"জঙ্গলখাইন" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
জঙ্গলখাইন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

পটিয়ায় সার্জেন্ট মহি আলম খালের দূষণরোধে মানববন্ধন; পটিয়া; চট্টগ্রাম; খাল দূষণ; ফুলকলি; সার্জেন্ট মহি আলম খাল; পরিবেশ; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় সার্জেন্ট মহি আলম খালের দূষণরোধে মানববন্ধন

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নাধীন সার্জেন্ট মহি আলম খালে কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশনের ফলে সৃষ্ট দূষণ বন্ধের দাবীতে গতকাল (শুক্রবার, ০৫ জুলাই) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া শাহগদী মার্কেট চত্বরে ‘ক্লিন বাংলাদেশ’ সংগঠনের ব্যানারে সর্বস্তরের জনসাধারণের অংশগ্রহণে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা সার্জেন্ট মহি আলম খালের দূষণ রোধে কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশন খালে বন্ধের দাবী জানান।

এতে বক্তারা বলেন, পটিয়ার বেশ কয়েকটি শিল্প-কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে সরাসরি খালে নিষ্কাশনের ফলে খাল সংলগ্ন আবাদি জমিগুলোতে প্রায় ৮ বছর ধরে বোরো ফসলের চাষ হয়না। শিল্প-কারখানার এসব বিষাক্ত বর্জ্য খালে পড়ে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছে। শিল্প-কারখানার এসব বর্জ্যের প্রভাবে ফসলি জমির সেচের পানি দূষিত হওয়ার প্রভাবে উপজেলার তিন শতাধিক একর ধানি জমিতে বোরো চাষাবাদ বন্ধ হয়ে পড়েছে। খালের পানি দূষিত হয়ে দুর্গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে যা ওই এলাকার পরিবেশকে বিষিয়ে তুলেছে। প্রতিনিয়তই এসব বিষাক্ত বর্জ্য খালে পড়ছে। শিল্প-কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য খালে পড়ে পানি দূষিত করে তুললেও পরিবেশ অধিদপ্তর অজানা কারণে নীরব। 

জোয়ার-ভাটার এই খালটির সঙ্গে চাঁনখালী, বোয়ালখালী খাল ও কর্ণফুলী নদীর সংযোগ রয়েছে। এর ফলে জোয়ার ও ভাটার সময় বিষাক্ত বর্জ্য কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে মিশছে। দূষিত পানির কারণে খালে জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। বিষাক্ত বর্জ্যের প্রভাবে সার্জেন্ট মহি আলম খালের পানি নষ্ট হয়ে নীল ও কালচে রং ধারণ করছে ও দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। দুর্গন্ধের প্রভাবে খালের আশপাশের বাড়িঘর, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও বহু মসজিদের মুসল্লিরা নামাজ পর্যন্ত আদায় করতে পারছেন না। খালের পাশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চলাচলরত হাজার হাজার যাত্রীকে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়তে হয় বিষাক্ত পানির দুর্গন্ধে। 

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পার্শ্বে পটিয়া উপজেলার আমজুর হাট মোড় থেকে শুরু করে মনসা বাদামতল এলাকার প্রায় ১৫ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তীর্ণ সার্জেন্ট মহি আলম খাল। এই খালের পানি দিয়ে উপজেলার উজিরপুর, নাইখাইন, গৈড়লা, লড়িহরা, দক্ষিণ হুলাইন, এয়াকুবদন্ডী, তিয়ারকুল, উজিরপুর, উনাইনপুরা ও পৌরসভার আল্লাই এলাকার কয়েকশ কৃষক ধানি জমিতে প্রতি মৌসুমে চাষাবাদ করে থাকেন। খালের সম্মুখে গড়ে উঠা শাহ আমানত নিটিং এ্যান্ড ডাইং, ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টসের বিষাক্ত বর্জ্য সরাসরি খালে ছেড়ে দেয়ার কারণে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এলাকার কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে খালের পানি পরীক্ষা করে পানি দূষিত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। খালের এই পানি দিয়ে বোরো চাষাবাদ করলে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিদিন যারা এই রুট দিয়ে চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াত করেন তাদের গৈড়লার মোড় হতে বাদামতল এলাকা পর্যন্ত পানির বাজে দুর্গন্ধে নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে যায়।

