পটিয়া খরনা ইউনিয়ন সড়কের বেহালদশা-দুর্ভোগে সাধারণ জনগণ |
ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার খরনা ইউনিয়ন পরিষদ সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে যানবাহন ও সাধারণ জনগণকে চলাফেরা করতে গিয়ে দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
জানা যায়, পটিয়া উপজেলার অন্তর্গত খরনা ইউনিয়ন পরিষদ সড়ক দিয়ে তৎকালীন ইংরেজরা পটিয়া চা বাগানে যাতায়াত করত। বর্তমানে চা বাগানটি বিলুপ্ত। চা বাগানের কারণে পটিয়া খরনা ইউনিয়ন পরিষদ সড়কটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এ সড়কের সাথে লালারখীল, ফকিরপাড়া, মাঝিরপাড়া, কইস্যাপাড়া, ওয়াহিদুরপাড়া গ্রামের সাথে প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যোগাযোগ রয়েছে। মুজাফফরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়, মুজাফরাবাদ কলেজ, দক্ষিণ খরনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে।
পটিয়ার ১৭ ইউনিয়নের মধ্যে সিংহভাগ শাক-সবজি খরনার বিভিন্ন গ্রাম হতে উৎপন্ন হয়। এখানে উৎপাদিত শাক-সবজি এ সড়ক দিয়ে পরিবহন করা হয়। খরনা ইউনিয়ন পরিষদ ও খরনা ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পেশার লোকের যাতায়তের একমাত্র পথ এ সড়ক।
এ সড়কের গুরুত্ব বিবেচনা করে ১৯৯২ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের সংসদ সদস্য মরহুম শাহ নেওয়াজ চৌধুরী মন্টু খরনা ইউপি সড়কটিতে কার্পেটিং এর ব্যবস্থা করেন। ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এ সড়কের আরো কিছু অংশ বৃদ্ধি করে কার্পেটিং সহ সড়কের সংস্কার কাজ করা হয়।
২০০৫ সালে বিএনপি সরকারের আমলে সড়কটিতে পুনরায় কার্পেটিং কাজে সংস্কার করা হয়। কিন্তু বিগত ১৪ বছর ধরে এই সড়কের আর কোন সংস্কার কাজ না করায় সড়কের কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় সড়কটি প্রায় চলাচলের অযোগ্য। দু’পাশে রাস্তার মাটি সরে গিয়ে চল বর্ষা মৌসুমে এ দুর্ভোগ আরো চরম পর্যায়ে পৌঁছবে বলে এলাকার লোকজনের ধারণা।
এ ব্যাপারে খরনা ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘সড়কটির বিষয়ে পটিয়ার সাংসদ সামশুল হক চৌধুরীকে অবগত করা হয়েছে। আগামী বাজেটে বরাদ্দ পেলে সড়কটির সংস্কারের কাজ করা হবে।’