Search Result For "ফিলিস্তিন"
ফিলিস্তিন ক্যোয়ারীর জন্য তারিখ অনুসারে বাছাই করা পোস্ট দেখানো হচ্ছে৷ প্রসঙ্গ অনুসারে বাছাই করুন সব পোস্ট দেখান
ফিলিস্তিনিদের উপর নিষিদ্ধ ফসফরাস বোমাবর্ষণ করছে দখলদার ইসরাইল; ফিলিস্তিন; গাজা; পশ্চিম তীর; লেবানন; Palestine; Gaza; West Bank; Lebanon; Israel
ফিলিস্তিনিদের উপর নিষিদ্ধ ফসফরাস বোমাবর্ষণ দখলদার ইসরাইলের

ভয়েস অব পটিয়া-ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি গণহত্যায় আন্তর্জাতিকভাবে ‘নিষিদ্ধ’ সাদা ফসফরাস বোমার ব্যবহার করছে ইহুদি সন্ত্রাসবাদী অবৈধ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী।

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানায়, দখলদার সন্ত্রাসবাদী ইসরাইলি বাহিনী সোমবার দিবাগত রাত থেকে গাজার আল-কারামা এলাকায় সাদা ফসফরাস বোমা ফেলেছে। 

বার্তাসংস্থা আল-জাজিরা জানায়, হামলায় এ পর্যন্ত ১,৫৮০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭,৩১২ জন আহত হয়েছেন।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, তারা ইসরাইলি বাহিনী কর্তৃক গাজা উপত্যকা এবং লেবাননে আন্তর্জাতিকভাবে ‘নিষিদ্ধ’ সাদা ফসফরাস বোমা ফেলার প্রমাণ পেয়েছে। 

অত্যন্ত দাহ্য এই রাসায়নিক পদার্থ কখনো কখনো সামরিক বাহিনী এলাকা চিহ্নিত করতে ব্যবহার করে। তবে এই বোমা মানুষকে মারাত্মকভাবে পুড়িয়ে ফেলতে পারে। জনবহুল জায়গায় এই বোমা ফেলা মারাত্মক। মানুষ, ঘরবাড়ি, মাঠ, বেসামরিক ভবনসহ আশপাশে যা-ই থাকুক তা পুড়িয়ে ফেলবে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের আহমেদ বেনচেমসি আল জাজিরাকে বলেন, যখন এই বোমা একটি বিস্তৃত অঞ্চল লক্ষ্য করে ফেলা হয়, তখন স্থল বিস্ফোরণের চেয়ে বেশি বেসামরিক মানুষ এবং অবকাঠামোর ক্ষতি করে। 
ফসফরাস বোমা মূলত অক্সিজেনের সংস্পর্শে এলে বায়ুমণ্ডলে জ্বলে ওঠে এবং ৮১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১৫০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পর্যন্ত তীব্র তাপের সৃষ্টি করে। এটি মানুষের মাংস হাড় পর্যন্ত পুড়িয়ে ফেলতে পারে।
তুরস্ক-সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭৭৭৪; তুরস্ক; সিরিয়া; ভূমিকম্প; গাজিয়ানটেপ; Turkey; Syria; Gaziantep; Earthquake; EU
তুরস্ক-সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭০০০

• আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারী
তুরস্ক-সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭৭৭৪

• আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারী
তুরস্ক-সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪০০০

ভয়েস অব পটিয়া-ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গাজিয়ানটেপের কাছে উৎপত্তি হওয়া রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৩৭০০০ ছাড়িয়ে গেছে; এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ০৬ ফেব্রুয়ারী সৃষ্ট ভূমিকম্পটিতে প্রতিবেশী সিরিয়া, লেবানন, ফিলিস্তিন এবং সাইপ্রাসও কেঁপে ওঠে। এতে তুরস্কে অন্তত ৯১২ জন, সিরিয়ায় অন্তত ৪৬৭ জন নিহত ও প্রায় সাড়ে ৫ হাজার জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে জানা গেছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা আল-জাজিরা জানায়, ভূমিকম্পে তুরস্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯১২ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে অন্তত ৫৩৮৩ জন আহত হয়েছেন, হতাহতের সংখ্যা আর কতটা বাড়বে তা অনুমান করা যাচ্ছে না। 

সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা সানা’র তথ্য অনুযায়ী, দেশটির সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২৬ জনে দাঁড়িয়েছে এবং ১০৪২ জন আহতকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার ভোরে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গাজিয়ানতেপের কাছে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূমিকম্প হয়। প্রবল শীতের মধ্যে ভোররাতে হওয়া এ ভূমিকম্পে প্রতিবেশী সিরিয়া, লেবানন, ফিলিস্তিন এবং সাইপ্রাসও কেঁপে ওঠে। অঞ্চলটির অধিকাংশ মানুষই তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। 


যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে শুরু হওয়া ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল গাজিয়ানটেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার (১১ মাইল) গভীরে।
ফিলিস্তিনের আল-আকসায় ফের ইসরায়েলি সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৩১; ফিলিস্তিন; আল আকসা; বায়তুল মাকদিস; বায়তুল মোকাদ্দেস; জেরুজালেম; জেরুসালেম; পশ্চিম তীর; গাজা; ইহুদি; ইহুদি সন্ত্রাস; ইসরায়েলি সন্ত্রাস; Palestine; Al Aqsa; Baitul Makdis; Jerusalem; Jewish; Zionist; Jewish Terrorism; Israeli Terrorism
ফিলিস্তিনের আল-আকসায় ফের ইসরায়েলি সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৩১

ভয়েস অব পটিয়া-ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ পবিত্র রমজান মাসে ফিলিস্তিনের পূর্ব জেরুজালেমের মসজিদুল আল-আকসায় আবারও হামলা চালিয়েছে অবৈধ দখলদার ইসরায়েলি সন্ত্রাসী বাহিনী। 
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) মসজিদটিতে জুমার নামাযরত অবস্থায় মুসলিমদের উপর বর্বর এ হামলা চালায় ইহুদি সন্ত্রাসবাদী ইসরায়েলি পুলিশ। এ সময় তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে তিন সাংবাদিকসহ অন্তত ৩১ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার বরাতে জানা যায়, শুক্রবার সকালে সম্পূর্ণ সন্ত্রাসী কায়দায় আটঘাট বেঁধে রাবার বুলেট ছুড়ে হামলা করতে করতে আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ করে দখলদার ইসরায়েলি পুলিশ। এ সময় ফিলিস্তিনিরা আত্মরক্ষার্থে পাথর ছুড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করলে অতর্কিতভাবে গুলি, টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে হামলা করে ইসরায়েলিরা। সংঘর্ষ চলাকালে মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি গাছে আগুন জ্বালিয়ে দেয় সন্ত্রাসবাদী ইসরায়েলি বাহিনী। 

ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, দখলদার ইসরায়েলি সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ৩১ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে নতুন করে অবৈধ দখলের উদ্দেশ্যে দখলদার ইসরায়েলিদের চালানো সামরিক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে চলমান উত্তেজনার মধ্যে মুসলিমদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদ সম্প্রতি সহিংসতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। গত ১৮ এপ্রিল জেনিন শহরের কাছে আল-ইয়ামুন এলাকায় দখলদার ইসরায়েলি সন্ত্রাসবাদী বাহিনীর গুলিতে গুরুতর আহত হয় ইব্রামিক লেবেদি নামের ২০ বছরের এক ফিলিস্তিনি কিশোর। চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শুক্রবার মৃত্যুবরণ করে ফিলিস্তিনি এ কিশোর। 

উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভূমি অবৈধভাবে দখলের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করা হয় ইহুদি সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৬৭ সালে আরবদের সঙ্গে যুদ্ধে আল-আকসা মসজিদ দখল করে নেয় তারা। যুদ্ধের পর আল-আকসা মসজিদ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিল অবৈধভাবে দখলদার ইসরায়েলিরা। এমনকি ১৯৬৯ সালে মুসলিমদের প্রথম কিবলা পবিত্র এ মসজিটিতে অগ্নিসংযোগও করেছিল তারা। এরপর নানা বিধিনিষেধ আর শর্তপূরণের মাধমে সেখানে ইবাদতের সুযোগ পেতেন সাধারণ মুসল্লিরা। এরপরও একাধিকবার বিভিন্ন অজুহাতে দখলদার সন্ত্রাসবাদী ইসরায়েল আল-আকসা মসজিদটি ফিলিস্তিনিদের জন্য বন্ধ করে দেয়। ২০০৩ সালে ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিদের আল-আকসায় প্রবেশের অনুমতি দেয় দখলদার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে আবারও দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। 

মসজিদুল আল-আকসা বা বায়তুল মাকদিস মুসলিমদের প্রথম কেবলা। অসংখ্য নবী-রাসূলের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক স্থান ও মর্যাদাপূর্ণ ইবাদতের জায়গা এটি। আল্লাহর রাসূল প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐতিহাসিক মেরাজের রাতে মসজিদুল হারাম তথা পবিত্র কাবা শরীফ থেকে মসজিদুল আল-আকসা তথা বায়তুল মাকদিসে প্রথম সফর করেন। সেখান থেকে বোরাকে চড়ে উর্ধ্বাকাশে গমন করে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করেন, যা মেরাজ নামে পরিচিত।

এদিকে ইহুদিরা মসজিদুল আল-আকসাকে তাদের টেম্পল মাউন্ট হিসেবে দাবি করে বলে, ‘এর নিচেই রয়েছে দুটি প্রাচীন ইহুদি মন্দির। অন্যদিকে খ্রিস্টানরাও স্থাপনাটিকে তাদের পবিত্র স্থান বলে দাবি করে আসছে।’ এই নিয়ে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের উপর ইহুদি সন্ত্রাসবাদী অবৈধ দখলদার ইসরায়েলিরা যুগ যুগ ধরে হত্যা-দমন-পীড়ন বর্বরতা চালিয়ে আসছে।