এলাকাবাসী অনতিবিলম্বে শিল্প-কারখানার বর্জ্য খালে নিষ্কাশন বন্ধের দাবী জানান। তারা এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা প্রশাসন ও সাংসদ হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পরিবেশ দূষণের দায়ে ফুলকলিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা | Voice of Patiya; পটিয়া

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ফুলকলি ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে পরিবেশ দূষণের দায়ে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর।

বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) অকার্যকর রেখে অপরিশোধিত তরল বর্জ্য পার্শ্ববর্তী খালের মাধ্যমে নদী দূষণের দায়ে বুধবার (২৭ মার্চ) এ জরিমানা করা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন এর নেতৃত্বে পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নাধীন নাইখাইন এলাকায় অবস্থিত ফুলকলি ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ফ্যাক্টরী পরিদর্শন করে পরিবেশ দূষণের প্রমাণ পায় পরিবেশ অধিদপ্তর।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মুক্তাদির হাসান ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ইটিপি অকার্যকর রেখে বাইপাস লাইনের মাধ্যমে বর্জ্য পার্শ্ববর্তী সার্জেন্ট মহিউল আলম খালে নির্গমন করে দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে আসছিল। খালে নির্গমন করে খালের পানি দূষণ করায় ফুলকলি ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সাথে এক মাসের মধ্যে ইটিপি কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে।’

টানা বর্ষণ-বন্যায় পটিয়ার গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
ছবিঃ টানা বর্ষণ-বন্যায় পটিয়ার গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম এলাকার বিচ্ছিন্ন সড়ক

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও বন্যার ফলে সৃষ্ট জমে থাকা পানি নামতে শুরু করলেও পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের রাস্তাঘাট ও গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে ঈদ আনন্দে ‍দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঈদের আমেজে থাকা উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ, জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম, কোলাগাঁও ইউনিয়নের বাদামতল, আশিয়া, কাশিয়াইশ, বড়লিয়া, জঙ্গলখাইন ইউনিয়নসহ কয়েকটি স্পটে বন্যায় রাস্তাঘাট ডুবে যায়। বর্তমানে যার পানি নামতে শুরু করেছে। 

প্রবল পানিরস্রোতে জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম এলাকার একটি চলাচলের রাস্তাও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ঈদ আনন্দ করতে যাওয়া লোকজন। বিচ্ছিন্ন রাস্তায় লাফ দিয়ে যুবক-যুবতি থেকে শুরু করে শিশু-কিশোর-বৃদ্ধরা পারাপার হচ্ছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত একটানা তিনদিন বৃষ্টি হওয়ার কারণে গ্রামীণ সড়কের এই দশা হয়েছে। 

এদিকে, গ্রামীণ সড়কে এহেন বেহাল দশা হলেও জনপ্রতিনিধিরা দুর্ভোগ কমাতে তাৎক্ষণিকভাবে কোন ব্যবস্থা নেননি। বরংচ তারা এর দায় চাপিয়েছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর উপর।

টানা বর্ষণ-বন্যায় পটিয়ার গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
ছবিঃ টানা বর্ষণ-বন্যায় পটিয়ার গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; আশিয়া ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায়, উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। প্রতিদিন ওই সড়ক দিয়ে শত শত গাড়ি চলাচল করে থাকে। মহাজন হাট থেকে শুরু করে রশিদাবাদ সড়কটি দীর্ঘতম। বর্তমানে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসানুল হকের বাড়ি ঘাটাসহ আরো কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে থাকায় ঈদ আনন্দে দুর্ভোগ হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হলেও চলতি বর্ষা মওসুমে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে ওই সড়কের কয়েকটি স্পটে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। ঈদের তৃতীয় দিন শোভনদন্ডী ইউনিয়নে ভাঙ্গা রাস্তায় ইট ও বালি দিয়ে মেরামত করা হয়েছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান জানান। একইভাবে উপজেলার জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম সড়কের একটি অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ঈদ আনন্দ করতে যাওয়াদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।

