vop-ad1

ভয়েস অব পটিয়াঃ বিদ্যুৎ নেই পটিয়া উপজেলার ২০ গ্রামে। পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতির কারণে চরম ভোগান্তির কবলে গ্রাহকরা

পটিয়ায় ঘনঘন লোডশেডিং এ সাধারণ মানুষের সীমাহীন ভোগান্তি; লোডশেডিং; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় ঘনঘন লোডশেডিং এ সাধারণ মানুষের সীমাহীন ভোগান্তি

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক: বিদ্যুৎ নেই পটিয়া উপজেলার ২০ গ্রামে। বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ (পিডিবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতির কারণে পবিত্র রমজান মাসেও হাজার হাজার গ্রাহক চরম ভোগান্তির কবলে পড়েছেন। এমনকি গ্রামগঞ্জে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৫ ঘন্টা বিদ্যুৎও থাকছে না। ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণে মুসল্লিসহ সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। চলতি বর্ষা মওসুমে বৈরি আবহাওয়া ও বিদ্যুৎ অফিসের বিভিন্ন ত্রুটির কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নেই বিদ্যুৎ। 

মুসল্লিদের অভিযোগ, নামাজের পূর্বে ও ইফতারির সময় প্রতিদিন বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার হাইদগাঁও, হাবিলাসদ্বীপ, বুধপুরা, শান্তিরহাট, কুসুমপুরা, শোভনদন্ডী, ছনহরা, কচুয়াই, বড়উঠান, চরপাথরঘাটা, ধলঘাট, কেলিশহর, কোলাগাঁও ইউনিয়নের ২০ গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। অথচ স্থানীয় সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সদর দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে রমজানে যাতে লোডশেডিং না হয় সে ব্যবস্থা নিতে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি। 

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বৃষ্টির কারণে পটিয়া সদর ছাড়াও উপজেলার ২০ গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকলেও কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই। তবে যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে তা ঠিক করতে বৃহস্পতিবার সকালে লাইনম্যানরা বের হয়েছে। 
হাবিলাসদ্বীপ গ্রামের রফিক আহমদ জানান, গত ২ দিন ধরে তাদের গ্রামে বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সদর দপ্তরে অভিযোগ দেওয়ার পরও লাইনের ত্রুটি ঠিক করে পুনরায় চালু করা হয়নি। ফলে অন্ধকারের মধ্যে সেহেরি, ইফতার ও তারাবির নামাজ পড়তে হচ্ছে। 

এদিকে, পটিয়া সদরের ঈদ মার্কেটগুলোতে ঘনঘন লোডশেডিং এর কারণে ক্রেতা ও বিক্রেতারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। গত সোমবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ না থাকায় পৌর সদরের শাহ আমির মার্কেটের ‘বড়বাজার’ নামের একটি কাপড়ের দোকানে এসির গ্যাস বের হয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাসহ ১০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। 

উপজেলার চক্রশালা গ্রামের অনুপম চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে পিডিবি মনগড়াভাবে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার কারণে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই ব্যাপারে পিডিবির কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও তারা কোন ব্যবস্থা নেননি বলে জানান তিনি। 

এ প্রসঙ্গে পটিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সদর দপ্তরের ডিজিএম (টেকনিশিয়ান) মোঃ গোলাম কাওছার বলেন, বৈরি আবহওয়া ও অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আংশিক কিছু এলাকায় যে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ রয়েছে তা ঠিক করে পুনরায় চালু করা হবে। ইতোমধ্যে লাইনম্যানরা কাজ শুরু করেছেন বলে তিনি জানান।
Share To:

Voice of Patiya

জানাতে পারেন আপনার মন্তব্য :

0 comments so far,add yours

~ মন্তব্য নীতিমালা ~

😀 আমাদের প্ল্যাটফর্মে মন্তব্য, আলোচনা, সমালোচনা বজায় রাখার জন্য আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করেছি। আমরা আশা করি যে, কোন মন্তব্য পোস্ট করার সময় আপনারা তার অনুসরণ করবেন।

• ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃপক্ষ ভিজিটর কর্তৃক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে এমন মন্তব্যগুলো মুছে ফেলার অধিকার সংরক্ষণ করে।

• জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ, চেহারা বা অক্ষমতার ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি, কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি আপত্তিকর বা আক্রমণ করে এমন ভাষায় মন্তব্য করা যাবে না।

• আলোচনার বিষয়ের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না। কিছু বিষয় ব্যতিক্রমী হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে, তবে আলোচনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে এমন কোনো বিষয় ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃক অনুমোদন করা হবে না।

• কোনো পক্ষকে আইনি ঝামেলায় ফেলতে পারে এমন মন্তব্য করা যাবে না।

• বাণিজ্যিক প্রকৃতির কিংবা বিজ্ঞাপনীয় উপাদান/লিঙ্ক রয়েছে এমন মন্তব্য করা যাবে না।

• যেসব মন্তব্য স্প্যামিং বলে মনে হচ্ছে এবং একাধিক পোস্ট জুড়ে অভিন্ন মন্তব্য করলে সেগুলো মুছে ফেলা হবে।

• ঘৃণাত্মক, সহিংসতার প্ররোচনা দেয় অথবা ধর্মকে আক্রমণ করে এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না।