ভয়েস অব পটিয়াঃ চট্টগ্রামের অন্যতম ব্যবসায়িক কেন্দ্র পটিয়ার কমলমুন্সির হাট আজ লালো বাহিনীর হাতে জিম্মি
লালো বাহিনীর তান্ডবে অতিষ্ঠ পটিয়ার কমলমুন্সির হাটের ব্যবসায়ীরা |
ভয়েস অব পটিয়া-কচুয়াই প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের অন্যতম ব্যবসায়িক কেন্দ্র পটিয়ার কমলমুন্সির হাট আজ লালো বাহিনীর হাতে জিম্মি। কমলমুন্সির হাটের ঐতিহ্য আজ হারানোর পথে।
জানা যায়, চট্টগ্রাম তথা পটিয়ার এই ব্যবসায়ীক হাটে রাজধানী ঢাকা থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩-৪ হাজার ব্যবসায়ী ব্যবসায়িক কার্যাবলী সম্পাদনের উদ্দেশ্যে আসেন, যাদের মধ্যে দৈনন্দিন প্রায় ৮-১০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়। এই ব্যবসায়িক কেন্দ্রের অন্যতম পণ্য হচ্ছে লেবু, কাঁঠাল, পেয়ারা, আনারস, কাকরোল, জিঙ্গা, ঢেড়শ এবং বিভিন্ন প্রকার সবজি। প্রতিদিন দূর-দুরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা পাইকারি দামে পণ্য ক্রয় করে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিয়ে যান এবং ভোক্তাদের চাহিদা মেটান।
সব কিছু ঠিকঠাক ভাবে চললেও বর্তমানে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় রফিকুল ইসলাম বাহিনী ওরফে লালো বাহিনী নামের একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, প্রতি সপ্তাহের রবি ও বৃহস্পতিবার ২ দিন কমলমুন্সির হাট বসে। হাট কর্তৃপক্ষ তাদের চাহিদা মোতাবেক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টোল(হাসিল) নিয়ে থাকে। এই হাটে কোন ব্যবসায়িক সমিতি না থাকার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে ‘লালো বাহিনী’। এই বাহিনী প্রতিদিন বাণিজ্য করতে আসা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০ টাকা এবং ওজন পরিমাপক মেশিনের ভাড়া হিসেবে ২০ টাকাসহ মোট ৩০ টাকা করে চাঁদা নিচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী-লোকজন এর প্রতিবাদ করলে তাদেরকে লালো বাহিনীর সন্ত্রাসীরা মারধর করে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করেছে লালো বাহিনী। লালো বাহিনীর অন্যতম ক্যাডার রফিকুল ইসলাম ওরফে লালু, জামাল উদ্দিন ওরফে কালু ও রফিকুল ইসলাম ওরফে বুল্লে। বর্তমানে এই হাটে লালো বাহিনী এক আতঙ্কের নাম।
এই বিষয়ে আলাপকালে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ভয়েস অব পটিয়াকে বলেন, ‘এই বাহিনীর হাতে সম্পূর্ণ বাজার জিম্মি; তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আস্তে আস্তে ব্যবসায়ীদের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ব্যবসায়ী জানান, লালো বাহিনী বিভিন্ন চোরাকারবারির সাথে সম্পৃক্ত; প্রতি রাত্রে বাজারে তারা মদ খেয়ে মাতলামী করে, কেউ তাদের হামলার ভয়ে কিছু বলতে পারেন না।’
এ বিষয়ে আরো জানতে লালো বাহিনীর প্রধান রফিকুল ইসলাম ওরফে সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয় ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা তার হাত থেকে এই ঐতিহ্যবাহী ব্যবসায়ীক কেন্দ্রকে উদ্ধার করে ব্যবসায়ীদেরকে অবাধে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ প্রদানের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জানাতে পারেন আপনার মন্তব্য :
0 comments so far,add yours
~ মন্তব্য নীতিমালা ~
😀 আমাদের প্ল্যাটফর্মে মন্তব্য, আলোচনা, সমালোচনা বজায় রাখার জন্য আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করেছি। আমরা আশা করি যে, কোন মন্তব্য পোস্ট করার সময় আপনারা তার অনুসরণ করবেন।
• ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃপক্ষ ভিজিটর কর্তৃক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে এমন মন্তব্যগুলো মুছে ফেলার অধিকার সংরক্ষণ করে।
• জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ, চেহারা বা অক্ষমতার ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি, কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি আপত্তিকর বা আক্রমণ করে এমন ভাষায় মন্তব্য করা যাবে না।
• আলোচনার বিষয়ের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না। কিছু বিষয় ব্যতিক্রমী হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে, তবে আলোচনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে এমন কোনো বিষয় ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃক অনুমোদন করা হবে না।
• কোনো পক্ষকে আইনি ঝামেলায় ফেলতে পারে এমন মন্তব্য করা যাবে না।
• বাণিজ্যিক প্রকৃতির কিংবা বিজ্ঞাপনীয় উপাদান/লিঙ্ক রয়েছে এমন মন্তব্য করা যাবে না।
• যেসব মন্তব্য স্প্যামিং বলে মনে হচ্ছে এবং একাধিক পোস্ট জুড়ে অভিন্ন মন্তব্য করলে সেগুলো মুছে ফেলা হবে।
• ঘৃণাত্মক, সহিংসতার প্ররোচনা দেয় অথবা ধর্মকে আক্রমণ করে এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না।