এ ব্যাপারে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির প্রাক্তন সহ-সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার ক্ষোভ প্রকাশ করে ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘বর্তমান সংসদ সদস্যের বাড়ি তাদের এলাকায় হলেও দৃশ্যমান কোন কাজ হয়নি। তাছাড়া পটিয়াতে যেসব উন্নয়ন কাজ হয়েছে তার কোন সঠিক তদারকি হয়নি। যার কারণে প্রতিটি কাজেই অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে।’

এদিকে, আশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ. হাশেম ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে থাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এলাকার পানি নামতে শুরু করলেও বিভিন্ন ব্রিক সলিং ও কার্পেটিং রাস্তা পানিতে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে এলাকার লোকজনকে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চলতি বর্ষা মওসুমে যেসব রাস্তা ভেঙে গেছে তা নতুন অর্থবছরে টেন্ডারের মাধ্যমে মেরামতের কাজ শুরু করবেন। আশিয়া কেরিঞ্জা সড়ক মেরামতের জন্য ইতিমধ্যে ৭০ লাখ টাকার একটি বরাদ্দ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দ্রুত টেন্ডারের মাধ্যমে এই সড়কের কাজ সম্পন্ন করা হবে।
টানা বর্ষণে পটিয়ার মৎস্য চাষীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি


ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে পটিয়া উপজেলার ৫ শতাধিক মৎস্য চাষী ও ২০টি হ্যাচারী মালিকের মৎস্য পোনা পানিতে তলিয়ে গিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।

পটিয়া পৌর সদরের প্রায় শতাধিক মৎস্য চাষী চলতি বছর পোনা উৎপাদনের জন্য হালদা নদীর মৎস্য প্রজননের ডিম সংগ্রহ করে এগুলো রেনুতে পরিনত করে। পোনা  উৎপাদন ও বিক্রয় মুহুর্তে বন্যার পানিতে মূল্যবান মাছের পোনা ভেসে যায় বলে মৎস্য চাষীরা জানান।

পটিয়া উপজেলার খরনা, কেলিশহর, হাইদগাঁও, কচুয়াই, ধলঘাট, জঙ্গলখাইন ইত্যাদি ইউনিয়নগুলোতে প্রায় ৪ শতাধিক মৎস্য উৎপাদন পুকুর রয়েছে। পুকুর গুলোর রুই, কাতলা, মৃগেল, সরপুটি, কার্প জাতীয় মাছের চাষ সহ পোনা উৎপাদন প্রক্রিয়া সৃষ্টি করা হয়।

জাতীয়ভাবে ২ বার পুরুস্কারপ্রাপ্ত মৎস্য চাষী ও হযরত ওয়াশিল ফকির মৎস্য উন্নয়ন হ্যাচারী (প্রাঃ লিঃ) এর পরিচালক এম.এম. এজাহার ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘এবারের বন্যায় পটিয়ার মৎস্য চাষীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এমনকি তার নিজের হ্যাচারীর প্রায় ১২ লক্ষ টাকার মৎস্য পোনা পানিতে ভেসে গেছে। তার হ্যাচারীতে রুই, কাতাল, মৃগেল, সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, মিরর কার্প, সরপুঁটি, কার্পু, চিতল, পাবদা, রূপচাঁদা, মনোসেক্স নাইলেটিকা মাছের পোনা উৎপাদন করা হয়ে থাকে। তিনি বছরে প্রায় কোটি টাকার পোনা উৎপাদন করেন বলে জানান। যার কারণে ২ বার জাতীয় পুরস্কার ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংগঠন থেকে ১২টি পুরস্কারপ্রাপ্ত হন তিনি। তিনি আরো বলেন এ বছর যে ক্ষতি হয়েছে সে কারণে পোনা উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা অর্জন করতে পারবেন না।’

