"পটিয়া" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
পটিয়া লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
পটিয়ায় ছাত্রজনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণ, ২ মাসেও ধরা পড়েনি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা; বৈষম্যবিরোধী; ছাত্রআন্দোলন; জনতা আন্দোলন; হাসিনা; হাসিনার পতন; আওয়ামী লীগ; Bangladesh Govt; Patiya
পটিয়ায় ছাত্রজনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণ, ২ মাসেও ধরা পড়েনি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগের দিন গত ০৪ আগস্ট পটিয়া উপজেলা পরিষদের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিল লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার দুই মাস পার হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। চিহ্নিত হয়নি ঘটনার দিন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া সদরে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলিবর্ষণ করা হেলমেটধারী আওয়ামীলীগ দলীয় অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসীরা। উদ্ধার হয়নি কোনো অস্ত্রও। 

স্থানীয়রা জানান, গত ০৪ আগস্ট পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার থেকে উপজেলা পরিষদের সম্মুখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিল লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা। এতে গুলিবিদ্ধ হন ৫০ জনেরও বেশি ছাত্র-জনতা; আহত হন প্রায় ২৫০ জন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন আল জামিয়া পটিয়া কওমী মাদ্রাসার ছাত্র। পরে ছাত্র-জনতা ধাওয়া দিলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় সন্ত্রাসীরা। 

গুলিবর্ষণকারী সন্ত্রাসীরা পটিয়ার সাবেক দুই এমপি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী-সামশুল হক চৌধুরী-অপসারিত মেয়র আইয়ুব বাবুলের অনুসারী। তাদের বিরুদ্ধে জমি দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজীসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

গত ০৪ আগস্টের গুলিবর্ষণের ঘটনায় পটিয়া থানায় হওয়া পৃথক দুটি মামলায় ২২৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৮৭৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী। ১৯ আগস্ট আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া মাদ্রাসার ছাত্র নুরুল হাসান বাদী হয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ২৭ আগস্ট রাতে অপর আরেকটি মামলা করেন শিবির কর্মী এনামুর রশিদ। এ ছাড়া বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী দলীয় অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় ২০ আগস্ট ৭৫ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা করেন পটিয়া থানায়। 

অস্ত্রধারী কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার না করা নিয়ে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী নুরুল হাসান। তিনি বলেন, 'প্রকাশ্যে সাবেক এমপি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী-সামশুল হক চৌধুরী-অপসারিত মেয়র আইয়ুব বাবুলের অনুসারীরা ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিল লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজে অস্ত্রধারীদের দেখা গেছে, সেটি আমরা পুলিশকে দিয়েছি। কিন্তু পুলিশ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করছে না। উদ্ধার হয়নি অবৈধ অস্ত্রও। অথচ এখন আওয়ামীলীগের এসব অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন পেশায়-বিভিন্ন দলের ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রকাশ্যে পটিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেকে সমন্বয়কের বেশে মিশে গেছে ছাত্রজনতার মধ্যে।’ 

পটিয়ার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সংগঠক কাসেম আল নাহিয়ান বলেন, ‘অস্ত্রধারী আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় আমরা আতঙ্কিত। দ্রুত অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ 

এ বিষয়ে পটিয়া থানা পুলিশ বলছে, ‘গ্রেপ্তার এড়াতে পটিয়ার সাবেক এমপি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাই গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না।’ 
পটিয়া থানার নবাগত ওসি আবু জায়েদ মুহাম্মদ নাজমুন নুর বলেন, ‘হেলমেট পরিহিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ওই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত এবং পরিকল্পনাকারী, সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।’
পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম বলেন, 'আমরা ০৪ আগস্টের ঘটনার দিন অস্ত্র ব্যবহারের একটি ভিডিও ফুটেজ পেয়েছি। সেটি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। ইতোমধ্যে তিনটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা তা খতিয়ে দেখছি। সেই অস্ত্রগুলো বৈধ না অবৈধ, সেগুলো যাচাই করে দেখা হচ্ছে।'
পটিয়া সরকারী কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রিয়াজ আহমেদ-অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক উত্তম কুমার দাস; পটিয়া কলেজ; Patiya College; Govt. College; Patiya
শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানী, পটিয়া কলেজের অধ্যাপক-অফিস সহকারীকে অব্যহতি

