিয়ে পড়েন রাস্তায়। শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের পটিয়া হাইওয়ে ক্রসিং এলাকায় পৌঁছা মাত্র পুলিশ সিগন্যাল দিয়ে তসলিমের টেম্পোটি থামায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পটিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ শফিক কমান্ডো স্টাইলে টেম্পো চালকের চুলের মুটি ধরে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। ওই সময় চিৎকার করে পুলিশ ইনচার্জ শফিক বলতে থাকেন, ‘বেটা মন্ত্রী যাবে জানিস না’। মারতে মারতে এক পর্যায়ে চালকসহ টেম্পোটি পুলিশ ফাঁড়ির অভ্যন্তরে নিয়ে যান। 

জখমের অবস্থা হওয়া টেম্পো চালক মোহাম্মদ তসলিম পটিয়া উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের আবুল ফয়েজের পুত্র।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরাকান মহাসড়ক হয়ে কক্সবাজার যাওয়ার কথা ছিল। সকাল থেকেই মহাসড়কে নিষিদ্ধ সিএনজি ছাড়াও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল হাইওয়ে পুলিশ বন্ধ করে দেয়। ফলে যাত্রী সাধারণ চরম দুর্ভোগে পড়েন। অনেকে রোগী নিয়ে বের হতে চাইলেও গাড়ির অভাবে বের হতে পারেননি।

এদিকে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত টানা দুইদিন আরাকান সড়কের ভাঙা অংশ ইট বালি দিয়ে মেরামত করতে দেখা গেছে। বিকেলে মন্ত্রীর কর্মসূচি বাতিল হওয়ার বিষয়টি জানতে পারে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন ভোগান্তির শিকার সাধারণ যাত্রীরা।

পটিয়া উপজেলার থানা মহিরা গ্রামের ষাটোর্ধ্ব এক রিক্সা চালক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘গ্রামীণ পথ থেকে খালি রিক্সা নিয়ে সামান্য মহাসড়কে ওঠা মাত্রই মন্ত্রী যাওয়ার ইস্যুতে তার রিক্সাটি দিনভর পুলিশ ফাঁড়িতে আটকে রাখে। রিক্সা চালাতে না পেরে ওইদিনে কোন ইনকাম হয় নি, যার ফলে দুপুরে ভাতও খেতে পারেন নি বলে জানান রিক্সাচালক।’