পটিয়ায় উপজেলার উল্লেখ্যযোগ্য হ্যাচারীর মধ্যে রয়েছে হযরত ওয়াশিল ফকির মৎস্য উন্নয়ন হ্যাচারী, ডেঙ্গাপাড়ার এস.জে. ফিশ, জমজম ফিশ, খরনা ইউনাইটেড এ্যকুয়া ফার্ম, শাহ আমানত ফার্ম, আমজুর হাট ফার্ম। এর মধ্যে শাহ আমানত ফার্ম ও জম জম ফিশ বন্ধ হয়ে গেছে। তবে কমলমুন্সির হাট এলাকায় অবস্থিত সরকারী মৎস্য খামারের পোনা বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে।

জাতীয় মৎস্য চাষী এম.এম. এজাহার জানান মৎস্য পোনা উৎপাদন ও চাষীদের চাঙ্গা করতে সরকার ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষীদের আর্থিক অনুদানসহ সহজ কিস্তিতে ঋন দেয়ার ব্যবস্থা করলে মৎস্য চাষীরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। তিনি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পটিয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় ১০ যাত্রী আহত; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় ১০ যাত্রী আহত

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরাকান মহাসড়কের পটিয়ায় পুনরায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর পৌঁনে ১২টার সময় উপজেলার নয়াহাট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা বান্দরবান ‍মুখী পূরবী চেয়ারকোচের (ঢাকা মেট্রো ব-১১-২০৪৭০) সাথে পটিয়া নয়াহাট এলাকায় চট্টগ্রাম মুখী টেম্পোর (চট্টমেট্রো প-০৫-১৮৫৯) মধ্যকার মুখোমুখী সংঘর্ষে অন্তত ১০ যাত্রী আহত হন। 

আহতরা হলেন, বৈশাখী চৌধুরী (১৩), কৃষ্ণ চৌধুরী (৪৫), নুরুল ইসলাম (৫৫), রবিউল আলম (২৫), ফাহিমা আকতার (১৫), আজিজুর রহমান (১০), শিরু আকতার (১৯), নূর ইসলাম (৫০), মুক্তা (২৫), শিবাস (২৬)। 
আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ফাহিমা আকতার ও মুক্তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। 

হাইওয়ে পুলিশের এসআই মোহাম্মদ হারুন বিষয়টি নিশ্চিত করে ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর খবর পেয়ে চেয়ারকোচসহ টেম্পোটি আটক করা হয়েছে।’
পটিয়ায় মেহমান সেজে বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় মেহমান সেজে বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক: পটিয়ায় মেহমান সেজে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল একটি বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে ডাকাতি করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। 
সোমবার দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার কৃষি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশে রফিক আহমদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

জানা যায়, ৭/৮ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল ঈদের মেহমান সেজে ওই বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ঘরের দরজা-জানালা সব বন্ধ করে দেয়। পরে তারা বাড়িতে আগত মেহমানদের কাছ থেকে নগদ ১০০ ডলার, তিন হাজার টাকা, আলমিরা ভেঙ্গে ৩/৪ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
এরপর তারা গৃহকর্তার ভগ্নিপতি বিনিনিহারা এলাকার প্রবাসী জহুর আলমকে খুঁজতে থাকে। তাকে হত্যার জন্য জনৈক ব্যক্তি তাদেরকে এক লাখ টাকা দিয়েছে বলে চিৎকার করতে থাকে। পথিমধ্যে তারা ঘরের লোকজনকে ভিতরে রেখে দরজা তালাবদ্ধ করে দ্রুত গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই বাড়ির লোকজনের আত্মচিৎকারে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে নির্মাণাধীন ফুলকলি কারখানার শ্রমিকরা এসে সে ঘরের তালা ভেঙ্গে তাদেরকে উদ্ধার করে। 

এ ঘটনার সম্মুখীন গৃহকর্তা রফিক আহমদ বলেন, ‘৩-৪ জনের মুখোশপরা একটি দল আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে ঘরের সদস্যদের জিম্মি করে ১০০ ডলার, নগদ তিন হাজার টাকা, আলমিরা ভেঙ্গে ৩/৪ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়।’

এ ব্যাপারে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল ছুটে যায়। তদন্ত সাপেক্ষে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’