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানী, দাঁড়ি-পর্দা-হিজাব-ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ ও বিভিন্নভাবে অসৌজন্যতামূলক আচরণের অভিযোগের কারণে পটিয়া সরকারী কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রিয়াজ আহমেদ ও অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক উত্তম কুমার দাসের বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালীন কলেজের যাবতীয় কার্যক্রম থেকে অব্যহতি প্রদান করা হয়েছে। আজ কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াছ উদ্দিন আহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

পটিয়া এলডিপির ইফতার মাহফিল ও স্মরণসভা; এলডিপি; ইফতার মাহফিল; পটিয়া; LDP; Ifter Mahfil; Patiya; Chattogram-12; চট্টগ্রাম-১২
পটিয়া এলডিপির ইফতার মাহফিল ও স্মরণসভা

ভয়েস অব পটিয়া-সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)’র পটিয়া পৌরসভা ও উপজেলা শাখার উদ্যোগে আজ স্থানীয় এক কমিউনিটি সেন্টারে ইফতার মাহফিল ও প্রয়াত এলডিপি নেতৃবৃন্দের স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে সভাপতিত্ব করেন পটিয়া পৌরসভা এলডিপির আহ্বায়ক জনাব মোহাম্মদ সৈয়দ। পটিয়া পৌরসভা এলডিপির সদস্য সচিব জনাব মোহাম্মদ মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)’র চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া উপজেলা ও পৌরসভা) সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার আসিফ বিন হুদা। 

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন এলডিপি পটিয়ার সদস্য মোহাম্মদ দেলোয়ার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মনির, এলডিপি নেতা মোহাম্মদ ফারুক, মোহাম্মদ বাবুল, গণতান্ত্রিক ছাত্রদল নেতা ইরফান, তৌহিদ, শাহেদ, জিসান, বেলাল, শাকিল প্রমুখ।

এলডিপি পটিয়ার সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার আসিফ বিন হুদার বক্তব্য


সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপ-পটিয়া এলডিপির ৪ নেতাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা; LDP
সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপ-পটিয়া এলডিপির ৪ নেতাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

ভয়েস অব পটিয়া-প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় পটিয়া পৌরসভা এলডিপির আহ্বায়ক আবদুর রশীদ, উপজেলা এলডিপির সভাপতি মনছুর আলম, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী ও জেলা গণতান্ত্রিক যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল কুদ্দুছকে পটিয়া পৌরসভা এলডিপি ও এর অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। 

আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পটিয়া পৌরসভা এলডিপির নেতা-কর্মীরা জানান, ‘এলডিপির প্রেসিডেন্ট ড. কর্ণেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বে সারাদেশে যখন গণতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত আছে, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দলছুট উল্লেখিত এলডিপির নামধারী নেতাগণ সংগঠনের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের একপেশে ভোট ডাকাতির সাথে জড়িত হয়ে বিএনএম এর প্রার্থী এম.এয়াকুব আলীর নোঙ্গর মার্কায় প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় জড়িত থাকায় আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হইলাম।’ 
বিবৃতিদানকারীগণ হলেন, পটিয়া পৌরসভা এলডিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ছৈয়দ, সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান, পটিয়া পৌরসভা গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের সভাপতি আমিনুল হক আমীর, পটিয়া পৌরসভা গণতান্ত্রিক শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বেলাল, পটিয়া পৌরসভা এলডিপির সদস্য সচিব মুঃ সাদ্দাম হোসেন, সদস্য মু: ফারুক, অনিল চক্রবর্তী, মু: দেলোয়ার, মু: আলি, মু: আব্দুর রহিম প্রমুখগণ।
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন, থামবে না পটিয়া!; ঢাকা; কক্সবাজার; রেল; কক্সবাজার রেল; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Coxsbazar rail, Patiya; Chittagong; Chattogram
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন, থামবে না পটিয়া!

