"সংসদ" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
সংসদ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; সংবাদ; সারাদেশ; ঢাকা; বাজেট; বাজেট ২০২৩; বাজেট ২০২৪; বাজেট ২০২৩-২৪; বাংলাদেশ; সংসদ
এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪



ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ  ‘স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে’ যাত্রার অভিপ্রায়ে জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল। 

এবারের এ প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। যা চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের (৬ লাখ ৬০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা) চেয়ে ১৫.৩৩ শতাংশ বেশি। বাজেটের এই অর্থ জোগান দিতে রাজস্ব, অভ্যন্তরীণ ঋণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণের শরণাপন্ন হবে সরকার। এবার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। তারপরও আয় ও ব্যয়ের হিসাবে বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি থাকবে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। 

বৃহস্পতিবার বিকালে (০১ জুন) স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। তার আগে মন্ত্রীসভার অনুমোদনের পর ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।

মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় ঘাটতির এই পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৫.৫ শতাংশ। মোট বাজেটের শতাংশে ১৫.৭ ভাগ যা পূরণে নির্ভর করতে হবে ব্যাংক ঋণ থেকে। সেজন্য বিদেশ থেকে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৮ এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকার মত ঋণ করার পরিকল্পনা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
এছাড়া সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আরও ৫ হাজার কোটি টাকা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে সম্ভাব্য বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার পরিমাণ ধরা হয়েছে সোয়া ৩ হাজার কোটি টাকা। 

এবার দেশি-বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে ৯৪ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা খরচ হবে বলে অর্থমন্ত্রী হিসাব ধরেছেন, যা মোট অনুন্নয়ন ব্যয়ের প্রায় ২০ শতাংশ। অনুন্নয়ন ব্যয়ের আরও প্রায় ১৬.২০ শতাংশ প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে ব্যয় হয়ে, যার পরিমাণ অন্তত ৭৭ হাজার কোটি টাকা। 

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের ‘স্মার্ট বাংলাদেশে' মাথাপিছু আয় হবে কমপক্ষে ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার; দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকবে ৩ শতাংশের কম মানুষ আর চরম দারিদ্র্য নেমে আসবে শূন্যের কোঠায়; মূল্যস্ফীতি সীমিত থাকবে ৪-৫ শতাংশের মধ্যে; বাজেট ঘাটতি থাকবে জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে; রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত হবে ২০ শতাংশের ওপরে; বিনিয়োগ হবে জিডিপির ৪০ শতাংশ।
“শতভাগ ডিজিটাল অর্থনীতি আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক স্বাক্ষরতা অর্জিত হবে। সকলের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যাবে। স্বয়ংক্রিয় যোগাযোগ ব্যবস্থা, টেকসই নগরায়নসহ নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সকল সেবা থাকবে হাতের নাগালে। তৈরি হবে পেপারলেস ও ক্যাশলেস সোসাইটি। সবচেয়ে বড় কথা, স্মার্ট বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হবে সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা।”


এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; সংবাদ; সারাদেশ; ঢাকা; বাজেট; বাজেট ২০২৩; বাজেট ২০২৪; বাজেট ২০২৩-২৪; বাংলাদেশ; সংসদ
প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল

যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে
  • মোবাইল সেট: স্থানীয় উৎপাদন ও সংযোজন পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। তাই মোবাইল ফোনের দাম বাড়তে পারে।  
  • এলপি গ্যাস: উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সিলিন্ডার বানানোর কাজে ব্যবহৃত স্টিল ও ওয়েল্ডিং ওয়্যার আমদানিতে শুল্ক আরোপ হয়েছে। এ কারণে এলপি গ্যাসের দাম বাড়তে পারে।
  • কলম: কলম উৎপাদনে বর্তমানে ভ্যাট অব্যাহতি ছিল, সেখানে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানো হয়েছে। এতে শিক্ষা উপকরণ কলমের দাম বাড়তে পারে।
  • চশমা: চশমার ফ্রেম ও সানগ্লাস আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এছাড়াও উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হচ্ছে। তাই বাড়তে পারে চশমার ফ্রেমের দামও।
  • টিস্যু: কিচেন টাওয়াল, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন টিস্যু, ফেসিয়াল টিস্যু/পকেট টিস্যু ও পেপার টাওয়াল উৎপাদনে ৫ শতাংশ ভ্যাট আছে, এটি বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে টিস্যু পেপারের দাম বাড়তে পারে।
  • সাইকেল: সাইকেলের যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। তাই সাইকেলের দাম বাড়তে পারে।
  • প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈজষপত্র: বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈজষপত্র উৎপাদনে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। এতে তৈজসপত্রের দাম বাড়তে পারে।
  • খেজুর: শুল্ক-ফাঁকি রোধে তাজা ও শুকনো খেজুর আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এতে খেজুরের দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 
  • কাজুবাদাম: স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন বাড়াতে কাজুবাদাম আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এ কারণে আমদানি করা কাজুবাদামের দাম বাড়তে পারে। এছাড়াও ফল-বাদাম আমদানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
  • বাসমতি চাল: নন ফর্টিফাইড বাসমতি চাল আমদানিতে ভ্যাট বসানো হয়েছে। এতে এই চালের দাম বাড়তে পারে।
  • সিগারেট: এবার সিগারেটের মূল্যস্তর বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে সব ধরনের সিগারেটের দামই বাড়তে পারে।
  • সিমেন্ট: সিমেন্টের প্রধান কাঁচামাল ক্লিংকার আমদানিতে বর্তমানে টনপ্রতি ৫০০ টাকা সুনির্দিষ্ট শুল্ক আছে। এটি বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হয়েছে বিধায় সিমেন্টের দাম বাড়তে পারে।
এছাড়াও দাম বাড়তে পারে শিরিষ কাগজ, আঠা বা গ্লু, মাছের টুকরা, চিজ ও দই, চা-কফিমেট, গ্যাস লাইটার প্রভৃতি পণ্যের। হয়েছে।

যেসব পণ্যের দাম কমছে
  • মিষ্টি: বিপণন পর্যায়ে মিষ্টিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ছিল। এটি কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করায় মিষ্টির দাম কমতে পারে।
  • কীটনাশক: কৃষিকাজে ব্যবহৃত কীটনাশক, বালাইনাশক ও আগাছানাশকের দাম কমতে পারে। কারণ এসব উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে।
  • স্প্রেয়ার মেশিন: কৃষিকাজে ব্যবহৃত রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, ড্রায়ার, স্প্রেয়ার মেশিনে আগাম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাই এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
ধর্মের নামে যাতে কোনো গোষ্ঠী দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে না পারে : রাষ্ট্রপতি; রাজনীতি; জাতীয় সংসদ; করোনা; সারাদেশ; Politics; Parliament; Corona; Covid19
ধর্মের নামে যাতে কোনো গোষ্ঠী দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে না পারে : রাষ্ট্রপতি

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ ধর্মের নামে যাতে কোনো গোষ্ঠী দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে না পারে, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ। 

আজ রোববার জাতীয় সংসদে চলতি বছরের প্রথম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, “সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর নীতির কারণে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে, যা উন্নয়নের পূর্বশর্ত। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের জন্য একটি রোল মডেল। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সব সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে সম্প্রীতি সহকারে স্ব-স্ব ধর্ম চর্চা করতে পারে, সে বিষয়ে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।” 

তিনি আরো বলেন, “মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সকল সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব উৎসবমুখর পরিবেশে ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করা হচ্ছে। এই সম্প্রীতি যাতে কেউ বিনষ্ট না করতে পারে সেটিকে সকলের সজাগ ‍দৃষ্টি রাখতে হবে।” 

উল্লেখ্য, সংসদের প্রথম এবং নতুন বছরের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ দেওয়ার বিধান রয়েছে।  রোববার স্পিকার রাষ্ট্রপতির আগমনের ঘোষণা দিলে সশস্ত্র বাহিনীর একটি বাদক দল বিউগলে ‘ফ্যানফেয়ার’ বাজিয়ে রাষ্ট্রপতিকে সাদর সম্ভাষণ জানান।

করোনা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বলেন, “সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের ফলে অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ এবং সংক্রমণজনিত মৃত্যুর হার অপেক্ষাকৃত কম। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী, দূরদর্শী নেতৃত্ব ও অনুপ্রেরণায় আমরা এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস এবং এর অভিঘাত সফলভাবে মোকাবিলা করে যাচ্ছি।”