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ তৎকালীন আরাকানের রাজধানী পটিয়া, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সূতিকাগার পটিয়া, বঙ্গবন্ধু ঘোষিত জেলা সাবেক মহকুমা পটিয়া, হালের দক্ষিণ চট্টগ্রামের রাজধানী পটিয়া - যুগ যুগ ধরে বঞ্চনার শিকার ব্রিটিশ আমলে রেল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত জংশন পটিয়া, একবিংশ শতাব্দির উন্নয়নের মহীসোপানে এসে বারবার মুর্ছা যাওয়া পটিয়া এবারও অবহেলার শিকার।

পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে সারাদেশের সাথে রেল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে সম্প্রতি চট্টগ্রাম-দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধন। 

আগামী ০১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এর বাণিজ্যিক যাত্রা। শুরুতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে একটি করে দুটি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রায় সবকয়টি রেল স্টেশনে স্টপেজ থাকলেও এবারও বঞ্চনার শিকার পটিয়া। 

ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেলপথের ভাড়া তালিকা ও সময়সূচি চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। 
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল) মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, কক্সবাজারের রেলপথের ভাড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে। 

ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন, থামবে না পটিয়া!; Dhaka Coxsbazar rail fare
ঢাকা-কক্সবাজার রেল রুটে চূড়ান্ত ভাড়ার তালিকা

তবে রেলের একটি সূত্র থেকে প্রাপ্ত চূড়ান্ত ভাড়ার তালিকা অনুযায়ী, ঢাকা থেকে শোভন চেয়ারের টিকিট ৫০০ টাকা, এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) ৯৬১ টাকা, প্রথম শ্রেণীর চেয়ার ৭৭১ টাকা, প্রথম শ্রেণীর বার্থ/সিট ১১৫০ টাকা এবং এসি বার্থের টিকিট ১ হাজার ৭২৫ টাকা। 
আর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনে শোভন চেয়ারের টিকিট ২০৫ টাকা, প্রথম শ্রেণীর চেয়ার/সিট ৩১১ টাকা, প্রথম শ্রেণীর বার্থ ও এসি সিট ৪৬৬ টাকা, এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) ৩৮৬ টাকা এবং এসি বার্থ টিকিট ৬৯৬ টাকা। 

তবে ওই ভাড়ার চার্টে কম গুরুত্বপূর্ণ বেশকয়েকটি স্টেশনের নাম স্টপেজ হিসেবে উল্লেখ করলেও দক্ষিণ চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ পটিয়া রেল স্টেশন জংশনে কোন স্টপেজ রাখা হয় নি। এমনকি মেইল এক্সপ্রেস/কমিউটার ট্রেনের স্টপেজ থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। 
পটিয়াবাসীকে বারবার এভাবে বঞ্চনার বিষয়টি ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলেছে। অবিলম্বে ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেনের পটিয়ায় স্টপেজ প্রদানের দাবি উঠেছে।
একবছর ধরে রেলসেবা বঞ্চিত চট্টগ্রাম-পটিয়া-দোহাজারীর ১০ হাজার যাত্রী; রেল; চট্টগ্রাম-দোহাজারী; চট্টগ্রাম-পটিয়া; দোহাজারী; পটিয়া; চট্টগ্রাম; ট্রেন; রেল; Rail; Train; Chittagong; Chattogram; Patiya; Dohazari; Coxsbazar
একবছর ধরে রেলসেবা বঞ্চিত চট্টগ্রাম-পটিয়া-দোহাজারীর ১০ হাজার যাত্রী

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ চট্টগ্রাম-পটিয়া-দোহাজারী রুটের লোকাল ট্রেন। ২০১৮ এর শেষের দিকে ঘটা করে চালু হওয়া দু্ই জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল এই রুটে বন্ধ থাকায় দূর্ভোগে পড়েছেন অত্র অঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার রেলযাত্রী। 

প্রায় বছরখানেক আগেও ভোরের ট্রেন ধরে চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াতের সহজ ও নিরাপদ মাধ্যম ছিল এ দুজোড়া লোকাল ট্রেন। বর্তমানে কেবলমাত্র একটি ডেমু ট্রেন চালু রয়েছে এই রুটে যা চলছে মাত্র কয়েকটি বগি নিয়ে তাও অনিয়মিত, যাতে যাত্রীধারণ ক্ষমতা পূর্বের লোকাল ট্রেনের ১ শতাংশেরও কম। 

চট্টগ্রাম-পটিয়া-দোহাজারী রেল রুটে রয়েছে ১৪টি স্টেশন। স্টেশনগুলো হচ্ছেঃ- দোহাজারী, হাশিমপুর, খানহাট, কাঞ্চননগর, খরনা, চক্রশালা, পটিয়া, ধলঘাট, বেঙ্গুরা, গোমদন্ডী, জানালীহাট, ষোলশহর, ঝাউতলা, চট্টগ্রাম। এ স্টেশনগুলো থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজারের অধিক রেলযাত্রী যাতায়াত করতেন। কিন্তু বর্তমানে লোকাল ট্রেনজোড়া চলাচল বন্ধ থাকায় রেলসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বৃহত্তর এ অঞ্চলের মানুষজন। 

রেলযাত্রীরা বলেন, ‘ভোরের ট্রেন ধরে সকাল সকাল চট্টগ্রাম শহরে যেতাম। নিরাপদ ও সহনশীল ভাড়া হওয়ার কারণে রেলে যাত্রীসংখ্যা ছিল প্রচুর। শুধু দোহাজারী স্টেশন থেকেই প্রতিদিন গড়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী যাতায়াত করলে লোকাল ট্রেনে। এ ট্রেনগুলো বন্ধ থাকায় এখন ভোগান্তিতে পড়েছি।’ 

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ‘করোনাকালীন বন্ধ হয়ে যায় এই রুটের দুজোড়া লোকাল ট্রেন। এরপর এটি এখন অবধি চালু করা হয় নি। টিটি, গার্ডসহ লোকবল সংকটের কারণে চালু করা যাচ্ছে না বলে জানায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। লোকবল পেলেই চালু হবে বন্ধ হয়ে যাওয়া লোকাল ট্রেন দুটি।’
এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; সংবাদ; সারাদেশ; ঢাকা; বাজেট; বাজেট ২০২২; বাজেট ২০২৩; বাজেট ২০২২-২৩; বাংলাদেশ; সংসদ
এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ  ‘এক ফিনিক্স পাখির গল্পগাথা’ শিরোনামের অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) বিকেলে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল। 

এবারের এ প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। বাজেটের এই অর্থ জোগান দিতে রাজস্ব, অভ্যন্তরীণ ঋণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণের শরণাপন্ন হবে সরকার। এবার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। তারপরও আয় ও ব্যয়ের হিসাবে বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি থাকবে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় ঘাটতির এই পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৫.৫ শতাংশ। মোট বাজেটের শতাংশে ১৫.৭ ভাগ যা পূরণে নির্ভর করতে হবে ব্যাংক ঋণ থেকে। সেজন্য বিদেশ থেকে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৮ এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকার মত ঋণ করার পরিকল্পনা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
এছাড়া সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আরও ৫ হাজার কোটি টাকা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে সম্ভাব্য বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার পরিমাণ ধরা হয়েছে সোয়া ৩ হাজার কোটি টাকা। 

এবার দেশি-বিদেশি ঋণের জন্য ৮০ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা খরচ হবে বলে অর্থমন্ত্রী হিসাব ধরেছেন, যা মোট অনুন্নয়ন ব্যয়ের প্রায় ২০ শতাংশ।


এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; সংবাদ; সারাদেশ; ঢাকা; বাজেট; বাজেট ২০২২; বাজেট ২০২৩; বাজেট ২০২২-২৩; বাংলাদেশ; সংসদ
প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল

যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে
  • মোবাইল সেট: মোবাইল টেলিফোন সেটের ব্যবসায়ী পর্যায়ে বিদ্যমান ৫ শতাংশ মূসক অব্যাহতি প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। 
  • কোভিড সামগ্রী: কোভিড-১৯ এর টেস্ট কিট, প্রটেকটিভ গার্মেন্টস, ফেইস শিল্ড, মেডিকেল প্রটেকটিভ গিয়ার, প্রটেকটিভ চশমা এবং মাস্ক এর উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
  • জিআই ফিটিংস: জিআই ফিটিংস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বর্তমানে দেশে গড়ে উঠেছে। তাই দেশি শিল্পের প্রতিরক্ষণ নিশ্চিত করার জন্য আমদানি করা জিআই ফিটিংসের বিপরীতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
  • বিদেশি চিজ: বাটারের মতো চিজ আমদানিতেও ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। 
  • তার: বিভিন্ন ধরনের তার প্রায় সমজাতীয় হওয়ায় শুল্কায়নকালে এদের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা দূরুহ। তাই সমতা বিধানের স্বার্থে এরূপ দুটি পণ্য আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ হতে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
  • মোটরসাইকেল: ২৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল আমদানিতে ফোর স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ ও টু স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ২৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপিত রয়েছে। তাই ২৫০ সিসির ঊর্ধ্বের ইঞ্জিন ক্ষমতা সম্পন্ন মোটরসাইকেল আমদানিতে ফোর স্ট্রোকের ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ১০০ শতাংশ ও টু স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ২৫০ শতাংশ আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
  • বিদেশি ইলেকট্রিক মোটর: স্থানীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণে ৭৫০ ওয়াট পর্যন্ত ইলেকট্রিক মোটরের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
  • বিদেশি গ্যাস লাইটার: দেশীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণের জন্যে গ্যাস লাইটার আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একইভাবে পার্টস অব লাইটার আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ হতে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
  • বিদেশি সোলার প্যানেল: দেশি সৌর বিদ্যুৎ খাতের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি করা সোলার প্যানেলের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ০ শতাংশ হতে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। 
  • মোবাইল ফোনের বিদেশি চার্জার: দেশীয় উৎপাদিত সেলুলার ফোন উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে আরও বিকশিত করার লক্ষ্যে মোবাইল ফোন ব্যাটারি চার্জারের আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
  • কনক্রিট রেডি মিক্স: কনক্রিট রেডি মিক্সের উৎপাদন পর্যায়ে বিদ্যমান মূসক অব্যাহতি প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
  • বিদেশি প্রিন্টিং কালি: স্থানীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণের জন্য প্রিন্টিং কালি পণ্যের রেয়াতি শুল্কহার ১০ শতাংশ এর পরিবর্তে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
  • বিদেশি কম্পিউটার, প্রিন্টার ও টোনার কার্ট্রিজ: কম্পিউটার, প্রিন্টার ও টোনার কার্ট্রিজ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
  • ল্যাপটপ: ল্যাপটপ কম্পিউটার আমদানিতে ১৫ শতাংশ মূসক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে পণ্যটি আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মোট করভার হবে ৩১ শতাংশ।
  • বিলাসবহুল বিদেশি পাখি: বর্তমানে বিলাসবহুল পাখির ওপর ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে। এই হার বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

যেসব পণ্যের দাম কমছে
  • মুড়ি ও চিনি: মুড়ি ও চিনির উপর ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। 
  • গমের আটা: গমের আটার উপর আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। 
  • দেশী মোবাইল ফোন ব্যাটারী, চার্জার ও ইন্টার‌্যাক্টিভ ডিসপ্লে: তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে মোবাইল ফোনের ব্যাটারী, চার্জার ও ইন্টারেকটিভ ডিসপ্লে এর স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। 
  • পাওয়ার টিলার: পাওয়ার টিলার উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। 
  • ব্রেইল: দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষদের পড়ার উপকরণ ব্রেইল মুদ্রণের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
  • কানে শোনার যন্ত্রের ব্যাটারী: শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য কানে শোনার যন্ত্রে ব্যবহৃত ব্যাটারী এর ওপর প্রযোজ্য শুল্ক কর হ্রাস করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। 
  • বিশেষায়িত হুইল চেয়ার: শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য বিশেষায়িত হুইল চেয়ার আমদানিতে বিদ্যমান সকল ধরনের শুল্ককর বিলোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। 
  • কাজুবাদাম: দেশে কাজুবাদাম প্রক্রিয়াজাত শিল্প বিকাশ ও নতুন রপ্তানি খাত সৃষ্টির লক্ষ্যে কাঁচা কাজুবাদাম আমদানিতে শুল্কহার হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে। 
  • রড: এম এস প্রোডাক্টের ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাট প্রতি মে. টন ৫০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করছি। 
  • পলিথিন ব্যাগ: পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিক ব্যাগ (ওভেন প্লাস্টিক ব্যাগসহ) ও মোড়ক সামগ্রীর ওপর বিদ্যমান ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এতে পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যাগের দাম কমতে পারে।

রাত পোহালেই পটিয়ার ১৭ ইউনিয়নের নির্বাচন; ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন; নির্বাচন কমিশন; ইভিএম; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; Union; Election; Up Election; Election Commission; Local Government
রাত পোহালেই পটিয়ার ১৭ ইউনিয়নের নির্বাচন

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ রাত পোহালেই পটিয়া উপজেলার ইউনিয়নগুলোর নির্বাচন। 
২৬ ডিসেম্বর ৪র্থ ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পটিয়ার ১৭ ইউনিয়নের - শোভনদন্ডী, বড়লিয়া ও দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিনাভোটে চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন। এসব ইউনিয়নের সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদ সহ বাকি ১২টি ইউনিয়নে ব্যালট পেপারে এবং ২টি ইউনিয়ন- হাবিলাসদ্বীপ, কুসুমপুরা ইউনিয়নে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

পটিয়ার ইউনিয়নগুলো হচ্ছে, কোলাগাঁও, কাশিয়াইশ, আশিয়া, কুসুমপুরা, জিরি, জঙ্গলখাইন, বড়লিয়া, ধলঘাট, হাবিলাসদ্বীপ, হাইদগাঁও, কেলিশহর, কচুয়াই, খরনা, শোভনদন্ডী, ভাটিখাইন, ছনহরা এবং দক্ষিণ ভূর্ষি। 

ইউনিয়নগুলো ১৬০ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১০০ টি কেন্দ্র বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন ও পটিয়া উপজেলা প্রশাসন। যার মধ্যে কুসুমপুরা, কোলাগাঁও, হাবিলাসদ্বীপ, জঙ্গলখাইন, ছনহরা, কচুয়াই, হাইদগাঁও, ধলঘাট, খরনা, জিরি, কাশিয়াইশ ও আশিয়া ইউনিয়নের ৫০টি ভোটকেন্দ্রকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরাফাত আল হোসাইনী নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘পটিয়ার ১৭টি ইউনিয়নে নির্বাচনের জন্য আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। নির্বাচন গ্রহণে যতটুক প্রস্তুতি দরকার তা আমরা সম্পন্ন করতে পেরেছি। নির্বাচনী সামগ্রীসহ ব্যালট পেপার পৌঁছে গেছে। এলাকাগুলোতে ব্যালট পেপার বন্টন শুরু হয়েছে।’ 

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সংঘাত-খুনের মত ঘটনা ঘটেছে। পটিয়া উপজেলার ইউনিয়নগুলোর নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহণে একটি ভোট উৎসব প্রত্যাশা করা হলেও এটি উৎসবের হবে, নাকি শঙ্কার?? তা নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরুর পর ইউনিয়নগুলোর বিভিন্ন স্থানে পাল্টাপাল্টি এক পক্ষের আরেক পক্ষের উপর হামলা-ভাঙচুরে ভোটের দিন অবাধ, সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্টের আশঙ্কা করা হচ্ছে। নির্বাচনের অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলো সমর্থিত প্রার্থী, বিদ্রোহী প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এ ধরনের সহিংসতার জন্য একে অন্যকে দোষারোপ করেছে। তাছাড়াও আধিপত্য বিস্তার, বহিরাগত প্রবেশ ইত্যাদি নানা কারণে সংঘর্ষ-সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। 
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনকে ঘিরে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত অন্যান্য সংস্থাকে মোতায়েন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের সরঞ্জাম পৌঁছানো হচ্ছে। তবে ব্যালট পেপার যাবে ভোটগ্রহণের দিন ভোরে। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের জন্য সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।’